২০০৭-এর নভেম্বরে তসলিমাকে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য করেছিল রাজ্য সরকার। সেটা ছিল বামফ্রন্টের রাজত্ব। ২০১৩-র জানুয়ারিতে সলমন রুশদির কলকাতায় আসা ঠেকাল রাজ্য সরকার। যখন জমানা তৃণমূলের। কায়েমী মনুস্মৃতি ব্যবস্থার ধারক্ষ রক্ষকরাই এই বঙ্গে নানা রঙ্গের ধর্মনিরপেক্ষতার সোচ্চার ধ্বজাধারী।এমনিতে ধর্মান্ধ জায়নবাদী জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ এই প্রজাতি রক্তবীজের মত চতুর্দিকে বিরাজমান, আধিপাত্যবাদের সামান্যতম সমালোচনা তাঁরা বর্দাশ্ত করবেন না।ওবিসি এসসি এসটির অধিকাররের প্রসঙ্গ তোলাই নিষিদ্ধন তুললেই রে রে করে তেড়ে আসবে।মধ্যযুগীয় গোবলয়ের জাত পাঁতের রাজনীতি এখানে অস্পৃশ্য। অন্ত্যজ, ব্রাত্য, উদ্বাস্তু, উপজাতি, অস্পৃশ্যের বাংলায় কোনও অস্তিত্ব নেই।থাকলেও তারা সংখ্যালঘু শাসকশ্রেণীর কন্ঠেই অভিব্যক্ত হবেন, তাঁদের নিজস্ব কন্ঠস্বরেরে, বাক্ স্বাধীনতার প্রশ্নই ওঠে না। এই একচেটিয়া আধিপাত্যবাদের সংস্কৃতিকে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের বুনিয়াদ হিসাবে রক্ষা করতেই যারা বদ্ধপরিকর,তাঁরাই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাতে প্রগতিবাদ জাহির করার কোনও মোকা হাত ছাড়া করতে চান না।বন্চিত শ্রেণীর স্বার্থে একটি কথাও যাদের মুখে শোনা যায় না, বর্ণ ব্যবস্থা কায়েম রাখতে, বর্ণশ্রেষ্ঠত্বের দোহাই দিয়ে সবকিছুই দখল করতে যারা নির্মম মৌলবাদী, তাঁরাই আবার মৌলবাদের কের্তনে আকাশ বাতাশ মুখরিত করছেন। হুতোম বেঁচে থাকলে এই রঙ্গ নিয়ে কি নক্সা পেশ করতেন জানা নেই।তবে বাংলা থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগেই কিন্তু বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছিলেন , যতক্ষন ধর্ম থাকবে, স্ত্রী মুক্তি অসম্ভব।সমতা ও সামাজিক ন্যায় অসম্ভব।জাতি উন্মুলনের প্রশ্ন ওঠে না।ধর্মনিরপেক্ষতার অবকাশ নেই। এমনকি স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব, নাগরিকত্ব,নাগরিক ও মানব অধিকার অপ্রাসঙ্গিক এই ধর্মরাজ্যে।পশ্চিমবঙ্গ ব্রাঙ্মণ্যতান্ত্রিক ধর্মরাজ্য।সেখানে ব্যতিক্রমী কন্ঠস্বর থাকার কথাই নয়।কিন্তু কি আশ্টর্য্য দেখুন, যারা ওবিসি, এসসি এসটি সংখ্যালঘুদের মানুষের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরাই ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে তা ত তা থৈ নাচছেন।
ধর্মনিরপেক্ষতা
ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝানো হয় কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করা। এক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হবে না। ধর্মনরপেক্ষতা সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধাণ্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণ এর নির্ভর করবে, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, "ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার"।
রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা হল ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন,যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইন জারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহবান জানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে সেকুলারিজম অর্থে উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবহার করা হয় না। উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা হল, রাষ্টে্র ধর্ম থাকবে তবে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকবে না।
Taslima Nasreen accuses author Sunil Gangopadhyay of sexual harassment
AUTHORS, Updated Sep 04, 2012 at 03:14pm ISTNew Delhi: Exiled Bangladeshi author Taslima Nasreen accused noted author Sunil Gangopadhyay of sexually harassing her and other women. She also alleged that the President of the Sahitya Akademi was actively involved in banning her novel 'Dwikhandito' and her "banishment" from West Bengal.
"Sunil Gangapadhyay is for book banning. He sexually harassed me and many other women. He is the President of the Sahitya Akademi. Shame shame!" Nasreen tweeted recently. When contacted, Gangopadhyay refused to comment on the accusations levelled by Nasreen and said he was "too busy with pending work to comment on such a thing."
Violent protests by Muslim groups in 2007 forced Indian authorities to rush out the controversial writer from her home in Kolkata where she lived for four years. After moving her around for a while, the authorities put her in an undisclosed "safe house" in New Delhi, where she only has a mobile phone, a laptop and a television set, but no visitors are allowed.
Nasreen fled Bangladesh in 1994 when a court said she had "deliberately and maliciously" hurt Muslim religious feelings with her Bengali-language novel 'Lajja', or Shame, in which she argued the Hindu minority in Bangladesh was poorly treated.
Nasreen was conferred the Prix Simone de Beauvoir by the French government for her feminist writings, but was not allowed by the Indian government to receive it from visiting French President Nicolas Sarkozy. Leading Indian intellectuals, including Booker prize-winner Arundhati Roy, have criticised India's officially secular government for not doing more for Nasreen and in particular the communist leaders of West Bengal for not allowing her back.
The European Parliament awarded her the Sakharov Prize for freedom of thought in 1994. She lived in Europe before settling down in Kolkata.
Nasreen was campaigning on Twitter for the right to free speech and her accusations came in the wake of the enforcement branch of the Kolkata Police raiding a renowned publishing house's office and shop at College Street after it published a book 'Musalmander ki Karaniya' (What Muslims Should Do) written by senior police official Dr Nazrul Islam.
The raid happened despite no official order being issued for it. Dr Islam, in his book, has indirectly criticized Chief Minister Mamata Banerjee's government's minority appeasement policies and vote-bank politi
cs including announcing stipends for Imams, and more madrasas.
"Fight for Nazrul Islam's freedom of expression in West Bengal. Speak against book banning," Nasreen appealed to her supporters.
"My previous four tweets are only to prove that Sunil G is now lying in the media that he did not support the banning of 'Dwikhandito'," she said. "Sunil Gangopadhyay was the mastermind behind banning of my book 'Dwikhandita' and my banishment from West Bengal. Sunil Gangopadhyay asked former WB government to ban my book 'Dwikhandita'. Now he is speaking against book banning. WB govt banned Nazrul Islam's book today. Sunil Gangapadhay and other writers (are) speaking for free speech. The same people are against my free speech," alleged Nasreen in a sharp attack against Gangopadhyay.
'Dwikhandito', the third volume of Nasreen's autobiography, was banned by the Buddhadeb Bhattacherjee government for "hurting religious feelings of the people". Nasreen did not specify when the alleged incident took place or whether she had - then or now - lodged a police complaint. (With additional information from Reuters)
তসলিমা নাসরিন'এর বইয়ের সগ্রহ - bangla free e-books download
freebanglapdfdownload.blogspot.com/.../taslima-nasrin-books-collect...May 1, 2008 – FREE Download bangla e-books, free e-books, download bangla ....Taslima Nasrin is a Prostitute, and I thank her, that she proudly .... i already reed her "lajja" "sodh" and i think she is a great writer.and also a brave writer.
Taslima's Banned Books - Taslima Nasrin
taslimanasrin.com/tn_bannedbooks.htmlTaslima's Banned Books. Lajja. Amar Meyebela. Utal Hawa. Dwikhondito. Ko. Sei Sob Ondhokar. ''Come what may, I will continue my fight for equality and ...
Lajja- Tasleema Nasrin : V.Venkatasubbaiah : Free Download ...
Lajja- Tasleema Nasrin (1996). Author: V.Venkatasubbaiah Publisher: VISHALANDRA... Be the first to write a review. Downloaded 5,316 times Reviews ...
Where can i find taslima nasrin lajja to read on net? - Yahoo! Answers
answers.yahoo.com › ... › Books & Authors2 answers - 23 Nov 2007Where can i find taslima nasrin lajja to read on net? i want to know the site where i can read taslima nasrin's book LAJJA to read free on internet ...
डाउनलोड कैसे करें - अपनी हिंदी - Free Hindi Books
May 25, 2012 – अपनी हिंदी - Free Hindi Books | Novel | Hindi Kahani | PDF | Stories | ....maine taslima nasreen ki kitab lajja download ki jo ki ek winrar file ...
"Lajja- Tasleema Nasrin" by V.Venkatasubbaiah pdf, epub, fb2 Free ...
Download and read online for free Lajja- Tasleema Nasrin by V.Venkatasubbaiah at OnRead.com. The book is added by Peter Cooper (Louth, UK) Each book is ...
Lajja by Taslima Nasreen - Free Download from mediafire ...
www.filestube.com/.../Lajja-by-Taslima-Nasreen.htmlJun 6, 2011 – Sponsored link: Direct download link: Lajja by Taslima Nasreen.pdf [DOWNLOAD NOW] · Highspeed. Download Now from mediafire: Lajja by ...
Lajja - Wikipedia, the free encyclopedia
Lajja. From Wikipedia, the free encyclopedia. Jump to: navigation, search ... Lajja(Bengali: লজ্জা Lôjja) (Shame) is a novel in Bengali by Taslima Nasrin, a writer ...
Taslima Nasrin - Wikipedia, the free encyclopedia
en.wikipedia.org/wiki/Taslima_NasrinTaslima Nasrin speaking at the 2012 European Atheist Convention ... Following the publication of Lajja, Nasrin suffered a number of physical and other attacks. ...../album/Magoria-The-Goddess-In-You-Taslima-MP3-Download/11251013.html.
PowerPoint Presentation - Lajja [Shame] Taslima Nasrin
www.ualberta.ca/~caaftink/Lajja%20Final.ppt.../Lajja%20Final.ppt.p...File Format: Microsoft Powerpoint - Quick View
Taslima Nasrin wrote the text in only a few days, in response to anti-Hindu riots that ...Lists: one of the most depreciating aspects of Nasrin's text is her extensive use of lists..... Suranjan longs to be free of the religious confines placed on him, ...
রুশদির কাহিনি মিডনাইটস চিলড্রেন নিয়ে পরিচালক দীপা মেহতা একটি ছবি বানিয়েছেন৷ ছবির চিত্রনাট্যকার স্বয়ং রুশদি৷ সেই ছবির প্রচারে পরিচালকের সঙ্গে দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ে গিয়েছেন রুশদি৷ বুধবার কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে আসার কথা ছিল৷ এই ছবির সূত্রে এটাই ছিল তাঁর শেষ সফর৷ বইমেলাতেও ছবিটি নিয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্ত্ত বইমেলার কর্তারা জানিয়ে দেন, ওই অনুষ্ঠানে দীপা মেহতার থাকার কথা থাকলেও রুশদির আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই৷ বুধবার সেই অনুষ্ঠানে দীপা মেহতাও আসেননি৷ ছিলেন শুধু রাহুল বসু৷ মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ খবর পায়, রুশদি আসছেন৷ কলকাতা পুলিশের কর্তারা এর পর যোগাযোগ করেন মুম্বই পুলিশের সঙ্গে৷ মুম্বই পুলিশ জানায়, বুধবার কলকাতায় যাচ্ছেন রুশদি৷ তখন কলকাতা পুলিশের কর্তারা বলেন, এটা তাঁদের জানা ছিল না৷ রুশদির জন্য পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এই মুহূর্তে তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ এর পর মুম্বই পুলিশ রুশদির সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশের অপারগতার কথা জানিয়ে দেয়৷ এবং বাতিল হয়ে যায় রুশদির কলকাতা সফর৷
বিষয়টি কি এই পর্যন্তই, নাকি এর পিছনে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ ছিল? বুধবার পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমি কিছু জানি না৷ পার্থ চোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করুন৷' পার্থবাবুর উত্তর, 'উনি আসবেন কি আসবেন না, তা রাজ্য সরকারের জানাই ছিল না৷' ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'কেউ যদি একবার ভাবেন কলকাতায় যাব, আবার ভাবেন যাব না, তাতে আমার কী করার আছে?' অর্থাত্, কেউই বললেন না যে, রুশদি এলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই৷
ফিরহাদ হাকিম 'আমার কী করার আছে' বললেও ফুরফুরা শরিফের ইমাম ত্বহা সিদ্দিকি বলেছেন, 'সলমন রুশদি আসবেন শুনে আমি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে মঙ্গলবার রাতে ফোন করি৷ তাঁকে আমাদের আপত্তির কথা জানাই৷' আব্দুল আজিজ মিল্লি-ইত্তেহাদ পরিষদের নেতা আব্দুল আজিজের বক্তব্য, 'কলকাতা পুলিশকে আমরা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলাম রুশদি এলে আমাদের আপত্তি আছে৷ বুধবার সকালে প্রায় চারশো সমর্থক নিয়ে আমরা হাজির ছিলাম এয়ারপোর্টে৷ উনি এলেই বিক্ষোভ শুরু হত৷ ভালোই হয়েছে, তিনি শেষ পর্যন্ত আসেননি৷' টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম ইমাম বরকতি বলেন, 'বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আমি দার্জিলিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করি৷ আমাদের আপত্তির কথা জানাই৷ তিনি তখনই প্রতিশ্রীতি দিয়েছিলেন সলমন রুশদিকে এ রাজ্যে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না৷'
বোঝাই যাচ্ছে, সবাই সব কিছু জানতেন৷ মুখে বলছেন না, এই যা৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, রাজ্য সরকারের আশঙ্কা, রুশদি এলে অশান্তির আগুন জ্বলবে৷ তসলিমা নাসরিনের সময় যে অশান্তি হয়েছিল, তার থেকেও অনেক বেশি৷ ২০০৭ সালে তসলিমার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বুদ্ধদেব ভাচার্যের ইস্তফা দাবি করে প্রবল অশান্তি হয় পার্ক সার্কাস এলাকায়৷ বুদ্ধদেববাবুকে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়৷ তসলিমা কলকাতা ছেড়ে জয়পুরে চলে যান৷ প্রগতিশীল বাম সরকারও কিন্ত্ত তসলিমাকে কলকাতায় রাখার ঝঁুকি নেয়নি৷ ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি সিদিকুল্লা চৌধুরি বলেছেন, 'এগুলি হচ্ছে ভোটের জন্য মেকি ইসলাম দরদ৷ কলকাতায় তৃণমূলের কিছু পেটোয়া লোক রুশদিকে নিয়ে হইচই করছেন৷ কিন্ত্ত মুসলিমদের অনেক সমস্যা আছে৷ আসল সমস্যা ভাত-কাপড়ের৷ এ-সব নিয়ে আমরা ভাবছিই না৷'
কী বলছেন বিদ্বজ্জনেরা?
অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'রুশদির এই শহরে না-আসতে পারা আমার মতে দুর্ভাগ্যজনক৷ এ ভাবে কোনও সদর্থক প্রতিবাদ সম্ভব বলে মনে করি না৷ ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর রচনার সঙ্গে কেউ একমত না-ই হতে পারেন, তার জন্য স্বাধীন চিন্তার অধিকারকে অস্বীকার করা হবে কেন?' নাট্য পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ভারতের কোথাও যদি রুশদির আসার কথা হয়, তা হলে তা কলকাতাতেই হওয়া উচিত৷ কলকাতায় তো শিবসেনা নেই৷ মৌলবাদীদের তুষ্ট করতে গিয়ে এ ধরনের রাজনৈতিক চাল আসলে প্রমাণ করে, কোথাও একটা ভয় কাজ করছে৷ সব কিছুতেই সরকার এত ভয় পাচ্ছে কেন? রুশদিকে আসতে না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের সবার লজ্জা৷' সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য মনে করেন, 'এটা একটা আন্তর্জাতিক কেচ্ছা৷ শালীনতা সম্পর্কে জ্ঞানগম্যি না-থাকাতেই এই অবস্থা৷ মাঝেমধ্যে তো চ্যালেঞ্জও নিতে হয় সরকারকে৷'
সরকারের সিদ্ধান্তকে কারা স্বাগত জানালেন?
তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা ইদ্রিশ আলি বললেন, 'রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ৷ তারা সলমন রুশদিকে কলকাতায় আসার অনুমতি দেননি৷' ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি রইসুদ্দিনের মতে, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাভবিক৷ 'মিজান' পত্রিকার সম্পাদক মসিহুর রহমানও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷
কলকাতার বহু মুসলিম ছাত্র কিন্ত্ত রুশদির সফর বাতিল হওয়াকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না৷ এটাই বড় আশার কথা৷
-
Salman Rushdie - Wikipedia, the free encyclopedia
en.wikipedia.org/wiki/Salman_RushdieSir Ahmed Salman Rushdie (Kashmiri: अहमद सलमान रुशदी (Devanagari), احمد سلمان رشدی (Nastaʿlīq); pron.: /sælˈmɑːn ˈrʊʃdi/; born 19 June 1947) is a ...
News for salman rushdie
- Rahul Bose feels 'disheartened' over Salman Rushdie's Kolkata visit issue
Indian Express - 10 hours agoActor Rahul Bose tonight said he felt disheartened in the wake of the cancellation of author Salman Rushdie's proposed visit to Kolkata.
- Calcutta Telegraph - 15 hours ago
- Times of India - 17 hours ago
Salman Rushdie - The Official Website
www.salman-rushdie.com/Feb 14, 1989 – Official website of Salman Rushdie, bestselling author of Midnight's Children and The Satantic Verses. Buy books, watch videos, read reviews, ...
Salman Rushdie (SalmanRushdie) on Twitter
https://twitter.com/SalmanRushdieSalman Rushdie. @SalmanRushdie. In the immortal words of Popeye the Sailor Man: I yam what I yam and that's all that I yam. http://www.salman-rushdie.com ...
Salman Rushdie - IMDb
Salman Rushdie, Writer: Der Unbequeme - Der Dichter Günter Grass. He married the actress Padma Lakshmi, the hostess of "Padma's Passport," and dedicatee ...
Mamata Banerjee keeps Salman Rushdie out of Kolkata - The Times ...
timesofindia.indiatimes.com/...Salman-Rushdie-out.../18264684.cms17 hours ago – The Bengal government had shut the doors on Salman Rushdie much before any of the 100-odd protesters who hovered around Kolkata ...
Salman Rushdie: Latest News, Videos, Photos | Times of India
See Salman Rushdie Latest News, Photos, Biography, Videos and Wallpapers.Salman Rushdie profile on Times of India.
Salman Rushdie | Books | The Guardian
Latest news and comment on Salman Rushdie from guardian.co.uk.
আশ্চর্য হইনি এতটুকুও
তসলিমা নাসরিন
রুশদিকে কলকাতায় আসতে দেওয়া হবে না৷ খবরটি যখন শুনলাম, সত্যি বলতে কি, অবাক হইনি৷ অবাক হব কেন, আমাকেও তো আসতে দেওয়া হয় না৷ শুধু কলকাতায় নয়, পশ্চিমবঙ্গেই আমার পা রাখা নিষেধ৷ সেই যে ২০০৭ সালে আমাকে তাড়ানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, আজও আমি নিষিদ্ধ সেই রাজ্যে৷ শুধু আমার উপস্থিতিই নয়, আমার বইয়ের উপস্থিতিও নিষিদ্ধ সেখানে৷ গত বছর কলকাতা বইমেলায় আমার বই 'নির্বাসন'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ যে মানুষের বাক্স্বাধীনতার ওপর পঁচিশ বছর ধরে হামলা হচ্ছে, যাকে দুর্বিষহ নির্বাসন জীবন যাপন করতে বাধ্য হতে হচ্ছে, বাংলায় লিখেও বাংলায় যার ঠাঁই নেই, শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে যাকে, সাত-আটটি মাথার দাম যার মাথার ওপর, সে কেন এই ঘটনায় চমকে উঠবে?
অবাক হইনি, কিন্তু রুশদিকে কলকাতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করছি৷ প্রতিবাদ করেছি মকবুল ফিদা হুসেন, এ কে রামানুজন, জেমস লেইন, রহিন্তন মিস্ত্রি, কমল হাসানের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যখন আঘাত এসেছে৷ যখনই কট্টরপন্থীরা কোনও কিছুর দাবি করে, সে দাবি যতই অন্যায় হোক, সরকারের মধ্যে তা-ই মেনে নেওয়ার একটা প্রবল প্রবণতা লক্ষ করেছি৷ অনেক সময় তারা অখুশি হতে পারে, বা ঝামেলা পাকাতে পারে এই ভয়ে আগ বাড়িয়ে সরকার-পক্ষ থেকে অনেক অযৌক্তিক এবং অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আমার 'দ্বিখণ্ডিত' বইটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০০৩ সালে 'যদি কিছু হয়' ভয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন৷ হতে পারে, রুশদিকে কলকাতায় আসতে বাধা দেওয়ার পেছনে সরকারের সেই ভয়ই কাজ করেছে৷
কিন্তু এসব আর কতদিন? আর কতদিন ওদের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকবে সরকার? আর কতদিন ওদের অন্যায় আবদার মাথা নত করে মেনে নেবে? ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, ভারত তো বাংলাদেশ বা পাকিস্তান নয়৷ ওসব দেশের নড়বড়ে নাম কা ওয়াস্তে গণতন্ত্রের মত ভারতের গণতন্ত্র নয়৷ ভারত শিল্পে, শক্তিতে, শিক্ষায়, স্থিতিতে আজ উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়িয়েছে৷ এই রকম এক দেশ কেন নিজেকে করপন্থীদের স্বর্গরাজ্য হতে দিচ্ছে? হাতে গোনা কিছু লোকের ভয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভারতের সংবিধানকেও (১৯ক ধারা) অপমান করতে দ্বিধা করছে না, দেশকে হাজার বছর পিছনে ঠেলে দিতে আপত্তি করছে না৷ এর ফলে গোটা একটা সম্প্রদায়, একটা পুরো ধর্মই যে অসহিষ্ণু বলে প্রমাণিত হয়ে গেল, তার দায় কে নেবে! কেবল নির্বাচনে জেতার হিসেব! দেশ গোল্লায় যাক, দেশের ভবিষ্যত্ গোল্লায় যাক, আমার নির্বাচনে জেতা চাই৷ প্রগতিবিরোধী, নারীবিরোধী, অর্বাচীন, অগণতান্ত্রিক, অশিক্ষিত, অসুস্থ, অসভ্য কিছু করপন্থীর দাবি মেনে নিয়ে যারা আজ সভ্য শিক্ষিত প্রগতিশীল শিল্পী সাহিত্যিকদের স্বাধীনতা হরণ করছে, মৌলবাদীদের শক্তি এবং সাহস বাড়াচ্ছে, তারা দেশের এবং দশের শত্রু, এ কথা আমি বলতে পারি৷ জীবনের ঝুঁকি আছে, তারপরও বলছি৷
তসলিমা নাসরিন
এই নিবন্ধটির নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। (এপ্রিল ২০১২) |
এই নিবন্ধের লেখার ধরণের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। বিস্তারিত জানার জন্য দয়া করে এ সংশ্লিষ্টআলাপ পাতাটি দেখুন (এপ্রিল ২০১২) |
The references in this article or section may not meet Wikipedia's guidelines for reliable sources. Please help by checking whether the references meet the criteria for reliable sources. Further discussion may be found on the talk page. This article has been tagged since এপ্রিল ২০১২. |
তসলিমা নাসরিন | |
---|---|
কলকাতায় আনন্দ পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে তসলিমা নাসরিন | |
জীবিকা | কবি, কলামিস্ট, ঔপন্যাসিক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি, সুইডিশ |
সময়কাল | ১৯৭৩ – বর্তমান |
বিষয় | মানবতাবাদ |
সাহিত্যিক আন্দোলন | নারী অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন |
[ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট] |
তসলিমা নাসরিন (জন্ম: ২৫ আগস্ট, ১৯৬২[১]) বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিতনারীবাদী সাহিত্যিক। তসলিমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান থেকে ১৯৮৬ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ অবধি কাজ করেন।[২] ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে মামলায় জড়িয়ে পড়ে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। এরপর তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ছাত্রজীবনে ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে কবি হিসেবে তাঁর পরিচিতি ঘটতে থাকে। নির্বাসন জীবনে তসলিমা লেখালিখিকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বিদ্রোহী নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসলামের সমালোচনার জন্য বিশ্বব্যাপী তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][৩] স্বীয় জন্মভূমি বাংলাদেশ ত্যাগের পর তিনি প্রতিবেশী বাংলাভাষীপশ্চিমবঙ্গে বসবাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় ইসলামী ধর্মগুরুদের আপত্তি ও মৌলবাদীদের প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে তাঁকে কলকাতা পরিত্যাগ করতে হয়। বর্তমানে তিনি সুইডেনে বসবাস করছেন। তাঁর রচনাসমূহের মধ্যে লজ্জা, আমার মেয়েবেলা,দ্বিখণ্ডিত, গোল্লাছুট, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
পরিচ্ছেদসমূহ[আড়ালে রাখো] |
[সম্পাদনা]প্রাথমিক জীবন
তাঁর প্রকৃত নাম নাসরিন জাহান তসলিমা। স্কুল জীবনে কবিতা চর্চ্চার সময় তিনি 'তসলিমা নাসরিন' নাম গ্রহণ করেন। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ শহরে তাঁর জন্ম।[৪]) দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর পিতা রজব আলী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। মা ইদুল আরা সাধারণ ধর্মভীরু বাঙ্গালী গৃহিনী, তসলিমার পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী। । ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে এস, এস, সি পাস করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে এম বি বি এস পাস করেন। অথঃপর তিনি সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসকের চাকুরী গ্রহণ করেন। তিনি যখন ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে দেশত্যাগ করেন তখন সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞানবিশেষজ্ঞ (অ্যানেসথেসিওলজিস্ট) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শৈশব ও যৌবনের বিশদ বিবরণ তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থাদির বিভিন্ন খণ্ডে পাওয়া যায়।
[সম্পাদনা]বিবাহ
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ'র প্রেমে পড়েন এবং বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খানের সাথে বিয়ে এবং ১৯৯১ সালে বিচ্ছেদ হয়। তিনি ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক বিচিন্তা'র সম্পাদক মিনার মনসুরকে বিয়ে করেন এবং ১৯৯২ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি আর বিয়ে করেন নি। তার কোন সন্তানাদি নেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যুগল জীবন যাপন করেছেন। তিনি একজন উভকামী। প্যারিস অবস্থান কালে একজন ফরাসী মেয়ের সঙ্গে যৌন জীবনযাপনের বিবরণ তাঁর আত্মজৈবিনক উপন্যাস ফরাসী প্রেমিক এবং আত্মজীবনিক রচনায় বিবৃত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [৫]
[সম্পাদনা]সাহিত্যিক জীবন
এই পরিচ্ছেদটি পরিবর্ধন করা প্রয়োজন। |
সাহিত্যে জগতে প্রবেশ সত্তর দশকের শেষভাগে কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে স্ব-উদ্যোগে প্রথম কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন যার নামশিকড়ে বিপুল ক্ষুধা।[৬] তাঁর কবিতা গীতিময়তায় পুষ্ট। আত্মজৈবনিকতা তাঁর কবিতার বৈশিষ্ট্য। প্রথম থেকেই তাঁর কবিতায় যৌনানুষঙ্গ প্রবলভাবে উপস্থিত, যা পরবর্তীতে তাঁর গদ্য রচনাতেও পরিদৃষ্ট হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
[সম্পাদনা]নির্বাসিত জীবন
তাঁর নির্বাসিত জীবন শুরু হয় ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ত্যাগের সময় থেকে। এর আগে আদালতে মামলা দায়ের হলে এবং আদালত তাঁর বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করলে তিনি বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবের বাসায় আত্মগোপন করেন। বাংলাদেশ ত্যাগের পর তিনি প্রধানত ফ্রান্স,সুইডেন এবং ভারত, এই তিনটি দেশে বসবাস করেছেন। বাংলাদেশের বাইরে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতে তিনি আগ্রহী। প্রায়শ তাঁর ধর্ম ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী লেখা ও মন্তব্য জনরোষ সৃষ্টি করে বিধায় সামাজিক শান্তির স্বার্থে ২০০৭ থেকে ভারত সরকার তাঁর ভারতে অবস্থানের ওপন নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করে। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ত্যাগ ও ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত থেকে বিতারণ এবং পরবর্তী নিবার্সিত জীবনের বর্ণনা নিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১২ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ নির্বাসন। [৭] [৮]
[সম্পাদনা]১৯৯৪-২০০৪, পাশ্চাতে নির্বাসিত
[সম্পাদনা]২০০৪-২০০৭ কলকাতার জীবন
[সম্পাদনা]২০০৭ কলকাতা থেকে বিতারণ
[সম্পাদনা]২০০৮ দিল্লীতে অন্তরীণ
[সম্পাদনা]সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]পত্রিকার কলাম ও নিবন্ধ
[সম্পাদনা]উপন্যাস
[সম্পাদনা]আত্মজীবনী
তসলিমা নাসরিন প্রধানত আত্মজীবনীমূলক রচনায় বেশী সময় ব্যয় করেছেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের সংখ্যা ৭ যার সর্বশেষ খণ্ড ২০১২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। আত্মজীবনী বিবিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বর্ণনা দিয়ে তিনি বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন এবং এ কারণে তাঁর বিরূদ্ধে সৈয়দ শামসুল হক সহ অনেকে আদালতে মর্যাদাহানির জন্য ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
[সম্পাদনা]পুরস্কার ও সম্মাননা
তসলিমা তার উদার ও মুক্তচিন্তার মতবাদ প্রকাশ করায় দেশ-বিদেশ থেকে একগুচ্ছ পুরস্কার ও সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। সেগুলো হলো -
- আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯২ এবং ২০০০।
- নাট্যসভা পুরস্কার, বাংলাদেশ, ১৯৯২
- ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক শাখারভ পুরস্কার, ১৯৯৪
- ফ্রান্স সরকার প্রদত্ত মানবাধিকার পুরস্কার, ১৯৯৪[৯]
- ফ্রান্সের এডিক্ট অব নান্তেস পুরস্কার, ১৯৯৪[১০]
- সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল পেন কর্তৃক কার্ট টুকোলস্কি পুরস্কার, ১৯৯৪[১১]
- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ কর্তৃক হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট সম্মাননা, ১৯৯৪
- নরওয়েভিত্তিক হিউম্যান-এটিস্ক ফরবান্ড কর্তৃক মানবতাবাদী পুরস্কার, ১৯৯৪
[সম্পাদনা]সমালোচনা
[সম্পাদনা]সাহিত্য
সাহিত্য রচনায় ব্যক্তিগত ও শারীরিক আকাঙ্খাকে কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আবর্তন তসলিমার লেখার বৈশিষ্ট্য। এর সাথে তিনি ইসলামধর্ম, কুরআন এবং নবী মুহাম্মদকে (সা:) সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু করেন এবং এ কারণে বাংলাদেশে এবং বিদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। একটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতৃত্ব তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে এবং তাঁর বিরূদ্ধে ধর্মদ্রহিতারর মাধ্যমে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আদালতে মামলা করা হয়। । কুরআন ও হাদিসকে ভুল অনুবাদ করে তার ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা প্রদান বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান জনগণের মনে অসন্তোষের সৃষ্টি করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
[সম্পাদনা]নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি
[সম্পাদনা]গ্রন্থ তালিকা
বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনীর তাঁর অধিকাংশ গ্রন্থ বাংলাদেশে প্রকাশ করেছে। পশ্চিম বঙ্গে তার প্রধান প্রকাশক প্রকাশক শিবানী মুখোপাধ্যায়।
[সম্পাদনা]কবিতা
- শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা (Hunger in the Roots), ১৯৮১
- নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে (Banished Without and Within), ১৯৮৯
- আমার কিছু যায় আসে না (I Couldn't Care Less), ১৯৯০
- অতলে অন্তরীণ (Captive In the Abyss), ১৯৯১
- বালিকার গোল্লাছুট (Game of the Girls), ১৯৯২
- বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা (Behula Floated the Raft Alone), ১৯৯৩
- আয় কষ্ট ঝেঁপে, জীবন দেবো মেপে (Pain Come Roaring Down, I'll Measure Out My Life for You), ১৯৯৪
- নির্বাসিত নারীর কবিতা (Poems From Exile), ১৯৯৬
- জলপদ্য (Waterlilies), ২০০০
- খালি খালি লাগে (Feeling Empty), ২০০৪
- কিছুক্ষণ থাকো (Stay For A While), ২০০৫
- ভালোবাসো? ছাই বাসো! (It's your love! or a heap of trash!), ২০০৭
- বন্দিনী (Prisoner), ২০০৮
[সম্পাদনা]প্রবন্ধ সংকলন
- নির্বাচিত কলাম (Selected Columns), ১৯৯০
- যাবো না কেন? যাব (I will go; why won't I?), ১৯৯১
- নষ্ট মেয়ের নষ্ট গল্প (Fallen prose of a fallen girl), ১৯৯২
- ছোট ছোট দুঃখ কথা (Tale of trivial sorrows), ১৯৯৪
- নারীর কোন দেশ নেই (Women have no country), ২০০৭
- 'নির্বাসন', ২০১২।
[সম্পাদনা]উপন্যাস
- অপরপক্ষ ১৯৯২
- শোধ, ১৯৯২. ISBN 978-81-88575-05-3
- নিমন্ত্রণ, ১৯৯৩
- ফেরা , ১৯৯৩
- লজ্জা, ১৯৯৩. ISBN 978-0-14-024051-1.
- ভ্রমর কইও গিয়া, ১৯৯৪
- ফরাসি প্রেমিক ,২০০২
- শরম,২০০৯
[সম্পাদনা]ছোট গল্প
- দু:খবতী মেয়ে ১৯৯৪
- মিনু ২০০৭
[সম্পাদনা]আত্মজীবনী
- Amar Meyebela (My Girlhood), 1999 (ISBN 978-1-58642-051-2)
- Utal Hawa (Wild Wind), 2002
- Ka (Speak Up), 2003; published in West Bengal as Dwikhondito (Split-up in Two), 2003
- Sei Sob Andhokar (Those Dark Days), 2004
- Ami Bhalo Nei, Tumi Bhalo Theko Priyo Desh ("I am not okay, but you stay well my beloved homeland"), 2006.
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
- ↑ স্বীয় আত্মজীবনীতে উল্লিখিত তাদের পারিবারিক কথোপকথনের বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় তসলিমা নাসরিনের জন্ম ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে বা আগে।
- ↑ Condemned to life as an outsider The Guardian, November 30, 2007
- ↑ Chazan, David (1999-01-26). World: South Asia: Taslima goes back into exile. প্রকাশক: BBC। সংগৃহীত হয়েছে: 2009-05-28.
- ↑ স্বীয় আত্মজীবনীতে উল্লিখিত তাদের পারিবারিক কথোপকথনের বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় তসলিমা নাসরিনের জন্ম ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে বা আগে।
- ↑ [দ্রস্টব্যঃ নির্বাচিত কলাম
- ↑ তসলিমা নাসরিনের অফিসিয়েল তথ্যতীর্থে এই গ্রন্থের প্রকাশ কাল ১৯৮৬ হিসেবে উল্লিখিত যা ভুল।
- ↑ শেষ হয়নি স্টলসজ্জার কাজ
- ↑ ফের নিষিদ্ধ করলেন বহুল বিতর্কিক তসলিমা নাসরিনকে
- ↑ 1994 - Commission nationale consultative des droits de l'homme. প্রকাশক: Cncdh.fr। সংগৃহীত হয়েছে: 2010-12-14.
- ↑ [১][অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Targett, Simon (1995-02-24). "She who makes holy men fume". Times Higher Education। সংগৃহীত হয়েছে: 2009-06-01.
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
- Official homepage - TaslimaNasrin.com
- ISIS interview with Taslima Nasrin
- The Vanishing
- Taslima and her Technicolor Boat - On the Heels of Sir Salman
|
- অকার্যকর বহিঃসংযোগ সহ সমস্ত নিবন্ধ
- অকার্যকর বহিঃসংযোগ সহ নিবন্ধ from December 2010
- Articles with invalid date parameter in template
- NPOV disputes from এপ্রিল ২০১২
- All NPOV disputes
- Articles with minor POV problems from এপ্রিল ২০১২
- All articles with minor POV problems
- Articles lacking reliable references from এপ্রিল ২০১২
- All articles lacking sources
- যেসব নিবন্ধের তথ্য যাচাই করা দরকার
- উৎসহীন বিবরণের সাথে নিবন্ধসমূহ from April 2012
- Articles to be expanded from Feb 2012
- All articles to be expanded
- নারীবাদী
- ১৯৬২-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- বাঙালি কবি
- বাংলাদেশী কবি
- বাংলাদেশী প্রবন্ধকার
- বাঙালি প্রবন্ধকার
- শাখারভ পুরস্কার বিজয়ী
স্বাধীনোত্তর ভারতে এই দ্বন্দ্বে রাষ্ট্র বহুক্ষেত্রেই দ্য গলের স্থৈর্য্য রাখেনি। জেলে না পুরলেও নির্বাসনে পাঠিয়েছে। যেমন সলমন রুশদি। অথবা গণতন্ত্রের নিয়ম মেনেই গণতন্ত্র হরণের চেষ্টায় নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বরূপম। পুলিসের জেরার মুখে বসতে হয় আশিস নন্দীকে।
অন্যদিকে, ২০০৫ এর সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের পত্রিকা জিল্যান্ড পোস্টেনে হজরত মহম্মদের কার্টুন প্রকাশিত হয়। সমালোচনা আর বিতর্কের ঝড় ওঠে বিশ্ব জুড়ে। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না এই যুক্তিতে প্রাথমিক ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না। বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসাত্মক রূপ নেয়। সারা বিশ্বে হিংসার আগুনে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়।
কী মনে করেন আপনি? মত প্রকাশের স্বাধীনতার বনাম সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা। এই দ্বন্দ্বে কোন পথে যাবে প্রশাসন? নিচে কমেন্ট সেকশনে আপনার মতামত জানান। আপনার মতামত প্রচারিত হবে আপনার রায় অনুষ্ঠানে।
বহু টালবাহানার পর অবশেষে দেশের মধ্যে প্রথম মুম্বইতে মুক্তি পেল 'বিশ্বরূপম'-এর হিন্দি সংস্করণ। অন্যদিকে, আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমল হাসান জানালেন গোটা ঘটনায় আসলে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প 'বিশ্বরূপম'-কে ঘিরে এই বিতর্ক একেবারেই অনঅভিপ্রেত বললেন প্রখ্যাত এইঅভিনেতা। আজ তিনি জানিয়েছেন গোটা ঘটনায় তিনি পীড়িত। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য নয় বলেও দাবি করলেন তিনি। তবে এর সঙ্গেই কমল হাসান আবারও জানিয়ে দিলেন ''ধর্ম নয়, আমি রাজনীতির শিকার।''
আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে কমল হাসান কিছুটা সমালোচনার সুরেই বলেন ''সরকারের কাছে অনুরোধ এই ভাবে কোন সিনেমাকে ছাপ মেরে দেবেন না।'' একদিন আগেই প্রয়োজনে দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন এই বিশিষ্ট অভিনেতা-প্রযোজক-পরিচালক। আজও সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি জানালেন এই রকম মন্তব্য করার জন্য তিনি মোটেও দুঃখিত নন। সমগ্র বিষয়টি নিয়ে তিনি অতন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন। এখনই দেশ ছেড়ে না গেলেও তাঁর ক্ষোভ মোটেই কমেনি। এই ঘটনা থেকে কেউই লাভবান হবেন না বলেও মনে করেন তিনি। তবে গোটা ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় তিনি অভিভূত বলেও জানান কমল হাসান। এর সঙ্গেই 'বিশ্বরূপম'-এর সমর্থনে যাঁরা গলা তুলেছেন তাঁদেরকেও আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, আজ 'বিশ্বরূপম' প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমকে প্রধান জানিয়ে দিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেই তামিলনাড়ুতে 'বিশ্বরূপম'-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার সঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে জয়ললিতা বলেছেন ব্যক্তিগত ভাবে কমল হাসানের সঙ্গে তাঁর সরকারের কোন বিরোধ নেই। কিন্তু রাজ্যে হিংসার পরিবেশকে আটকাতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানান 'আম্মাজি'।
সাংবাদিক সম্মেলনে জয়ললিতা বলেন ''চব্বিশটি মুসলিম সংঘটন আমাদের কাছে এই সিনেমাটির প্রদর্শনের বিরোধীতা করে পিটিশন জমা দিয়েছে। এই অবস্থায় আমারা বিশ্বরূপমকে ছাড়পত্র দিলে এই সংঘটনগুলির প্রতিবাদ হিংসাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।'' ডিএমকে সুপ্রিমো আরও জানিয়েছেন রাজ্যে মোট ৫২৪টি প্রেক্ষাগৃহে নিরাপত্তা দেওয়ার মত লোকবল তাঁর সরকারের নেই।
অন্যদিকে, নাটকীয় ভাবে সিদ্ধান্ত বদলিয়ে এখনই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কমল হাসান। মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাই কোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুললেও বুধবার ফের এই ছবির মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখায় সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন কমল হাসান।
অন্যদিকে 'বিশ্বরূপম' বিতর্কে নিজের টুইটারে নিজের মত জানালের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি। টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, "সময় এসেছে 'সিনেমাটোগ্রাফ আইন' পুনর্মূল্যায়ন করার, না হলে রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে সিনেমা সেন্সর করবে।"
সূত্রে খবর, সিনেমাটোগ্রাফ আইন সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে চলেছেন মণীশ তিওয়ারি।
হাই কোর্টে মঙ্গলবারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তামিলনাড়ু সরকার যে আর্জি জানিয়েছিল তার ভিত্তিতেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে আদালত।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতার সঙ্গে বৈঠক করে 'বিশ্বরূপমের' বেশ কিছু অংশ বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কমল। এর পরেও সবুজ সঙ্কেত পেল না এই ছবি।
দুহাজার চোদ্দোর লোকসভা নির্বাচনে কি ফের হিন্দুত্বের তাস খেলতে চলেছে বিজেপি? বিজেপি-আরএসএস বৈঠকের পর এই সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ইস্যুটিকে কী ভাবে জাতীয় রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায় তা ঠিক করতে আজ সঙ্ঘের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতারা।
সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন শাখা সংগঠন রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে প্রচারে নামবে। আর, নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে উন্নয়নের কথা তুলে প্রচার চালাবে বিজেপি। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে এই দ্বিমুখী রণকৌশল নিতে চলেছে তারা। সঙ্ঘ পরিবারের উদ্যোগে এলাহাবাদে কুম্ভমেলায় সাধু-সন্তদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলন থেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফের অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের দাবি তোলা হবে বলে জানা গেছে।
আজকের বৈঠকে বিজেপির তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ। আরএসএসের তরফে ছিলেন ভাইয়াজি যোশী ও সুরেশ সোনি। দলীয় সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আরএসএসের সঙ্গে বিজেপি শীর্ষ নেতাদের মতান্তর কিছুদিন আগেই সামনে এসেছিল। যদিও, বিজেপির নতুন সভাপতি রাজনাথ সিং আজ বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন।
শাহরুখ খানের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতকে আগ বাড়িয়ে পরামর্শ দিয়ে নয়াদিল্লির সমালোচনার মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। শাহরুখের নিরাপত্তা বাড়াতে সোমবারই ভারতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেহমান মালিক। নিজের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক পাকিস্থান। রেহমান মালিককে পাল্টা পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। আগ বাড়িয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য পাকিস্থানের সমালোচনা করেন শাহরুখ খানও।
শাহরুখের নিরাপত্তা বাড়াতে সোমবারই ভারতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেহমান মালিক।
বিতর্ক শুরু একটি পত্রিকায় শাহরুখ খানের নিজের লেখা প্রবন্ধ নিয়ে। ওই প্রবন্ধে কিং খান লেখেন, নাইন ইলেভেনের পর মুসলিম হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। বহু রাজনীতিক তাঁকে দেশবিরোধীদের পর্যায়ে ফেলেছেন। অন্য দেশে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। শাহরুখের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দেন রেহমান মালিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। তাঁর বক্তব্য, আগে নিজের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক পাকিস্তান। ভারত নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। আগ বাড়িয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেছেন শাহরুখ খানও।
ভারতে তিনি ও তাঁর পরিবার যথেষ্ঠ নিরাপদেই আছেন বলেও জানিয়েছেন কিং খান।
আন্দোলনের হুমকিতে পাহাড়ে ফের অশান্তির মেঘ। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা সুর নরম করলেন। বললেন, ছোটরা কখনও কখনও অভিমান করে। আমি বড়। মেনে নেব।
মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গর তোলা বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করলেন, তিনি বিভেদের রাজনীতি করেন না৷ মোর্চাও করবে না৷ রাজ্য সরকার সম্পর্কে মোর্চার ক্ষোভকেও খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বললেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে জিটিএ-কে সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্য বজায় রাখারও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ সবার সংবিধান মেনে চলা উচিত৷ মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, তিনি কখনই অশান্তি চান না। পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নতির ওপরই গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেছেন, পাহাড় হাসছে৷ পাহাড়কে হাসানোও তাঁর চ্যালঞ্জ বলে মন্তব্য করেন মমতা৷ পাহাড়ের উন্নয়ন ও শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে রাজ্য সরকার বদ্ধ পরিকর বলে এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হিংসার রাজনীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। গতকালই গুরুঙ্গ হুঁশিয়ারি দেন গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাদের আন্দোলন আর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হবে না৷ সেই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, সংবিধান মেনেই সবাইকে চলতে হবে৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরা যেমন জন্মভূমির স্লোগান দিই, তেমনই মোর্চা গোর্খাল্যান্ডের স্লোগান দেয়৷ ওই স্লোগান না দিলে এদের দল চলবে না৷ আজ শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, গোখার্ল্যান্ডের দাবি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রাজনৈতিক দাবি৷ তা তাদের থাকতেই পারে বলে এদিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের কথা জিটিএ চুক্তিতেই উল্লেখ রয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের ঘোষণা করায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন মোর্চা নেতারা। তাঁরা দাবি করেন, পাহাড়ে বিভেদের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মমতা এদিন বলেছেন, প্রয়োজনে বৌদ্ধদের জন্যও আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণা করবেন তিনি।
এর আগে, আজ শিলিগুড়ির এনএইচপিসি বাংলোয় রাজেন সুখিয়া, বিশাল ছেত্রীর মতো পাহাড়ের প্রথম সারির তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বৈঠকে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব সহ সমতলের তৃণমূলের নেতারাও৷ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে গুরুঙ্গের হুঁশিয়ারির পর আগামীদিনে মোর্চাকে চাপে রাখতে পাহাড়ে তৃণমূলের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যেই এই বৈঠক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
http://abpananda.newsbullet.in/state/34-more/33086-2013-01-31-10-41-50
উপলক্ষ্য ছিল সুনীল স্মারক বক্তৃতা৷ আর সেখানেই অনাবশ্যক রাজনীতি টেনে এনে বিতর্ক উস্কে দিলেন মমতাপন্থী শিল্পী শুভাপ্রসন্ন৷ সোমবার বইমেলায় সুনীল স্মারক বক্তৃতা দিতে গিয়ে শুভাপ্রসন্ন অভিযোগ করেন, অকৃতীদের উঁচুতে তুলেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর অনেক কৃতিকেই তিনি দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন৷
নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন মমতাপন্থী এই শিল্পী৷ নাম না করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর ব্যাখ্যা, এক ব্যক্তির প্রতি ভালবাসার জন্য সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের মতো ঘটনায় গর্জে উঠতে পারেননি প্রয়াত সাহিত্যিক৷
প্রয়াত এই সাহিত্যিকের শেষযাত্রা হাইজ্যাকের অভিযোগ ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে৷ এবার সেই সাহিত্যিকের সম্পর্কে অভিযোগ করে বিতর্কের ঝড় তুললেন এক মমতাপন্থী৷ সুনীলের স্মৃতিচারণা করলেন শুভাপ্রসন্ন৷ কিন্তু, সেখানে সুনীলের লেখার থেকেও বেশি গুরুত্ব পেল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন৷ প্রশ্ন উঠছে, প্রয়াত সাহিত্যিকের স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য কী আদৌ যুক্তিযুক্ত? পাশাপাশি প্রবাদপ্রতীম এই সাহিত্যিক সম্পর্কে মমতাপন্থীর শিল্পীর এই অভিযোগ নয়া বিতর্কের জন্ম দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/33008-2013-01-29-04-34-23
কাঙ্ক্ষিত নন কলকাতায়, বার্তা রুশদিকে | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নিজস্ব প্রতিবেদন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তসলিমা নাসরিনের পর এ বার সলমন রুশদি। ২০০৭-এর নভেম্বরে তসলিমাকে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য করেছিল রাজ্য সরকার। সেটা ছিল বামফ্রন্টের রাজত্ব। ২০১৩-র জানুয়ারিতে সলমন রুশদির কলকাতায় আসা ঠেকাল রাজ্য সরকার। যখন জমানা তৃণমূলের। কী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অসহিষ্ণুতার উত্তরাধিকার অব্যাহত কলকাতায়। অথচ এই কলকাতাই ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার সময় গুজরাত থেকে পালিয়ে আসা কুতবউদ্দিনকে আশ্রয় দিয়েছিল। ধর্ম-সম্প্রদায় ভেদে বিপন্ন মানুষ এখানে আশ্রয় পান, এটাই ছিল এই রাজ্য তথা শহরের রেওয়াজ, সংস্কৃতি। কিন্তু ২০০৭-এর ২১ নভেম্বর কলকাতার রাজপথে এক দল লোকের বিশৃঙ্খল তাণ্ডব ও তার জেরে সেনা নামানোর পরিপ্রেক্ষিতে পর দিনই যখন তসলিমাকে এক রকম জয়পুরে যেতে বাধ্য করা হয়, তখনই জানা গিয়েছিল, এই শহরের চরিত্র বদলাচ্ছে। আর বুধবার রুশদি যখন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি সত্ত্বেও তাঁর এক দিনের কলকাতা সফর বাতিল করে দিলেন, তখন বোঝা গেল, এই শহর তার সহিষ্ণুতার ধর্মই হারিয়ে ফেলেছে। ভারতের স্বাধীনতা ও দেশভাগের প্রেক্ষাপটে রুশদির লেখা 'মিডনাটইস চিলড্রেন'-এর উপর ছবি তৈরি করেছেন দীপা মেটা। বুকার পুরস্কার জয়ী এই উপন্যাসে বাংলার প্রসঙ্গও রয়েছে, সুন্দরবনের সূত্র ধরে। সেই ছবিরই প্রচার উপলক্ষে গত সাত দিন ধরে বিনা বাধায় দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে গিয়েছেন রুশদি। এবং কোনও রকম ঝঞ্ঝাট ছাড়াই। কলকাতা ছিল দীপাদের প্রচার-তালিকায় একেবারে শেষে। রুশদির সঙ্গে দীপা এবং অভিনেতা রাহুল বসুরও আসার কথা ছিল এখানে। পাঁচ বছর আগেও রুশদি কলকাতায় এসেছিলেন। তখন কোনও গোলমাল হয়নি। তাই রুশদি ঠিক করেছিলেন, কলকাতায় যাচ্ছেন বলে বইমেলাও ঘুরে যাবেন। পুলিশের কাছে রুশদির যে-সফরসূচি এসে পৌঁছয়, তাতে দেখা যায়, তিনি বুধবার সন্ধ্যা সাতটার পর বইমেলায় যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হল না। রুশদির সঙ্গে দীপাও তাঁর কলকাতা সফর বাতিল করেন। কলকাতায় এ দিন সন্ধ্যায় ছবির প্রচারের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন শুধু রাহুল বসু। দীপা মেটার স্বামী ডেভিড হ্যামিল্টন ওই ছবির প্রযোজক। গত বছর জয়পুর সাহিত্য উৎসবে রুশদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। জয়পুরের দেখানো সেই পথেই এ বার হাঁটল কলকাতা। | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কলকাতায় বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কী ঘটেছিল মঙ্গলবার? মহাকরণ সূত্রের খবর, এ বার একেবারে শেষ মুহূর্তে, রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরোক্ষে রুশদির কাছে এই মর্মে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় যে, তিনি কলকাতায় কাঙ্ক্ষিত নন। এক জন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তাঁকে তা জানায় সরকার। পুলিশের বক্তব্য, রুশদি শহরে ঢুকলে কিছু মৌলবাদী সংগঠন বিক্ষোভ দেখাত, ছড়াত উস্কানি। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ মঙ্গলবার লালবাজারে যে রিপোর্টটি পাঠায়, তাতে বলা হয়, বিমানবন্দরে নামা মাত্র রুশদিকে বিক্ষোভ, স্লোগান, কালো পতাকা দেখানো বা পথরোধের মুখে পড়তে হতে পারে। কিন্তু লালবাজার ও মহাকরণের আশঙ্কা ছিল, রুশদির এই সফর ঘিরে শহর জুড়ে এর চেয়েও বড় অশান্তি হতে পারে। বস্তুত, এ দিন সকালে দু'টি সংগঠনের 'শ দেড়েক যুবক দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। রুশদির সফর যে বাতিল হয়ে গিয়েছে, সে খবর তাঁদের কাছে ছিল না। পরে খবর পেয়ে তাঁরা ফিরে যান। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁদের আশঙ্কা অমূলক ছিল না। বিশেষ করে, ২০০৭ সালে তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নেওয়ার পথে রাজ্য হাঁটতে চায়নি। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তার কথায়, "আমরা রুশদিকে আসতে বারণ করিনি। গোটা পরিস্থিতিটা তাঁকে জানিয়েছিলাম। তার পর তিনি নিজেই সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন।" রাজ্যের মুখপাত্র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ববি হাকিমের দাবি, রুশদির কলকাতা সফর নিয়ে রাজ্যের কাছে আগাম খবর ছিল না। তিনি বলেন, "কে রুশদিকে ডেকেছে, কেনই বা তিনি কলকাতায় আসবেন? সরকারের কাছে ওঁর আসার ব্যাপারে আগাম খবর ছিল না। কেউ মনে মনে ভেবে থাকতে পারেন বাংলায় যাব, আবার হয়তো ভেবেছেন যাব না এতে আমাদের কী করার আছে?" রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তারও দাবি, "মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাদের কাছে খবর আসে যে, লেখক সলমন রুশদি বুধবার মুম্বই থেকে কলকাতায় আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয়, ১২ ঘণ্টা আগে খবর পেয়ে রুশদির জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা কঠিন। কিছু ক্ষণ পর মুম্বই পুলিশ জানিয়ে দেয়, উনি কলকাতায় আসবেন না।" মন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা এ কথা বললেও ওই দফতরের অন্য এক কর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার চূড়ান্ত হলেও পুলিশ কিন্তু দু'তিন দিন আগেই জেনেছিল, রুশদির কলকাতায় আসার সম্ভাবনা আছে। প্রশাসনের একাংশ জানিয়েছে, রুশদির নিরাপত্তার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, বুধবার সকালে দশটা দশ নাগাদ মুম্বই থেকে জেট সংস্থার বিমানে (ফ্লাইট নম্বর নাইন ডব্লিউ ৬১৯) কলকাতায় নামার পরে রুশদিকে সকলের চোখের আড়ালে ছয় বা সাত নম্বর গেট দিয়ে বের করে আনা হবে। তার পর সেখানে গাড়ি বদল করে এক পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সেখানে থেকে তাঁর বাইপাসের ধারে আর একটি পাঁচতারা হোটেলে আসার কথা ছিল 'মিডনাইটস চিলড্রেন'-এর সাংবাদিক বৈঠকে। রুশদি নিজে চেয়েছিলেন বইমেলার এত কাছে এসে সেখানে ঘুরে যেতে। | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এত কিছুর পরেও তড়িঘড়ি কেন বিশ্বখ্যাত লেখকের জন্য দরজা বন্ধ করে দিল কলকাতা? রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সংখ্যালঘুদের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে, এমন কোনও কাজই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই রুশদির কলকাতায় আসার খবর পেয়ে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বইমেলার আয়োজকদের ফোন করে জানতে চান, তাঁরা রুশদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কি না এবং তিনি আসছেন কি না। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বইমেলার আয়োজকরা লিখিত ভাবে জানান যে, রুশদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই নথি রুশদির কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। গিল্ড-এর সভাপতি সুধাংশু দে বলেন, "মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিই, রুশদিকে গিল্ড-এর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ক্যালকাটা লিটারারি মিট-এর তরফে মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জানান, রুশদি নন, তবে রুশদির কাহিনির উপর তৈরি ছবির পরিচালক দীপা মেটা ও রাহুল বসুর উপস্থিত থাকার কথা তাঁদের মঞ্চে।" সরকারের এই সিদ্ধান্ত যে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিবৃতিতেই। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারণে ক্ষুব্ধ সিদ্দিকু্ল্লা কিন্তু এ দিন বলেছেন, "মমতার সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টা করছে।" তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান ইদ্রিশ আলি তো উচ্ছ্বসিত: "রুশদির পশ্চিমবঙ্গে আসা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন।" ঘটনাচক্রে, ২০০৭-এর নভেম্বরে তসলিমাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় এই ইদ্রিশকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সিপিএম কিন্তু মাপা ও সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "রুশদির কলকাতায় আসা রাজ্য সরকার চাইছে না, এটা সরকারি ভাবে বলা হয়নি। সরকারি ভাবে কিছু বলা না-হলে তার প্রতিক্রিয়া দেওয়া মুশকিল। নতুন করে সমস্যা তৈরি হতে দেওয়া উচিত নয়।" তসলিমাকে কলকাতা থেকে বিতাড়নের দাবিতে যে-দিন তাণ্ডব চলে, সে রাতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেছিলেন, "তসলিমার থাকা নিয়ে শহরে অশান্তি হলে তাঁর কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়াই উচিত।" তবে বিজেপি এর তীব্র সমালোচনা করেছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "সলমন রুশদি গুজরাতের যে কোনও শহরে এলে তাঁকে লাল কার্পেট পেতে স্বাগত জানানো হবে।" দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র নির্মলা সীতারামনের কথায়, "সলমন রুশদি, কমলহাসনদের বিরুদ্ধে যা ঘটছে, আমরা সেগুলিকে সঠিক বলে মনে করছি না।" দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, "সিপিএমের আমলে তসলিমা নাসরিন আর তৃণমূলের আমলে সলমন রুশদি। তৃণমূল তো সবেতেই সিপিএমের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে!" তসলিমা অবশ্য এ বারের ঘটনায় অবাক নন। বলেছেন, "আমার চেয়ে বড় ভুক্তোভোগী আর কে আছে?" খেদের সঙ্গে তিনি বলেন, "কলকাতা বইমেলায় আমায় যেতে দেওয়া হয় না। আমার বই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। সবাই যেন ভয় পায়।" রুশদির ঘটনায় তাঁর একটাই কথা বলার, "এ রকম ভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না।"কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কেউই এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নন। সূত্রের বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাই গোটা বিষয়টি রাজ্যই জানবে। কংগ্রেস মুখপাত্র পি সি চাকো বলেন, "আমাদের দল স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষে। তবে আমি জানি না ওখানে কী হয়েছে। কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজের মত দিতেই পারেন আর দেশের সব জায়গাতেও যেতে পারেন।" http://www.anandabazar.com/31cal1.html
Salman RushdieFrom Wikipedia, the free encyclopedia
Sir Ahmed Salman Rushdie (Kashmiri: अहमद सलमान रुशदी (Devanagari), احمد سلمان رشدی(Nastaʿlīq); pron.: /sælˈmɑːn ˈrʊʃdi/;[3] born 19 June 1947) is a British Indian novelist and essayist. His second novel, Midnight's Children (1981), won the Booker Prize in 1981. Much of his fiction is set on the Indian subcontinent. He is said to combine magical realism with historical fiction; his work is concerned with the many connections, disruptions and migrations between East and West. His fourth novel, The Satanic Verses (1988), was the centre of a major controversy, provoking protests from Muslims in several countries, some violent. Death threats were made against him, including a fatwā issued by Ayatollah Ruhollah Khomeini, the Supreme Leader of Iran, on 14 February 1989. Rushdie was appointed Commandeur de l'Ordre des Arts et des Lettres of France in January 1999.[4] In June 2007, Queen Elizabeth II knighted him for his services to literature.[5] In 2008, The Times ranked him thirteenth on its list of the fifty greatest British writers since 1945.[6] Since 2000, Rushdie has lived in the United States, where he has worked at Emory University and was elected to the American Academy of Arts and Letters. His most recent book is Joseph Anton: A Memoir, an account of his life in the wake of the controversy overThe Satanic Verses.
Early life and family backgroundThe only son of Anis Ahmed Rushdie, a University of Cambridge-educated lawyer turned businessman, and Negin Bhatt, a teacher, Rushdie was born in Bombay, India, into a Muslim family of Kashmiri descent.[1][7][8] Rushdie wrote in his 2012 memoir that his father adopted the name Rushdie in honour of Averroes (Ibn Rushd). He was educated at Cathedral and John Connon School in Mumbai,Rugby School, and King's College, University of Cambridge, where he studied history. CareerCopywriterRushdie's first career was as a copywriter, working for the advertising agency Ogilvy & Mather, where he came up with "irresistibubble" for Aero and "Naughty but Nice" for cream cakes, and for the agency Ayer Barker, for whom he wrote the memorable line "That'll do nicely" for American Express.[9] It was while he was at Ogilvy that he wrote Midnight's Children, before becoming a full-time writer.[10][11][12] John Hegarty of Bartle Bogle Hegarty has criticised Rushdie for not referring to his copywriting past frequently enough, although conceding: "He did write crap ads ... admittedly."[13] Major literary workHis first novel, Grimus, a part-science fiction tale, was generally ignored by the public and literary critics. His next novel, Midnight's Children, catapulted him to literary notability. This work won the 1981 Booker Prize and, in 1993 and 2008, was awarded the Best of the Bookers as the best novel to have received the prize during its first 25 and 40 years.[14] Midnight's Children follows the life of a child, born at the stroke of midnight as India gained its independence, who is endowed with special powers and a connection to other children born at the dawn of a new and tumultuous age in the history of the Indian sub-continent and the birth of the modern nation of India. The character of Saleem Sinai has been compared to Rushdie.[15] However, the author has refuted the idea of having written any of his characters as autobiographical, stating, "People assume that because certain things in the character are drawn from your own experience, it just becomes you. In that sense, I've never felt that I've written an autobiographical character."[16] After Midnight's Children, Rushdie wrote Shame (1983), in which he depicts the political turmoil in Pakistan, basing his characters onZulfikar Ali Bhutto and General Muhammad Zia-ul-Haq. Shame won France's Prix du Meilleur Livre Étranger (Best Foreign Book) and was a close runner-up for the Booker Prize. Both these works of postcolonial literature are characterised by a style of magic realismand the immigrant outlook that Rushdie is very conscious of as a member of the Indian diaspora. Rushdie wrote a non-fiction book about Nicaragua in 1987 called The Jaguar Smile. This book has a political focus and is based on his first-hand experiences and research at the scene of Sandinista political experiments. His most controversial work, The Satanic Verses, was published in 1988 (see section below). Rushdie has published many short stories, including those collected in East, West (1994). The Moor's Last Sigh, a family epic ranging over some 100 years of India's history was published in 1995. The Ground Beneath Her Feet (1999) presents an alternative history of modern rock music. The song of the same name by U2 is one of many song lyrics included in the book, hence Rushdie is credited as the lyricist. He also wrote "Haroun and the Sea of Stories" in 1990. Rushdie has had a string of commercially successful and critically acclaimed novels. His 2005 novelShalimar the Clown received, in India, the prestigious Hutch Crossword Book Award, and was, in Britain, a finalist for the Whitbread Book Awards. It was shortlisted for the 2007 International IMPAC Dublin Literary Award.[17] In his 2002 non-fiction collection Step Across This Line, he professes his admiration for the Italian writer Italo Calvino and the American writer Thomas Pynchon, among others. His early influences included James Joyce, Günter Grass, Jorge Luis Borges, Mikhail Bulgakov, and Lewis Carroll. Rushdie was a personal friend of Angela Carter and praised her highly in the foreword for her collection Burning your Boats. His latest novel is Luka and the Fire of Life, published in November 2010. Earlier in the same year, he announced that he was writing his memoirs,[18] entitled Joseph Anton: A Memoir, which was published in September 2012. In 2012, Salman Rushdie became one of the first major authors to embrace Booktrack (a company that synchronises ebooks with customised soundtracks) when he published his short story In the South on the platform.[19] Other activitiesRushdie has quietly mentored younger Indian (and ethnic-Indian) writers, influenced an entire generation of Indo-Anglian writers, and is an influential writer in postcolonial literature in general.[20] He has received many plaudits for his writings, including the European Union's Aristeion Prize for Literature, the Premio Grinzane Cavour (Italy), and the Writer of the Year Award in Germany and many of literature's highest honours.[21] Rushdie was the President of PEN American Center from 2004 to 2006 and founder of the PEN World Voices Festival.[22] He opposed the British government's introduction of the Racial and Religious Hatred Act, something he writes about in his contribution to Free Expression Is No Offence, a collection of essays by several writers, published by Penguin in November 2005. In 2007 he began a five-year term as Distinguished Writer in Residence at Emory Universityin Atlanta, Georgia, where he has also deposited his archives.[23] In May 2008 he was elected a Foreign Honorary Member of the American Academy of Arts and Letters.[24] Though he enjoys writing, Salman Rushdie says that he would have become an actor if his writing career had not been successful. Even from early childhood, he dreamed of appearing in Hollywood movies (which he later realised in his frequent cameo appearances). Rushdie includes fictional television and movie characters in some of his writings. He had acameo appearance in the film Bridget Jones's Diary based on the book of the same name, which is itself full of literary in-jokes. On 12 May 2006, Rushdie was a guest host on The Charlie Rose Show, where he interviewed Indo-Canadian filmmaker Deepa Mehta, whose 2005 film, Water, faced violent protests. He appears in the role of Helen Hunt's obstetrician-gynecologist in the film adaptation (Hunt's directorial debut) of Elinor Lipman's novel Then She Found Me. In September 2008, and again in March 2009, he appeared as a panellist on the HBO program "Real Time with Bill Maher". Rushdie is currently[when?] collaborating on the screenplay for the cinematic adaptation of his novel Midnight's Children with directorDeepa Mehta. The film will be called Midnight's Children.[25][26] Seema Biswas, Shabana Azmi, Nandita Das,[27] and Irrfan Khan are confirmed as participating in the film.[28] Production began in September 2010; [29] the film will be released on 26 October 2012.[30] Rushdie announced in June 2011 that he had written the first draft of a script for a new television series for the U.S. cable networkShowtime, a project on which he will also serve as an executive producer. The new series, to be called The Next People, will be, according to Rushdie, "a sort of paranoid science-fiction series, people disappearing and being replaced by other people." The idea of a television series was suggested by his U.S. agents, said Rushdie, who felt that television would allow him more creative control than feature film. The Next People is being made by the British film production company Working Title, the firm behind such projects as Four Weddings and a Funeral and Shaun of the Dead.[31] Rushdie is a member of the advisory board of The Lunchbox Fund,[32] a non-profit organisation which provides daily meals to students of township schools in Soweto of South Africa. He is also a member of the advisory board of the Secular Coalition for America,[33] an advocacy group representing the interests of atheistic and humanistic Americans in Washington, D.C. In November 2010 he became a founding patron of Ralston College, a new liberal arts college that has adopted as its motto a Latin translation of a phrase ("free speech is life itself") from an address he gave at Columbia University in 1991 to mark the two-hundredth anniversary of the first amendment to the U.S. Constitution.[34] He took on Facebook over the use of his name in 2011. He won. Rushdie had asked to use his middle name Salman, which he is most recognised by. He described his online identity crisis in a series of messages posted on Twitter, among them "Dear #Facebook, forcing me to change my FB name from Salman to Ahmed Rushdie is like forcing J. Edgar to become John Hoover" and "Or, if F. Scott Fitzgerald was on #Facebook, would they force him to be Francis Fitzgerald? What about F. Murray Abraham?" Messages such as these were then circulated online. Facebook eventually relented and allowed him to use the name by which he is universally known.[35][36] The Satanic Verses and the fatwā Further information: The Satanic Verses controversy The publication of The Satanic Verses in September 1988 caused immediate controversy in the Islamic world because of what was perceived as an irreverent depiction of the prophet Muhammad. The title refers to a disputed Muslim tradition that is related in the book. According to this tradition, Muhammad (Mahound in the book) added verses (sura) to the Qur'an accepting three goddesses who used to be worshipped in Mecca as divine beings. According to the legend, Muhammad later revoked the verses, saying the devil tempted him to utter these lines to appease the Meccans (hence the "Satanic" verses). However, the narrator reveals to the reader that these disputed verses were actually from the mouth of the Archangel Gibreel. The book was banned in many countries with large Muslim communities. (12 total: India, Bangladesh, Sudan, South Africa, Sri Lanka, Kenya, Thailand, Tanzania, Indonesia, Singapore, Venezuela and Pakistan) On 14 February 1989, a fatwā requiring Rushdie's execution was proclaimed on Radio Tehran by Ayatollah Ruhollah Khomeini, thespiritual leader of Iran at the time, calling the book "blasphemous against Islam" (chapter IV of the book depicts the character of anImam in exile who returns to incite revolt from the people of his country with no regard for their safety). A bounty was offered for Rushdie's death, and he was thus forced to live under police protection for several years. On 7 March 1989, the United Kingdom andIran broke diplomatic relations over the Rushdie controversy. The publication of the book and the fatwā sparked violence around the world, with bookstores firebombed. Muslim communities in several nations in the West held public rallies, burning copies of the book. Several people associated with translating or publishing the book were attacked, seriously injured, and even killed.[note 1] Many more people died in riots in some countries. Despite the danger posed by the fatwā, Rushdie made a public appearance at London's Wembley Stadium on 11 August 1993 during a concert by U2. In 2010, U2 bassist Adam Clayton recalled that "[lead vocalist] Bono had been calling Salman Rushdie from the stage every night on the Zoo TV tour. When we played Wembley, Salman showed up in person and the stadium erupted. You [could] tell from [drummer] Larry Mullen, Jr.'s face that we weren't expecting it. Salman was a regular visitor after that. He had a backstage pass and he used it as often as possible. For a man who was supposed to be in hiding, it was remarkably easy to see him around the place."[37] On 24 September 1998, as a precondition to the restoration of diplomatic relations with Britain, the Iranian government, then headed byMohammad Khatami, gave a public commitment that it would "neither support nor hinder assassination operations on Rushdie."[38][39] Hardliners in Iran have continued to reaffirm the death sentence.[40] In early 2005, Khomeini's fatwā was reaffirmed by Iran's current spiritual leader, Ayatollah Ali Khamenei, in a message to Muslim pilgrims making the annual pilgrimage to Mecca.[41] Additionally, theRevolutionary Guards declared that the death sentence on him is still valid.[42] Iran rejected requests to withdraw the fatwā on the basis that only the person who issued it may withdraw it,[41] and the person who issued it – Ayatollah Khomeini – has been dead since 1989. Rushdie has reported that he still receives a "sort of Valentine's card" from Iran each year on 14 February letting him know the country has not forgotten the vow to kill him. He said, "It's reached the point where it's a piece of rhetoric rather than a real threat."[43] Despite the threats on Rushdie, he publicly said that his family had never been threatened and that his mother (who lived in Pakistan during the later years of her life) even received outpourings of support.[44] A former bodyguard to Rushdie, Ron Evans, planned to publish a book recounting the behaviour of the author during the time he was in hiding. Evans claimed that Rushdie tried to profit financially from the fatwa and was suicidal, but Rushdie dismissed the book as a "bunch of lies" and took legal action against Evans, his co-author and their publisher.[45] On 26 August 2008, Rushdie received an apology at the High Court in London from all three parties.[46] A memoir of his years of hiding, Joseph Anton, was released on 18 September 2012. Joseph Anton was Rushdie's secret alias.[47] In February 1997, Ayatollah Hasan Sane'i, leader of the bonyad panzdah-e khordad (Fifteenth of Khordad Foundation), reported that the blood money offered by the foundation for the assassination of Rushdie would be increased from $2 million to $2.5 million.[48] Then a semi-official religious foundation in Iran increased the reward it had offered for the killing of Rushdie from $2.8 million to $3.3 million dollars.[49] Failed assassination attempt and Hezbollah's commentsOn 3 August 1989, while Mustafa Mahmoud Mazeh was priming a book bomb loaded with RDX explosives in a hotel in Paddington, Central London, the bomb exploded prematurely, destroying two floors of the hotel and killing Mazeh. A previously unknown Lebanesegroup, the Organization of the Mujahidin of Islam, said he died preparing an attack "on the apostate Rushdie". There is a shrine in Tehran's Behesht-e Zahra cemetery for Mustafa Mahmoud Mazeh that says he was "Martyred in London, 3 August 1989. The first martyr to die on a mission to kill Salman Rushdie." Mazeh's mother was invited to relocate to Iran, and the Islamic World Movement of Martyrs' Commemoration built his shrine in the cemetery that holds thousands of Iranian soldiers slain in the Iran–Iraq War.[38] During the 2006 Jyllands-Posten Muhammad cartoons controversy], Hezbollah leader Hassan Nasrallah declared that "If there had been a Muslim to carry out Imam Khomeini's fatwā against the renegade Salman Rushdie, this rabble who insult our Prophet Mohammed in Denmark, Norway and France would not have dared to do so. I am sure there are millions of Muslims who are ready to give their lives to defend our prophet's honour and we have to be ready to do anything for that."[50] James Phillips of the Heritage Foundation testified before the United States Congress that a "March 1989" [sic] explosion in Britain was a Hezbollah attempt to assassinate Rushdie that failed when a bomb exploded prematurely, killing a Hezbollah terrorist in London. International GuerillasIn 1990, soon after the publication of The Satanic Verses, a Pakistani film entitled International Gorillay (International Guerillas) was released that depicted Rushdie as plotting to cause the downfall of Pakistan by opening a chain of casinos and discos in the country. The film was popular with Pakistani audiences, and it "presents Rushdie as a Rambo-like figure pursued by four Pakistani guerrillas".[51]The British Board of Film Classification refused to allow it a certificate, as "it was felt that the portrayal of Rushdie might qualify as criminal libel, causing a breach of the peace as opposed to merely tarnishing his reputation." This effectively prevented the release of the film in Britain. Two months later, however, Rushdie himself wrote to the board, saying that while he thought the film "a distorted, incompetent piece of trash", he would not sue if it were released. He later said, "If that film had been banned, it would have become the hottest video in town: everyone would have seen it". While the film was a great hit in Pakistan, it went virtually unnoticed elsewhere.[52] 2012 Jaipur Literature Festival eventsMain article: Jaipur Literature Festival Rushdie was due to appear at the Jaipur Literature Festival in January 2012.[53] However, he later cancelled, and indeed cancelled his complete tour of India citing a possible threat to his life as the primary reason.[54][55] He investigated police reports that paid assassins had been hired to kill him and suggested the police might be lying.[56] Meanwhile, the police, on the advice of officials, sought Ruchir Joshi, Jeet Thayil, Hari Kunzru and Amitava Kumar. They fled from Jaipur after reading excerpts from The Satanic Verses at the Jaipur Literature Festival. In India the import of the book is banned via customs. However, reading from an existing copy of the book is not illegal.[57] A proposed video link session between Rushdie and the Jaipur Literature Festival was cancelled at the last minute[58] after the government pressured the festival to stop it.[56] Rushdie returned to India to address a conference in Delhi on 16 March 2012.[59] KnighthoodMain article: Knighthood of Salman Rushdie Rushdie was knighted for services to literature in the Queen's Birthday Honours on 16 June 2007. He remarked, "I am thrilled and humbled to receive this great honour, and am very grateful that my work has been recognised in this way."[60] In response to his knighthood, many nations with Muslim majorities protested. Parliamentarians of several of these countries condemned the action, and Iran and Pakistan called in their British envoys to protest formally. Controversial condemnation issued by Pakistan's Religious Affairs Minister Muhammad Ijaz-ul-Haq was in turn rebuffed by former Prime Minister Benazir Bhutto. Ironically, their respective fathers Zia-ul-Haq and Zulfikar Ali Bhutto had been earlier portrayed in Rushdie's novel Shame. Mass demonstrations against Rushdie's knighthood took place in Pakistan and Malaysia. Several called publicly for his death. Some non-Muslims expressed disappointment at Rushdie's knighthood, claiming that the writer did not merit such an honour and there were several other writers who deserved the knighthood more than Rushdie.[61] Al-Qaeda condemned the Rushdie honour. The Al-Qaeda leader Ayman al-Zawahiri is quoted as saying in an audio recording that Britain's award for Indian-born Rushdie was "an insult to Islam", and it was planning "a very precise response."[62] Religious and political beliefsRushdie came from a Muslim family though he is an atheist now. In 1990, in the "hope that it would reduce the threat of Muslims acting on the fatwa to kill him," he issued a statement claiming he had renewed his Muslim faith, had repudiated the attacks on Islam in his novel and was committed to working for better understanding of the religion across the world. However, Rushdie later said that he was only "pretending".[63] His books often focus on the role of religion in society and conflicts between faiths and between the religious and those of no faith. Rushdie advocates the application of higher criticism, pioneered during the late 19th century. Rushdie called for a reform in Islam[64] in a guest opinion piece printed in The Washington Post and The Times in mid-August 2005:
Rushdie supported the 1999 NATO bombing of the Federal Republic of Yugoslavia, leading the leftist Tariq Ali to label Rushdie and other "warrior writers" as "the belligerati'".[65] He was supportive of the US-led campaign to remove the Taliban in Afghanistan, which began in 2001, but was a vocal critic of the 2003 war in Iraq. He has stated that while there was a "case to be made for the removal of Saddam Hussein", US unilateral military intervention was unjustifiable.[66] In the wake of the Jyllands-Posten Muhammad cartoons controversy in March 2006—which many considered an echo of the death threats and fatwā that followed publication of The Satanic Verses in 1989—Rushdie signed the manifesto Together Facing the New Totalitarianism, a statement warning of the dangers of religious extremism. The Manifesto was published in the left-leaning French weekly Charlie Hebdo in March 2006. In 2006, Rushdie stated that he supported comments by the then-Leader of the House of Commons Jack Straw, who criticised the wearing of the niqab (a veil that covers all of the face except the eyes). Rushdie stated that his three sisters would never wear the veil. He said, "I think the battle against the veil has been a long and continuing battle against the limitation of women, so in that sense I'm completely on Straw's side."[67] The Marxist Catholic critic Terry Eagleton, a former admirer of Rushdie's work, attacked him for his positions, saying he "cheered on the Pentagon's criminal ventures in Iraq and Afghanistan".[68] However, Eagleton subsequently apologised for having misrepresented Rushdie's views. At an appearance at 92nd Street Y, Rushdie expressed his view on copyright when answering a question whether he had considered copyright law a barrier (or impediment) to free speech.
When Amnesty International (AI) suspended human rights activist Gita Sahgal for saying to the press that she thought AI should distance itself from Moazzam Begg and his organisation, Rushdie said:
Rushdie is a supporter of gun control, blaming a shooting at a Colorado cinema in July 2012 on the American right to keep and bear arms.[71][72] Personal lifeRushdie has been married four times. He was married to his first wife Clarissa Luard from 1976 to 1987 and fathered a son, Zafar (born 1980). His second wife was the American novelist Marianne Wiggins; they were married in 1988 and divorced in 1993. His third wife, from 1997 to 2004, was Elizabeth West; they have a son, Milan (born 1999). In 2004, he married the Indian American actress and model Padma Lakshmi, the host of the American reality-television show Top Chef. The marriage ended on 2 July 2007, with Lakshmi indicating that it was her desire to end the marriage. In 2008 the Bollywood press romantically linked him to the Indian model Riya Sen, with whom he was otherwise a friend.[73] In response to the media speculation about their friendship, she simply stated "I think when you are Salman Rushdie, you must get bored with people who always want to talk to you about literature."[74] In 1999 Rushdie had an operation to correct ptosis, a tendon condition that causes drooping eyelids and that, according to him, was making it increasingly difficult for him to open his eyes. "If I hadn't had an operation, in a couple of years from now I wouldn't have been able to open my eyes at all," he said.[75] Since 2000, Rushdie has "lived mostly near Union Square" in New York City.[76] BibliographyNovels
Collections
Children's books
Essays and non-fiction
Awards
See also
NotesReferences
External links
Categories:
|