Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti basu is DEAD

Jyoti Basu: The pragmatist

Dr.B.R. Ambedkar

Memories of Another Day

Memories of Another Day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Saturday, August 8, 2015

Let us mourn for the killed Blogger in Bangladesh lest we might become yet another Bangladesh! Mind you, in Bangladesh it is rather a Secular tsunami of lovers all the way. Shahabagh flooded more than the floods in India as humanity gathers there in protest.Let us join them lest we have to commit! suicide! সাত দিনের সময় দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ

Let us mourn for the killed Blogger in Bangladesh lest we might become yet another Bangladesh!

Mind you, in Bangladesh it is rather a Secular tsunami of lovers all the way. Shahabagh flooded more than the floods in India as humanity gathers there in protest.Let us join them lest we have to commit! suicide!

সাত দিনের সময় দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ

Palash Biswas

ধর্মের নামে সন্ত্রাস চলতে দেব না - প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন রির্পোটার ॥ ধর্মের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস চলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যাকাণ্ড এবং তার দায় স্বীকার করে আল কায়দার নামে বিবৃতির প্রেক্ষাপটে শনিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, "ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, ধর্মকেও ... বিস্তারিত
Let us mourn for the killed Blogger in Bangladesh lest we might become yet another Bangladesh!

Mind you, in Bangladesh it is rather a Secular tsunami of lovers all the way. Shahabagh flooded more than the floods in India as humanity gathers there in protest.Let us join them lest we have to commit! 

Hatred might not win against love.Love has to win whatever might come.Love is never a loser`s game because it sustains the life,the nature and the history and geography,ecology and environment.Calamities inflict time and again.War and civil war inflicts again and again.Humanity is divided again and again.Long  ago Tolstoy dealt the story in his classic prose epic War and Peace.

It is the prolonged war,of course,in Bangladesh.Hatred intends to kill love and humanity everywhere in this bleeding divided humanscape and the holocaust continues since partition of United Akhand India.

Ironically,this game of hatred is the name of that religious nationalism which divided us for an infinite ethnic cleansing!

Name might be different,identity rather might be quite different,but they work with rock solidarity across borders.The hegemony of hatred in united as never before.

Lovers are predestined to be singled out for honour killing.It is happening everywhere these days.

In India,we the lovers love islands more than the mainland.We might not stand against the Hatred Tsunami!But in Bangladesh it is rather a Secular tsunami of lovers all the way.

সাত দিনের সময় দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ

ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সরকারকে সাত দিনের সময় বেধে দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। এ ছাড়া আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী শোক দিবস পালনেরও আহ্বান জানায় মঞ্চ।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার এ ঘোষণা দেন।
অন্যান্য কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাল রোববার বিকেল চারটায় শাহবাগে নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে গণমিছিল হবে। শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শোক সমাবেশ হবে। এর মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন ইমরান।
ইমরান দলমত-নির্বিশেষে প্রগতিশীল ও মুক্তমনা সবাইকে এ সব কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Indian Express reports:

Bangladesh police launches hunt to nab killers of blogger

The 40-year-old blogger was attacked by suspected al-Qaeda linked Islamists at their apartment here just after the Friday prayers.


Bangladesh police on Saturday launched a massive hunt to nab the killers of secular blogger Niloy Chakrabarty Neel whose body bore around 14 hack wounds, four of which were on the neck. 

Police registered a case of murder on the complaint of his wife Asha Moni who was present when the 40-year-old blogger was attacked by suspected al-Qaeda linked Islamists at their apartment here just after the Friday prayers.

 Several teams of investigators have been constituted to hunt down the killers of the blogger, official sources said, adding that they hope to catch them soon. 


Neel's body bore around 14 hack wounds – four of which were on the neck. The brutality of the attack was such that some of the cuts sliced through his bones, according to the autopsy report. 

"He died on the spot because of excessive blood loss from his wounds," Dr Habibuzzaman Chowdhury, chairman of Dhaka Medical College Hospital's forensic department, said while releasing the autopsy report to the media today.

 As the killing of the blogger was condemned worldwide, Prime Minister Sheikh Hasina warned that her government will not allow politics over religious sentiment.

 "At least, this can't be done in Bangladesh…We won't allow this in the country," she said while speaking at a function organised by Women and Child Affairs Ministry.

"At least our government is not sitting idle….We're trying to check those with an iron hand," she added, referring to various incidents of terrorism in recent months.

 Ansar-Al-Islam, Bangladesh chapter of al-Qaeda in the Indian Sub-Continent, had claimed responsibility for the killing Neel terming him an enemy of Allah. 

The blogger, popularly known by his pen name Niloy Neel, had recently received numerous threats for his writings and stance against radicalism. 

Neel's murder is the fourth such brutal murder in the country. 

The UN called on Bangladesh to initiate steps for preventing violence against writers and activists, including providing physical protection to potential targets.

 The US has termed Neel's killing as a "cowardly murder" and underlined the need to counter violent extremism. 

"This heinous act once again underscores the need to work together to counter violent extremism. We stand with Bangladeshis who reject this vicious act and who work to protect space for freedom of expression," the US State Department said in a statement.

এবার খুন হলেন ব্লগার নিলয় ॥ মুক্তচিন্তা বধ

তারিখ: ০৮/০৮/২০১৫
  • রাজধানীর গোড়ানে দিনদুপুরে বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যাকা- ॥ আল কায়েদার দায় স্বীকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুক্রবার আবারও ব্লগার ও মুক্ত চিন্তার আরেকজনকে হত্যা করা হলো। বধ হলো মুক্ত চিন্তা। খোদ রাজধানীতেই দিনদুপুরে বাসায় ঢুকে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে জড়িত নীলকে। এ নিয়ে সারাদেশে ৬ ব্লগারকে হত্যা করা হলো। হত্যার ধরন একই। সবাইকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ে তকবীর, আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে নীলকে চার হত্যাকারী কুপিয়ে হত্যা করে। মাত্র ৩ থেকে ৪ মিনিটের মধ্যেই নীলকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকারীরা। এদিকে আল কায়েদার বাংলাদেশ শাখার নামে প্রেরিত এক ই-মেলে শুক্রবার রাতে তারা নিলয় হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
হত্যার সময় নীলের স্ত্রীকে পিস্তলের নলের মুখে জিম্মি করে বারান্দায় আটকে রাখা হয়। আর শ্যালিকাকে রান্নাঘরে রেখে বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেয়। পুরো ঘটনাটি ঘটে মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে। এমন ঘটনায় দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন পূর্ব গোড়ানের ৮ নম্বর সড়কের ১৬৭ নম্বর পাঁচতলা বাড়ির পঞ্চম তলার নিজ বাসায় হত্যা করা হয় নীলকে। বাড়িটি ৪ থেকে ৫ ফুট চওড়া রাস্তার মুখে। অনেকটা পুরনো ধাঁচের নির্মাণাধীন বাড়িটি পাঁচতলা পর্যন্ত করা হয়েছে। বাড়ির মালিক হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী শামসুল কবির জনকণ্ঠকে বলেন, তারা প্রায় দুই বছর ধরে ওই বাড়িতে মাসিক সাত হাজার টাকা ভাড়ায় বাস করছিলেন। 
এদেশ আমার। মুক্ত চিন্তার মানুষ আমার স্বামীকে এভাবে হত্যা করা হবে কেন? কারা একের পর এক মুক্ত চিন্তার মানুষকে হত্যা করছে? তারা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে? মুক্ত চিন্তার মানুষ হত্যাকারী হিসেবে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের কেন বিচার হচ্ছে না? আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। থানা পুলিশ কেন আমার স্বামীর প্রাণের হুমকির বিষয়ে করা অভিযোগ আমলে নিল না? এ থানা থেকে ও থানা ঘোরাল। আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাকেও যেকোন সময় হত্যাকারীরা হত্যা করতে পারে। প্রাণনাশের আশঙ্কায় আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার চেষ্টাও করছিলেন। 
গগন বিদারী আর্তনাদে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ে খুন হওয়া ব্লগার নিলাদ্রী চ্যাটার্জী ওরফে নিলয় নীলের (৩০) স্ত্রী আশামনি (২৫)।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নীলের স্ত্রী আশামনি বলেন, দুপুরে নীল বাজারে যায়। বাজার করে বাসায় ফেরে। বাজারের ব্যাগ রাখে। এর পর ল্যাপটপ নিয়ে বসে। তখন দুপুর প্রায় দেড়টা। এ সময় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। দরজা খুলে দিলে জিন্সপ্যান্ট আর টি শার্ট পরিহিত ২০ থেকে ২৫ বছরের এক যুবক বাড়ি ভাড়া নেয়ার জন্য এসেছে বলে জানায়। এই ঘরটিই দেখতে এসেছে। বাড়িওয়ালা তাকে পাঠিয়েছে। এমন কথা বলতে বলতেই যুবক ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে মোবাইল টিপছিল। প্রায় তিন মিনিটের মতো সময় যুবক ঘরে এমনভাব করছিল। যুবককে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বললে যুবক বেরুতে গড়িমসি করছিল। আমি নীলকে বলি, যুবককে ঘর থেকে বের করে দিতে। এরই মধ্যে আর তিন যুবক ঘরে ঢুকে। তারা ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেয়। তিন জনের মধ্যে একজনের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। মুখে দাড়ি আছে। সেই প্রথম চাপাতি দিয়ে নীলকে কুপ দেয়। এর পরই তার সঙ্গে আসা দুই যুবক নীলকে বড় বড় চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। কোপানোর সময় আমি চিৎকারে দিলে আমাকে ধাক্কা মেরে বেডরুমের পাশে থাকা বাইরের দিকের বারান্দায় ঠেলে দেয়। আমার মুখে পিস্তল ধরে রাখে। 
গত বৃহস্পতিবার আমার বোন তন্নী বাড়িতে বেড়াতে আসে। সে তরকারি কাটছিল। নীলের চিৎকারে সেও সেখানে গেলে তাকে রান্নার ঘরের ভেতরে ঠেলে দিয়ে দরজা আটকে দেয়। ঠেলে দেয়ার সময় তাকে মারধর করে। তখন দুপুর দুটা বাজে। নীলকে তিনজন এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। নীল হাত দিয়ে চাপাতির কুপ ফেরানোর চেষ্টা করছিল। চাপাতির কুপে আঙ্গুলগুলো কেটে পড়ে যায়। এক পর্যায়ে নীল মেঝেয় পড়ে যায়। কোপানোর সময় হত্যাকারীরা নারায়ে তকবীর আল্লাহু আকবর বলে ধ্বনি দিচ্ছিল। মাত্র ৩ থেকে ৪ মিনিটের মধ্যেই নীলকে কুপিয়ে হত্যা করে হত্যাকারীরা। এর পর ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে হত্যাকারীরা দ্রুত নেমে যায়। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিলাম। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। 
এর পরই তিনি গগন বিদারী আর্তনাদে বলছিলেন, এদেশ আমারও। মুক্ত চিন্তার স্বামীকে কেন হত্যা করা হলো। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। তিনি বলেন, তিন বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে এমএ করেন নীল। দুই বছর আগে আশামনিকে বিয়ে করেন নীল। নীল চাকরি করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামালের আরডিসি নামের একটি এনজিওতে। পাশাপাশি ব্লগে লেখালেখি করত। ঢাকায় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যার পর থেকেই তার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছিল। রোজার অনেক আগ থেকেই তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাকে অনুসরণ করছিল হত্যকারীরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে নীল খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে। এনজিওর কাছে আবেদন করে নিরাপদে থাকতে পঞ্চগড়ে প্রায় একমাস চাকরি করেছে। রোজার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সে পঞ্চগড় থেকে আসে। এর পর তাকে আবার অনুসরণ শুরু করে হত্যাকারীরা। 
একদিন সন্ধ্যায় বাংলামোটর অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে উত্তর শাহজাহানপুর আমতলা জামে মসজিদের কাছে গিয়ে নীল খুব ভয় পেয়ে যায়। পরে তাকে ফোন দিলে সে স্বামীকে রিক্সায় বাসায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে নীল প্রথমে খিলগাঁও থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল শাহজাহানপুর থানায় বলে জিডি নেয়নি। তাদের শাহজাহানপুর থানায় যেতে বলে। তারা শাহজাহানপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেও থানা জিডি নেয়নি। নিহত নিলের বাড়ি ঝালকাঠিতে। আর আমার বাড়ি নেত্রকোনায়। 
নীলের স্ত্রী বলছিলেন, গত ৩০ মার্চ তেজগাঁওয়ে দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে। বাবু হত্যাকা-ের প্রতিবাদে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে নিয়মিত অংশ নিত তার স্বামী। সেখান থেকেই তাকে টার্গেট করে। তারই ধারাবাহিকতায় খুন হতে হলো তার স্বামীকে। 
পুরনো ধাঁচের বাড়িটিতে ঢোকার রাস্তাটি ৪ থেকে ৫ ফুট প্রশস্ত। বাড়িটি গলির মাথায়। এর পর ছোট ছোট বস্তির মতো ঘর রয়েছে। বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাড়ির মূল ফটকে সব সময়ই তালা লাগানো থাকে। কিন্তু সেদিন রহস্যজনক কারণে তালা ছিল না। এজন্য খুনীরা অনায়াসে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আর বাড়ির আশপাশে বস্তির মতো ঘিঞ্জি এলাকা রয়েছে। তাতে ছোট ছোট সরু অসংখ্য গলি। যেকোন অপরাধীই মারাত্মক অপরাধ করার পরও অনায়াসে পালিয়ে যেতে পারবে। 
গত ১৫ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়ে একটি পোস্টও দেন। তাতে তিনি দুজন মানুষ তাকে অনুসরণ করেছে বলে জানানো হয়। সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার ঘটনায় আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান শেষে তাকে অনুসরণ করা হয় বলেও ফেসবুকে দেয়া সেই পোস্টে বলা হয়। 
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও অজস্র মানুষকে হত্যা করায় মিরপুরের কসাই হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদ-ের প্রতিবাদে এবং যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের সমন্বয়ে গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি হয়। গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও ব্লগার ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে (৩৭) ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবীর পলাশনগরের নিজ বাড়ির সামনে রাত সাড়ে আটটার দিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। রাজীবের জানাজা আদায়কারী ইমামকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। হুমকিদাতা ছাত্র শিবিরের স্বক্রিয় কর্মী প্রথমে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর পরে আরেক জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য শফিউর রহমান ফারাবী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। রাজীব হত্যার ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। রাজীব হত্যার পর ২০১৩ সালের গত ৯ এপ্রিল দিনদুপুরে বুয়েটের ছাত্রলীগ নেতা ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ব্লগার আরিফ রায়হান দ্বীপকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হত্যাকারী বুয়েট ছাত্র মেজবাহ উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এছাড়া ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন রামকৃষ্ণ (আর কে) মিশন রোডের বাড়িতে জবাই করে ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি ও বিশ্ব ত্রাণকর্তা দাবিদার লুৎফোর রহমান ফারুক (৫৫) ও তার ছেলে সানোয়ারুল ইসলাম মনির (৩০), বাড়িতে থাকা মঞ্জুর আলম (২৮), মুজিবুল সরকার (৩২), শাহীন (২৪) ও রাসেলকে (৩৭) গলা কেটে হত্যা করা হয়। ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন পূর্ব রাজাবাজারের নিজ বাড়িতে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল আই'র শান্তির পথে ও কাফেলা নামক ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নুুরুল ইসলাম ফারুকীকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ দুইটি হত্যাকা-ের ঘটনায় আজও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 
এছাড়া গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লেখক অভিজিৎ রায়কে (৪০) দুই হত্যাকারী কুপিয়ে খুন করে। হত্যাকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা (৩০)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) একটি দল ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশে এসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে সহায়তা করে। অভিজিৎ হত্যার পর ফেসবুকে হত্যার দায় স্বীকার করে আনসার বাংলা-৭ নামে স্ট্যাটাস দেয়া ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী বর্তমানে জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য শফিউর রহমান ফারাবী। পরে ফারাবীকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর গত ৩০ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানাধীন হাতিরঝিল বেগুনবাড়িতে দিনেরবেলায় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পালানোর সময় জনতা দুই হত্যাকারীকে আটক করে। আটককৃতরা মাদ্রাসার ছাত্র। তারা ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে বাবুকে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। গ্রেফতারকৃতরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে নিশ্চিত হয় গোয়েন্দারা। সর্বশেষ গত ১২ মে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় চার মুখোশধারী ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। অনন্ত বিজয় দাস হত্যার দায় স্বীকার করে আনসার বাংলা-৮ স্ট্যাটাস দেয়। আজও অভিজিৎ ও অনন্তর হত্যাকারীরা গ্রেফতার হয়নি। 
এর আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেরুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে টিএসসিতে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে লেখক হুমায়ুন আজাদকে আহত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 
এদিকে নীল হত্যার দায় স্বীকার করে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখার আনসার আল ইসলামের নামে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। মুফতি আব্দুল্লাহ আশরাফ নামের এক ব্যক্তিকে প্রেরক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেরককে আনসার আল ইসলামের মুখপাত্র হিসেবে দাবি করা হয়েছে। বার্তায় বলা হয়, 'আলহামদুল্লিাহ! আনসার-আল-ইসলাম (আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ শাখা) এর মুজাহিদিনরা হামলা চালিয়ে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসুলের দুশমন নিলয় চৌধুরী নীলকে হত্যা করেছেন।' শুক্রবার দুুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় ওই অপারেশন সম্পন্ন হয়। বার্তায় বলা হয়, 'আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নিকৃষ্টতম দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমরা এদের ও তাদের সাথীদের ধ্বংস করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব ইনশা আল্লাহ।' নিলয় হত্যার দায় স্বীকার করে পাঠানো বার্তার শেষ দিকে বলা হয়েছে, "যদি তোমাদের 'বাক-স্বাধীনতা' কোন সীমানা না মানতে প্রস্তুত থাকে, তবে তোমাদের হৃদয় যেন আমাদের 'চাপাতির স্বাধীনতার' জন্য উন্মুক্ত থাকে।"
নীল হত্যার বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, নিলয়ের গলা ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কোপের চিহ্ন রয়েছে। এর আগে অন্য ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, নিলয়কেও হত্যা করা হয়েছে একই কায়দায়। এ হত্যাকা-ের সঙ্গে একিউআইএস বা আনসার আল ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোন তথ্য নেই তাদের কাছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রাত হত্যাকা-ের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে ব্লগার নীল হত্যাকা-ের ঘটনায় নিন্দা ও শোক জানিয়েছে জাতিসংঘ। খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথাও বলা হয়েছে জাতিসংঘের তরফ থেকে। এছাড়া নীলের খুনীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যারোনেস এ্যানিলে। তিনি এক টুইট বার্তায় এ দাবি জানান। 

http://www.24livenewspaper.com/site/?url=www.dailyjanakantha.com/

নিলয় হত্যা সহিষ্ণুতার ওপর আঘাত

প্রিন্ট সংস্করণ, ঢাকা, ৮ আগস্ট:

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট, ২০১৫

ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে কুপিয়ে হত্যার নিন্দা জানিয়ে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় পূর্ব গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে পাঁচতলা ভবনের পঞ্চমতলার ভাড়া বাসায় নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস রাতে বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডকে আরেকজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের বিরুদ্ধে সংঘটিত বর্বর অপরাধ এবং সহিষ্ণুতার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করতে এবং আগের সব ব্লগারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ প্রতিনিধি।
নিলয় কাজ করতেন একটি বেসরকারি সংস্থায়; সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এ ব্লগার ইস্টিশন ব্লগে লিখতেন নিলয় নীল নামে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চেরও সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি।
কিছুদিন ধরে হুমকি পেয়ে আসছিলেন বলে নিলয় ফেসবুক থেকে নিজের সব ছবি সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি ঠিকানার জায়গায় বাংলাদেশের বদলে লিখেছিলেন ভারতের কলকাতার নাম। তাকে যে মাঝেমধ্যেই অনুসরণ করা হচ্ছিল, তা তিনি ফেসবুকে পোস্টে লিখেছিলেন ১৫ মে। এ জন্য পুলিশের নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা চাইতে গেলে পুলিশ উল্টো নিলয়কে তাড়াতাড়ি বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দেয় বলে ওই পোস্টে তিনি লেখেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, নাগরিকদের সুরক্ষায় পুলিশের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে হত্যাকাণ্ড রোধে সমাজের সর্বস্তর থেকে এ ধরনের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে জোর নিন্দা অব্যাহত থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটে শান্তিপূর্ণভাবে মতামত প্রকাশকারী মানুষের প্রতি অসহিষ্ণুতা আপাতদৃষ্টিতে বেড়ে যাচ্ছে বলে এর আগেই বিবৃতি দিয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে বলে জানান তিনি। - See more at: http://www.jugantor.com/current-news/2015/08/08/304826#sthash.4C0evNgF.dpuf
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Post a Comment