Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti basu is DEAD

Jyoti Basu: The pragmatist

Dr.B.R. Ambedkar

Memories of Another Day

Memories of Another Day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Saturday, January 26, 2013

।তাহলে মানতেই হয়, দিল্লীই হল গোটা ভারতবর্ষ। এই ভারতবর্ষে সোনী সোরী নাম্নী এক পুলিসধর্ষিতা আদিবাসী রমনী, সশস্ত্র সৈন্য বিশেষাধিকার আইনের আওতায় বার বার ধর্ষিত কাশ্মীর বা পুরো পুর্বোত্তর ভারতের কোনও অস্তিত্ব নেই।অস্তিত্ব নেই বারো বছর যাবত আমরণ অনশনে বসা মমিপুরি নারী ইরোম সর্মিলা ও তাঁর ধর্ষিতা মায়েদের।অস্তিত্ব নেই ভারত ভাগের বলি সারা দেশে নির্বাসিত বাঙ্গালির ইতিহাস ভূগোলের বাইরে ফেলে দেওয়া তফশিলী উদ্বাস্তুদের, যাদির এই ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করার সমস্ত ইন্তজামই করেছেন প্রণব মুখার্জী। শুধু বাঙ্গালিদের নাগরিকত্বই সন্দিগ্ধ, কেন? শুধু বাঙ্গালি বিতাড়নে ইউনিক আইডেন্টিট কার্ড করপোরেট প্রকল্প?প্রণব মুখার্জীর ভারতবর্ষে সলওয়া জুড়ুমে রক্তাক্ত দন্ডকারণ্যেরও কোনও অস্তিত্ব নেই।জাস্টিস ভার্মা গণধর্ষণের লাইসেন্স সশস্ত্র সৈন্য বিশেষাধিকার আইন রদ করার সিফারিশ করেছেন। তিনি দাগী রাজনৈতিক নেতাদের নিষিদ্ধ করার কথাো বলেছেন। কেন্দ্র সরকার পত্রপাঠ দুটি প্রসঙ্গি খারিজ করে দিয়েছে। এতই যদি সমাজবাদী প্রণবমুখার্জী, এতই যদি মজবুত তাঁর বুকের পাটা, তাহলে এই প্রসঙ্গে েকটি কথা বলার হিম্মত হল না কেন তাঁর? পলাশ বিশ্বাস

।তাহলে মানতেই হয়, দিল্লীই হল গোটা ভারতবর্ষ। এই ভারতবর্ষে সোনী সোরী নাম্নী এক পুলিসধর্ষিতা আদিবাসী রমনী, সশস্ত্র সৈন্য বিশেষাধিকার আইনের আওতায় বার বার ধর্ষিত কাশ্মীর বা পুরো পুর্বোত্তর ভারতের কোনও অস্তিত্ব নেই।অস্তিত্ব নেই বারো বছর যাবত আমরণ অনশনে বসা মমিপুরি নারী ইরোম সর্মিলা ও তাঁর ধর্ষিতা মায়েদেরঅস্তিত্ব নেই ভারত ভাগের বলি সারা দেশে নির্বাসিত বাঙ্গালির ইতিহাস ভূগোলের বাইরে ফেলে দেওয়া তফশিলী উদ্বাস্তুদের, যাদির এই ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করার সমস্ত ইন্তজামই করেছেন প্রণব মুখার্জী। শুধু বাঙ্গালিদের নাগরিকত্বই সন্দিগ্ধ, কেন? শুধু  বাঙ্গালি বিতাড়নে ইউনিক আইডেন্টিট কার্ড করপোরেট প্রকল্প?প্রণব মুখার্জীর ভারতবর্ষে সলওয়া জুড়ুমে রক্তাক্ত দন্ডকারণ্যেরও কোনও অস্তিত্ব নেই।জাস্টিস ভার্মা গণধর্ষণের লাইসেন্স সশস্ত্র সৈন্য বিশেষাধিকার আইন রদ করার সিফারিশ করেছেন। তিনি দাগী রাজনৈতিক নেতাদের নিষিদ্ধ করার কথাো বলেছেন। কেন্দ্র সরকার পত্রপাঠ দুটি প্রসঙ্গি খারিজ করে দিয়েছে। এতই যদি সমাজবাদী প্রণবমুখার্জী, এতই যদি মজবুত তাঁর বুকের পাটা, তাহলে এই প্রসঙ্গে েকটি কথা বলার হিম্মত হল না কেন তাঁর?

 পলাশ বিশ্বাস

আজ ৬৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস। রাজধানী দিল্লিসহ দেশের সর্বত্র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির বিজয়চকে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।ব্যাস, আর কি চাই?প্রতিবারের দুর্গা পুজোর মত গণতন্ত্র পুজোও হয়ে গেল
।ব্রাঙমণ্যতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানতম পুরোহিত বাঙ্গালি কুলীন ব্রাহ্মণ প্রণবমুখার্জী গায়ত্রীমন্ত্র জপ করলে ষোলো কলা পূর্ণ হত।তিনি নাকি ইন্দিরাজমানার সমাজবাদী, নেহরু মতাদর্শের উত্থরসুরী।তাই রাষ্ট্রপতি হিসাবে রাষ্ট্রেন নামে প্রথম সম্বোধনে আর্থিক সংস্কারের নাকি সমালোচনা করেছেন!ইন্দিরার সমাজবাদ ও গরিবি হটাও এর নামে জোর জবরদস্তী নসবন্দী ও ইমারজেন্সী সেই আদর্শেরই অঙ্গ। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী দিল্লী গণধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রবল যুব আক্রোশের আলোকে কার্যপালিকার কঠোর সমালোচনা ও করেছেন করেছেন যুবাশক্তির আবাহন। সেই যুবাশক্তির পূর্ণব্রহ্ম অবতার নিশ্চয়ই গাঁধী নেহরু রাজবংশের যুবরাজ রাহুল গান্ধী, সমাবেশী উন্নয়নের বুলি যার রাজ্যাভিষেক প্রয়োজনে, যেহেতু হিন্দুত্বের সেনাধিপতি দিল্লী আক্রমণে প্রস্তুত।তাহলে মানতেই হয়, দিল্লীই হল গোটা ভারতবর্ষ। এই ভারতবর্ষে সোনী সোরী নাম্নী এক পুলিসধর্ষিতা আদিবাসী রমনী, সশস্ত্র সৈন্য বিশেষাধিকার আইনের আওতায় বার বার ধর্ষিত কাশ্মীর বা পুরো পুর্বোত্তর ভারতের কোনও অস্তিত্ব নেই।অস্তিত্ব নেই বারো বছর যাবত আমরণ অনশনে বসা মমিপুরি নারী ইরোম সর্মিলা ও তাঁর ধর্ষিতা মায়েদের।অস্তিত্ব নেই ভারত ভাগের বলি সারা দেশে নির্বাসিত বাঙ্গালির ইতিহাস ভূগোলের বাইরে ফেলে দেওয়া তফশিলী উদ্বাস্তুদের, যাদির এই ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করার সমস্ত ইন্তজামই করেছেন প্রণব মুখার্জী। শুধু বাঙ্গালিদের নাগরিকত্বই সন্দিগ্ধ, কেন? শুধু  বাঙ্গালি বিতাড়নে ইউনিক আইডেন্টিট কার্ড করপোরেট প্রকল্প?প্রণব মুখার্জীর ভারতবর্ষে সলওয়া জুড়ুমে রক্তাক্ত দন্ডকারণ্যেরও কোনও অস্তিত্ব নেই

জাস্টিস ভার্মা গণধর্ষণের লাইসেন্স সশস্ত্র সৈন্য বিশেষাধিকার আইন রদ করার সিফারিশ করেছেন। তিনি দাগী রাজনৈতিক নেতাদের নিষিদ্ধ করার কথাো বলেছেন। কেন্দ্র সরকার পত্রপাঠ দুটি প্রসঙ্গি খারিজ করে দিয়েছে। এতই যদি সমাজবাদী প্রণবমুখার্জী, এতই যদি মজবুত তাঁর বুকের পাটা, তাহলে এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলার হিম্মত হল না কেন তাঁর?

তিনি উন্নয়নের কথা বলেছেন, অর্থব্যবস্থারও প্রসঙ্গ তুলেছেন

কাদের উন্নয়ন, কোন অর্থব্যবস্থার?ন্যাটোর ডিজিটাল  নাগরিকত্ব 2003, 2005এ  সংবিধান সংশোধনী দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন বলে করপোরেট আধার প্রকল্পের ছাতায একচেটিয়া করপোরেট আগ্রাসনে বহুসংখ্যক মানুষকে জল, জমি, জঙ্গল, আজীবিকা ও নাগরিকত্ব থেকে উত্কাত করে বাজারমুখী গণসংহার সংস্কৃতির জায়নবাদী ব্রাঙ্মণ্যতান্ত্রিক বন্দোবস্তকে মজবূত করার সব ইন্তজাম শেষে।তিনি নক্সাল ও মাওবাদী সঙ্কটের কথা বলেছেন, কিন্তু রাষ্ট্রের মিলিটারিআইজেশন, নাগরিকদের সম্প্রভুত্ব ও  গোপনীয়তা উলঙ্ঘনের কথা বলেন নি।বলেন নি কেন ভারতবর্ষ ইজরাইলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধে পার্টনর। বলেননি কেন সর্বক্ষন যুদ্ধের দামাম বাজছে কাদের স্বার্থে

বলেন নি সংবিধান অনুযায়ী পন্চম ও ষষ্ঠ শিডউলের অন্তর্গত অধিকার থেকে বনিচিত দেশের সমস্ত আদিবাসী মানুষকে কেন নক্সাল ও মাওবাদী চিন্হত করে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যুদ্ধঘোষণা করেছে এবং এর জন্য আন্তরিক সুরক্ষার দায় দায়িত্ব সিআইএ ও মোসাদ ছাড়াও আধার অন্তরালে করপোরেট ইন্ডিযাকে সমর্পণ করা হল। ভারতীয় সংবিধান ত বটেই, ান্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পৃথীবীতে বেনাগরিক কেউই নয়।কোনো পরিস্থিতিতে নাগরিক ও মানবঅধিকার লঙ্ঘত হওয়া বান্ছিত নয়। তবে কেন অসংবৈধানিক বেআইনী করপোরেট প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে নকদ সাবসিডি? কেন যুক্ত হবে বেতন আর পিএফ?

গার নিয়ে প্রণববাবুকে ধোয়া তুলসী পাতা বলা হচ্ছে।কিন্তু প্রণব বাবুই ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড,জিএসটি, বিদেশী বিনিয়োগ ও অবাধ পুঁজি প্রবাহের ভাগীরথ। তিনি কালো টাকাকে সাদা করার জন্য আম মাফীর পক্ষপাতী। চিদম্বরম যেমন বলেছেন ধনীদের আরও ট্যাক্স দিতে হবে, সুশীল সমাজের আন্দোলনকে তোল্লাই দিয়ে বাস্তবিক গণআন্দোলনকে দমনকরার রণকৌশলেই রাষ্ট্রের নামে রাষ্ট্রপতির এই সম্বোধন।তিনি গেরুয়া সন্ত্রাস নিয়ে একটি কথা বলেন নি।রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে একটি কথাও উচ্চারণ করেন নি। রোজ গাযন্ত্রীমন্ত্র জপে গমসংহারের দেব দেবীকে াবাহন করে যার দিন শুরু হয়, রাষ্ট্রপতি ভবনকে যিনি একাধারে আম্বানিদের বিলাসগৃহ ও হিন্দুত্বের চন্ডীমন্ডপে পরিণত করেছেন, আর্থিক সংস্কারের অশ্বমেধের বিরুদ্দে যজ্ঞের সেই প্রধান পুরোহিতের বোল যুবরাজের রাজ্যাভিষেকেরই রণকৌশল মাত্র

ধর্ষণ বা নারী নিগ্রহে অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনে দাঁড়াতে না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে ভার্মা কমিশনের রিপোর্টে৷ আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট (আফস্পা) প্রত্যাহারের পক্ষেও সওয়াল করেছে কমিশন৷ কিন্ত্ত সেই রিপোর্টের সঙ্গে একমত নন আইনমন্ত্রী অশ্বিন কুমার৷ তাঁর বক্তব্য, যতক্ষণ না ওই ব্যক্তি অপরাধী প্রমাণিত হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ভোটে লড়তে পারবেন৷ উপদ্রুত এলাকায় থেকে যাবে আফস্পাও৷

বেসরকারি চ্যানেলে এক সাক্ষাত্কারে আইনমন্ত্রী জানান, অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াটা তাঁদের সঙ্গে অবিচার৷ উল্লেখ্য, বুধবার বিচারপতি ভার্মা ফৌজদারি আইনে নানা পরিবর্তনের সুপারিশ করেছিলেন৷ তার মধ্যে বারবার বলা হয়েছে নির্বাচনী আইনে পরিবর্তনের কথা৷

বর্তমানে বহু সাংসদ ও বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি-সহ নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে৷ বিচারপতি ভার্মা বলেন, রাজনীতিকদের ক্ষেত্রে যদি এ ধরনের অভিযোগ ওঠে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের নির্বাচনে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক৷ তাঁরা নিরপরাধ প্রমাণিত হলে তবেই ফের ভোটে দাঁড়াতে পারবেন৷ প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনও অন্তত তিন বার এই একই সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছিল৷ প্রতিবারই তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে৷ এ বার সেই একই সুপারিশ করল ভার্মা কমিশন এবং তা-ও যে খারিজই করা হবে সে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন অশ্বিন কুমার৷ তাঁর এই বক্তব্যে একটা কথা খুব স্পষ্ট, একই অপরাধের জন্য সমাজের অন্যরা যে শাস্তি পেতে পারেন, তার মধ্যে পড়েন না কোনও রাজনীতিকই৷ তাঁরা 'বিশেষ সুবিধাভোগী' শ্রেণি হয়েই থেকে যাবেন৷

উল্লেখ্য, নবম লোকসভা নির্বাচনে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এমন ৬৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন৷ বর্তমান লোকসভাতে এই সংখ্যা ১০০-র উপর৷ একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে তাতে ২৬০ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগ ছিল৷ তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছিলেন ২২ জন৷

আইনমন্ত্রীর কথায় এ-ও স্পষ্ট হয়েছে যে আফস্পা পাঁচ রাজ্য থেকে সম্ভবত তোলার কথা বিবেচনা করা হবে না৷ সেনাবাহিনীর লোকেদেরও যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণ আইনের আওতায় আনা কঠিন৷ ভার্মা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফস্পাকে কাজে লাগিয়ে জওয়ানরা ওই অঞ্চলে নানা যৌন অপরাধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তার উদাহরণ মনোরমা দেবী, শর্মিলা চানুরা৷ তাই কমিটির সুপারিশ, যদি আফস্পা প্রত্যাহার করতে সরকার একান্তই অপারগ হয়, সে ক্ষেত্রে জওয়ানদের বিচার হোক সাধারণ ফৌজদারি আইনে৷ কিন্ত্ত সে সুপারিশ মানার পক্ষপাতী নয় সরকার৷

নারী নিগ্রহ, পুলিশি ব্যবস্থা-সহ অন্যান্য সুপারিশ নিয়ে বাজেট অধিবেশনেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বসে জানিয়েছেন তিনি৷

আজ ৬৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস। রাজধানী দিল্লিসহ দেশের সর্বত্র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির বিজয়চকে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ অতিথি ছিলেন ভুটানের রাজা জিগমে ওয়াংচুখ। 

প্রতিবারের মতো এবারও প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতার রেড রোডে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। ৯টা ৫৫ মিনিটে অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ৯টা ৫৬ মিনিটে আসেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। ৯টা ৫৮য় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । সকাল ১০টা থেকে শরু হয় প্যারেড। অংশ গ্রহণ করে  সরকারের বিভিন্ন দফতরের সুসজ্জিত ২৬টি ট্যাবলো। অংশ নেয় ১৬টি স্কুল।  প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কড়া নজরদারি শহরজুড়ে।  


দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড `হৃদয় বিদারক` একইসঙ্গে `চাঞ্চল্যকর`। ৬৪তম গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেশবাদীকে ভাষণে এই মন্তব্যই করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী। ১২ ডিসেম্বরের পর এক মাস কেটে গিয়েছে। তবে প্রতিবাদ আর আন্দোলনের সেই স্মৃতি এখনও ম্লান হয়ে যায়নি দেশবাসীর মন থেকে। ফলে নৃশংস সেই গণধর্ষণের প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রপতি বলেন, "মহিলার সঙ্গে পাশবিকতা অর্থ সমাজের সঙ্গে পাশবিকতা।" 

দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীর স্মৃতির প্রতি গভীর শোঁক ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, "আমরা শুধু একটা তাজা জীবনকেই হারালাম না, আমরা একটা স্বপ্নও হারালাম।" টানা কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে চলা আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিল যুব সম্প্রদায়। আজ তাঁদেরও পাশে দাঁড়ালেন রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "ওই ঘটনায় ভারতের যুব সমাজ যদি ক্ষুব্ধ হয়। তাতে আমরা কী তাঁদের দোষ দিতে পারি?" 

এ দিনের ভাষণে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি স্পষ্ট করে দেন, ভারত যেকোনও মূল্যে পাকিস্তানকে বন্ধুত্বের হাত বারাতে প্রস্তুত। কিন্তু সেটিকে নিশ্চিত ধরে নেওয়া উচিত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রণব বাবু। 

সম্প্রতি পাক সেনার হাতে দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারত-পাক সীমান্তে বেশ কিছু নৃশংসতার নজির দেখেছে ভারত। তিনি বলেন, "প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু জঙ্গি সংগঠনগুলির মাধ্যমে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া দু`দেশের পক্ষেই ক্ষতিকারক।"


প্রণব মুখার্জী
উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারতের স্বাধীনতার পঁয়ষট্টি বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একজন বাঙালী রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত হলেন। এই অর্জন, এই সফলতা পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্য যেমন আনন্দের তেমনিভাবে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের জন্যও আনন্দের। ভারতের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাথে আমাদের রয়েছে এক আত্মিক ও সংস্কৃতিগত বন্ধন। তাই প্রথম বাঙালী হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া দুই বাংলার জন্যই গর্বের বিষয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ভাষাভাষীর শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপতির আসনটি অলঙ্কৃত করেছেন। বাঙালীর দীর্ঘদিনের লালিত এই আশাটি পূরণ হচ্ছিল না। কিন্তু এবার ২০১২ সালে ত্রয়োদশতম রাষ্ট্রপতির পদটি অলঙ্কৃত করেছেন একজন বাঙালী, একজন প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রণব মুখার্জী। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের বুক যেমন গর্বে ভরে উঠেছে তেমনি বাংলাদেশের মানুষরাও বাঙালী হিসেবে আনন্দিত।
ভারতের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রণব মুখার্জী ১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম জেলার কীর্নাহারের মিরাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের রাজনীতিতে চানক্য বলে পরিচিত প্রণব মুখার্জী ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন আবার আইনশাস্ত্রেও ডিগ্রী অর্জন করেন। কলকাতার ডেপুটি এ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল অফিসে তিনি ইউডি ক্লার্ক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। এরপর কিছুদিন কলেজে শিক্ষকতাও করেন। কিছুদিন ছিলেন দেশের ডাক পত্রিকার সাংবাদিক। ১৯৫৭ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশের নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রাবিলা গ্রামের শুভ্রা ঘোষের সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। ১৯৬৯ সালে জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। কংগ্রেসের নেতা কৃষ্ণ মেনন মেদিনীপুর থেকে লোকসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন। এ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন প্রণব মুখার্জী। আর তাঁর এই অবদান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নজর কাড়ে। এরপর তাঁকে আর রাজনৈতিক জীবনে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কালক্রমে ইন্দিরা গান্ধীর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তিনি ডেপুটি শিল্পমন্ত্রী হন। ১৯৮২-৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর অর্থমন্ত্রী। ১৯৮৪ সালে সারা বিশ্বে সফলতম অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রণব মুখার্জী স্বীকৃতি পান। ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর রাজীব গান্ধীর আমলে তিনি কিছুকাল কোণঠাসা ছিলেন। নরসীমা রাও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি আবার রাজনৈতিক প্লাটফর্মে সক্রিয় হন। প্রণব মুখার্জী ১৯৯৫-৯৬ সালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। কংগ্রেসে সোনিয়া গান্ধীর প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রণব মুখার্জী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ২০০৪ সাল থেকে লোকসভায় কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা ছিলেন। দীর্ঘ এই রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে যে কোন সমস্যা সমাধানে তিনি ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তিনি সবার কাছেই ছিলেন জনপ্রিয়। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণব মুখার্জীর ব্যক্তি পর্যায়ে হৃদতা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক অনেক সমস্যা সমাধানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় পশ্চিম বাংলার মানুষেরা যেমন আনন্দে বিহ্বল হয়েছে তেমনি বাংলাদেশের নড়াইলের মানুষেরাও আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করে নিজেদের ভালবাসা প্রকাশ করেছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জী ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

সংবিধান রক্ষাই হবে প্রধান কাজ: প্রণব মুখার্জী


আগরতলা করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা (ত্রিপুরা) : দেশের সংবিধান রক্ষা করাই হবে আমার প্রধান কাজ। শনিবার ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথাই বলেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী প্রণব মুখার্জী।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে তিনি শনিবার ত্রিপুরায় আসেন। 

সিপিএম এবং কংগ্রেস বিধায়ক সাংসদ এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রণব মুখার্জী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলেন তিনি সাংবাদক সম্মেলনে।

তিনি বলেন, "আমি এখানে মন্ত্রী বা দলের সদস্য হিসেবে আসিনি। ফলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক মন্তব্য করবো না।" 

তবে তিনি তার দল কংগ্রেসের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "আমি দলকে যতোটা দিয়েছি দল তার চেয়ে আমাকে অনেক বেশি দিয়েছে।"

প্রণব মুখার্জীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ছেন পি এ সাংমা। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ। প্রণব মুখার্জী জানান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভোট প্রচারে এসে তার প্রতি সমর্থন দেখে তিনি অভিভূত। 

তাকে সমর্থন করার জন্য এ আঞ্চলের সবকটি রাজনৈতিক দলকে তিনি ধন্যবাদ জানান। 

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর


'অতি ধনী'দের বেশি কর দেওয়ার যুক্তি ভারতেরও ভেবে দেখা উচিত৷ সিঙ্গাপুরে এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে এ কথা বললেন অর্থমন্ত্রী পালানিয়াপ্পন চিদম্বরম৷ এই খবর প্রচারিত হওয়ার পরই দিনের শুরু থেকে শেয়ার বাজার পড়তে শুরু করে৷ 

ভারতে করের সর্বোচ্চ হার বর্তমানে ৩০ শতাংশ৷ যাদের বছরে আয় ১০ লক্ষ টাকা ও তার বেশি তাদেরকেই এই হারে আয়কর দিতে হয়৷ ১৯৯৭ সাল থেকেই এই হার অপরিবর্তিত থাকলেও, সরকার আয়করের উপর সারচার্জ তুলে দিয়েছে বছর দু'য়েক আগে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই সারচার্জ আবার ফিরিয়ে আনা হতে পারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের বাজেটে৷ বিনিয়োগ টানতে অর্থমন্ত্রী এশিয়া ও ইউরোপের চার শহর সফরে বেরিয়েছেন৷ বুধবারই বিনিয়োগকারীদের বৈঠকে ভারতের অর্থমন্ত্রী কর কাঠামোয় স্থিতীশীলতা আনার পক্ষে সওয়াল করেন৷ ভারতের অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, 'আমি স্থিতীশীল কর হার প্রয়োগের পক্ষে৷ একই সঙ্গে এ কথাও পরিস্কার করে দিতে চাই যে বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে৷ অর্থনীতি যখন চাইবে, যখন সরকার মনে করবে আরও সম্পদ দরকার তখন নিশ্চয়ই অতি ধনীরা নিজেরাই একটু বেশি কর দিতে চাইবেন৷' একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'এ কথা বলছি না যে কর ব্যবস্থা স্থিতিশীল হবে না৷ আমরা চাই করের হারে স্থিতিশীলতা৷ একই সঙ্গে অতি ধনীদের কাছ থেকে একটু বেশি হারে কর নেওয়ার যুক্তিও আমাদের ভেবে দেখা উচিত৷' 

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে এখন সুইত্জারল্যান্ডের ডাভোসে রয়েছেন উইপ্রোর কর্ণধার আজিম প্রেমজি৷ বুধবারই বৈঠকের ফাঁকে তিনি বলেছিলন, 'নীতিগত ভাবে কী ভাবে বলব যে ধনীরা বেশি হারে কর দেবেন না? যে দেশ দারিদ্র্য-জর্জরিত সেই দেশের প্রয়োজনে দিতে হতেই পারে৷ তা ছাড়া দরিদ্ররা যে জিনিসপত্র ব্যবহার করে তা থেকেই তো ধনীদের হাতে অর্থ আসছে৷' 'অতি ধনী'দের উপরে ভারত সরকার আদৌ কোনও কর চাপাবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য তিনি সন্দেহও প্রকাশ করেন৷ 

তবে অতিরিক্ত কর চাপানোর ফল অনেক সময় উল্টোও হয়৷ উচ্চবিত্তদের আয়ের উপরে ফ্রান্সে অঁলাদে সরকার ৭৫ শতাংশ কর চাপানোয় অনেকেই দেশ ছাড়ছেন৷ রাশিয়ার করের হার সব স্তরের জন্য ১৩ শতাংশ, তাই প্যারিস ছেড়ে অনেকেই মস্কোয় চলে যাচ্ছেন৷ সিঙ্গাপুরে একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাত্কারে চিদম্বরম অবশ্য বলেছেন, 'আমি কোনও দিশার কথা বলছি এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ এটা শুধু একটা কথার কথা, আমি শোনা কথা বলছি৷' 

অনেক বিশেষজ্ঞই, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান চক্রবর্তী রঙ্গরাজনও মনে করেন অতি ধনীদের উপরে বেশি হারে কর ধার্য করা উচিত৷ চিদম্বরম বলেন, ১৯৯৭ সালে (তিনিই বাজেট পেশ করেন) করের যে হার ধার্য করা হয়েছিল তার পরে বিভিন্ন সরকারের আমলে চার জন অর্থমন্ত্রী সেই হারই বজায় রেখেছেন৷ আগামী মাসেই বাজেট পেশ হবে৷ ভোটের কথা ভেবে যে বাজেট হচ্ছে না বলেও তিনি জানিয়ে দেন, 'বাজেটের ১৪ মাস পরে ভোট৷ ভালো বাজেটই হবে৷' 

সরকার যে বাজেট ঘাটতি ৫.৩ শতাংশে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছেন সে কথা ২৮ ফেব্রুয়ারির বাজেটেই পরিস্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, বাজেট প্রস্তাবেই পরিস্কার হয়ে যাবে সরকার কী ভাবে বাজেট ঘাটতি ৪.৮ শতাংশে বেঁধে রাখবে৷ তার পরেই তিনি দেখাতে পারবেন যথাযথ আয়-বৃদ্ধি৷ তিনি বলেন, 'আমি মনে করি তখনই রেটিং সংস্থাগুলি রেটিং উঁচু করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করবে৷' 


দলেরই কথা, বলছে কংগ্রেস
সংস্কার-পথে সতর্ক থাকতে বললেন প্রণব
কেন্দ্রে মনমোহন সিংহের সরকার যখন দ্রুত আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটছে, তখন প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তৃতায় তাই নিয়ে কিছুটা হলেও সতর্কবাণী শোনা গেল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি বললেন, "আমরা যখন আর্থিক সংস্কারের পথে চলছি, তখন বাজার নির্ভর অর্থনীতি সম্পর্কে আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।" 
মনমোহনের এক সময়কার অর্থমন্ত্রী প্রণববাবুর এ হেন কথায় স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের নীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন প্রণব? 
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি যে বক্তৃতা দেন, তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের কোনও প্রশ্ন নেই। বরং রাষ্ট্রপতি সংসদের যুগ্ম অধিবেশনে যে বক্তৃতা দেন, তাতে সরকারি সিলমোহর দেওয়ার প্রথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ প্রণববাবু যে বক্তৃতা দিলেন, অনেকেই বলছেন, সেটা তাঁর নিজেরই কথা। এবং সে জন্যই সংস্কারের নীতির সঙ্গে তাঁর মতান্তরও ধরা পড়ল সেই বক্তৃতায়।

প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণ। ছবি: পিটিআই
এই নিয়ে বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে এক দল বলছেন, মতান্তরটা খুব অস্বাভাবিকও নয়। কারণ, প্রণববাবু যত দিন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, মনমোহন তাঁর দ্বিতীয় দফার সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেননি। রাজনীতির কারবারিদের অনেকের মতে, প্রণব মুখোপাধ্যায় ইন্দিরা জমানার রাজনীতিক। তাঁর আর্থিক নীতিতে তাই নেহরুর সমাজতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার প্রভাব রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেন পি চিদম্বরমকে, যিনি আবার মনমোহনের মতোই সংস্কারপন্থী। তাঁর মাধ্যমে প্রণবের আমলে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্তই বদলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যেমন জিএএআর বা গার-এর ক্ষেত্রে হয়েছে। কর ফাঁকি সামলাতে এই নিয়ম চালু করতে চেয়েছিলেন প্রণব। কিন্তু চিদম্বরম সম্প্রতি জানিয়েছেন, গার আপাতত স্থগিতই থাকছে। এ ছাড়া খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি, জ্বালানিতে ভর্তুকি ছাঁটাই, ডিজেলের মূল্য বিনিয়ন্ত্রণের মতো সংস্কারের সিদ্ধান্ত তো আছেই। 
এ দিন প্রণব বলেছেন, "সামাজিক দায়বদ্ধতা বাদ রেখে বহু ধনী রাষ্ট্র সংস্কার করতে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে। আমাদের এই ফাঁদ এড়িয়ে চলা উচিত।" তাঁর এই কথা শুনে তাই অনেকে মনে করছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতভেদকেই উস্কে দিতে চেয়েছেন। 
কংগ্রেস নেতৃত্ব কিন্তু এ কথা মনে করছেন না। তাঁরা বরং বলছেন, রাষ্ট্রপতি যা বলেছেন সেটা কংগ্রেসেরই মনের কথা। কী রকম? রাষ্ট্রপতি সামাজিক দায়বদ্ধতা মেনে চলার কথা বলেছেন। বলেছেন, গ্রাম, কৃষিক্ষেত্র, কারখানা, স্কুল, হাসপাতালে যাতে সরকারের নীতির প্রতিফলন ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে, এগুলি সবই দলীয় নেতৃত্বরও বক্তব্য। সাম্প্রতিক চিন্তন শিবিরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, সেখানে কিন্তু বারবারই বলা হয়েছে, সংস্কার শুরু হয়েছে। এ বার সামাজিক প্রকল্পে মন দেওয়া প্রয়োজন। তাঁরা আরও বলছেন, সংস্কারের সুফল তখনই সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছনো সম্ভব, যখন সামাজিক প্রকল্পগুলি সাফল্য পাবে। অর্থাৎ, গরিব এবং প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনোটা যে 
দরকার, সেটা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবারই উল্লেখ করেছেন। এটা সনিয়া গাঁধী তো বটেই, রাহুল গাঁধীরও কথা। নিজের সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে চিন্তন শিবিরের মঞ্চ থেকে কিছু পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন মনমোহন। এ দিন রাষ্ট্রপতি বলেন, যাঁরা এখনও সুফল পাননি, তাঁদের কাছে পরিসংখ্যান অর্থহীন। তাই মানুষকে সুরাহা দিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁর এই কথাতেও কংগ্রেসের সার্বিক উন্নয়নের বক্তব্যই রয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস মুখপাত্র রশিদ আলভি বলেন, "মনমোহন সরকার যেমন সংস্কারের কথা বলছে, তেমনই সাধারণ মানুষের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য একের পর এক সামাজিক কর্মসূচিও গ্রহণ করছে। কংগ্রেসও সেই ভারসাম্য রক্ষা করে চলারই পক্ষে। তাকেই জয়পুর ঘোষণায় মধ্যপথ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।" তাই বিতর্ক উড়িয়ে তাঁর বক্তব্য, "রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার মধ্যে কেউ যদি তাঁর সঙ্গে সরকারের মতান্তর খোঁজে, তবে সেটা ঠিক হচ্ছে না।"
http://www.anandabazar.com/26desh2.html

आपातकाल के नसबंदी अभियान से ज्यादा निर्ममता के साथ नागरिक अधिकारों व मानवाधिकार से वंचित कर रही है सरकार!

पलाश विश्वास

राष्ट्रपति प्रणब मुखर्जी ने गणतंत्र दिवस की पूर्व संध्या पर शुक्रवार को राष्ट्र को संबोधित कर दिया। देश के सर्वोच्च​​ धर्माधिकारी के उद्गार को सुनने के बाद हम वह गणतंत्र उत्सव मनायेंगे, जो अघोषित आपातकाल का प्रतीक बन कर आया है देश के ​​बहुसंख्य बहिस्कृत जनसमुदाय के लिए। राष्ट्रपति ने दिल्ली में हुए सामूहिक बलात्कार और उसके बाद आक्रोषित युवाओं के प्रदर्शन  का हवाला देते हुए कहा कि सवाल उठाया कि देश की व्यवस्थापिका उभर रहे भारत को प्रतिविम्बित करती है या फिर इसमें मौलिक सुधार की आवश्यकता है।उन्होंने कहा कि निर्वाचित प्रतिनिधियों को जनता का विश्वास अवश्य जीतना चाहिए। युवाओं की व्यग्रता और अधीरता को तेजी और प्रतिष्ठा से पूरी व्यवस्था के साथ बदलाव की ओर निर्देशित करना होगा।क्या राष्ट्रपति को सोनी सोरी और मणिपुर की माताओं से बलात्कार के विरुद्ध चल रहे जनांदोलनों की खबर नहीं है? किस युवा आक्रोश की सराहना कर रहे हैं? राष्ट्रपति जस्टिस वर्मा ने भी इसी  युवा आक्रोश को सलाम किया है। पर उन्होंने  सशस्त्र बल विशेषाधिकार कानून खत्म करने और दागी राजनेताओं को प्रतिबंधित करने की बात भी की है। इस मुद्दे पर देश के प्रथम नागरिक खामोश है चूंकि सरकार जस्टिस वर्मा के इन सुझावों का क्रियान्वयन तो नहीं ही करेंगे। पर जस्टिस वर्मा ने भारत में मानवाधिकार उल्लंघन की ओर कम से कम इशारा तो कर ही दिया !मीडिया और कारपोरेट समर्थन से नागरिक सुशील समाज के जिस आंदोलन की सरकार परवाह करती है, जैसा कि राष्ट्र के नाम राष्ट्रपति के​​ संबोधन में प्रतिबिंबित है, उसे देश की आम जनता और विशेष तौर पर सैन्य राष्ट्र के तहत अश्वमेध अभियान में मारेजा रहे बहुसंख्यक जन गण की कितनी परवाह है?यह युवा आक्रोश किसी सोनी सोरी और मणिपुर की माताओं से हुए बलात्कार के खिलाफ या बारह साल से आमरण अनशन कर रही इरोम ​​शर्मिला के आमरण अनशन के प्रसंग में क्यों नहीं अभिव्यक्त होता?क्या हम गणतंत्र उत्सव महज इसलिए मनायेंगे कि राजपथ पर भव्य परेड होगा? या हम गणतंत्र उत्सव महज इसलिए मनायेंगे कि पद्म पुरस्कारों की घोषणा कर दी गयी है? पद्म पुरस्कारों का एलान हो गया है। इस बार देश और विदेशों में रह रहे कुल 108 मशहूर हस्तियों को उनके योगदान के लिए पद्म पुरस्कारों से सम्मानित किया गया है। मशहूर वैज्ञानिक प्रोफेसर यशपाल को पद्म विभूषण पुरस्कार दिया गया है जबकि अभिनेता राजेश खन्ना और शर्मिला टैगोर को पद्म भूषण से सम्मानित किया गया है। अभिनेत्री श्रीदेवी और फिल्मकार रमेश सिप्पी को पद्मश्री दिया गया है। हास्य कलाकार जसपाल भट्टी और क्रिकेटर राहुल द्रविड़ को भी पद्मभूषण मिला है।इसके अलावा फैशन डिजाइनर रितु कुमार को पद्म श्री पुरस्कार से सम्मानित किया गया है।राष्ट्रपति प्रणब मुखर्जी ने शुक्रवार को कहा कि आज के युवा अपने अस्तित्व को लेकर ढेर सारी शंकाओं से ग्रस्त हैं। ऐसे में 'उदीयमान भारत' का भरोसा बनाए रखने के लिए चुने हुए जन प्रतिनिधियों को जनता का विश्वास फिर से जीतना होगा। गणतंत्र दिवस की पूर्व संध्या पर राष्ट्र के नाम संबोधन में राष्ट्रपति ने युवाओं को बदलाव का अग्रदूत बताया और कहा कि उनके अंदर अस्तित्व को लेकर बहुत सी शंकाएं हैं। उन्होंने कहा, "हम दूसरे पीढ़ीगत बदलाव के मुहाने पर हैं; गांवों और कस्बों में फैले हुए युवा इस बदलाव के अग्रेता हैं। आने वाला समय उनका है। वे आज अस्तित्व संबंधी बहुत सी शंकाओं से ग्रस्त हैं ...

गौरतलब है कि इसी बीच महिलाओं के खिलाफ अपराध पर लगाम लगाने के लिए कानून में व्यापक बदलाव की न्यायमूर्ति वर्मा समिति की सिफारिशों के एक दिन बाद ही सरकार ने आज संकेत दिया कि वह सशस्त्र बल (विशेषाधिकार) कानून और सांसदों को आयोग्य घोषित करने से संबंधित सिफारिशों पर अमल नहीं कर सकेगी।  विधि मंत्री अश्विनी कुमार ने आज एक समाचार चैनल से कहा कि सशस्त्र बल विशेषाधिकार अधिनियम की समीक्षा करना कठिन मुद्दा है क्योंकि इसका परिप्रेक्ष्य अलग है।गौरतलब है कि न्यायमूर्ति वर्मा समिति ने अपनी सिफारिशों में कहा है कि यदि सशस्त्र बल के सदस्य और पुलिसकर्मी वर्दी में महिलाओं के प्रति यौन अपराध करते हैं तो उन्हें सशस्त्र बल (विशेषाधिकार) कानून के तहत सुरक्षा प्रदान नहीं की जानी चाहिए।महिलाओं के खिलाफ अपराध करने वाले राजनीतिज्ञों को प्रतिबंधित करने के बारे में कुमार ने कहा, 'अब मैं देश के विधि मंत्री के तौर पर नहीं बल्कि एक नागरिक और एक वकील के तौर पर कह रहा हूं कि मेरा मनना है कि कम से कम एक अदालत से तो दोषी करार दिया जाना चाहिए।।' उन्होंने इस सुझाव से असहमति व्यक्त की कि राजनीतिज्ञों के खिलाफ अदालत में किसी मामले का संज्ञान लिए जाने के बाद उन्हें चुनाव लडऩे के अयोग्य घोषित किया जाना चाहिए।वर्मा समिति ने अपनी सिफारिशों में ऐसे मामलों में राजनीतिज्ञों को चुनाव लडऩे के आयोग्य ठहराने की सिफारिश की है और कहा कि इसमें सुनवाई पूरा होने तक इंतजार करने की जरूरत नहीं है। समिति ने ऐसे अपराध में अदालत की ओर से संज्ञान लेने के साथ ही राजनीतिज्ञों के चुनाव लडऩे पर रोक लगाने का पक्ष लिया है। अश्विनी कुमार ने कहा, ' कानून की परिभाषा के तहत साक्ष्य के आधार पर दोषी पाया जाना चाहिए।  

राष्ट्र के नाम संबोधन है यह या फिर कारपोरेट विकास गाथा का लोकर्पण ? राष्ट्रपति प्रणब मुखर्जी ने शुक्रवार को गणतंत्र दिवस की पूर्व संध्या पर राष्ट्र के नाम संबोधन में जहां देश की विकासगाथा को रेखांकित किया, वहीं लैंगिक असमानता, आर्थिक विकास का लाभ समाज के वृहत्तर वर्ग तक पहुंचने, शिक्षा का लाभ जरूरतमंदों को मिलने की दरकार और भ्रष्टाचार जैसी बुराई से बचने की नसीहत भी दी। पिछले वर्ष 25 जुलाई को राष्ट्रपति पद संभालने के बाद गणतंत्र दिवस की पूर्व संध्या पर राष्ट्र के नाम अपने पहले संबोधन में प्रणब मुखर्जी ने कहा, "अब यह सुनिश्चित करने का समय आ गया है कि प्रत्येक भारतीय महिला को लैंगिक समानता की दृष्टि से देखा जाएगा।किस विकास की बात कर रहे हैं राष्ट्रपति? किस अर्थ व्यवस्था की विकासगाथा है यह जो देहात, कृषि और बहुसंख्य जनसंख्या की​​ नैसर्गिक आजीविका कृषि व्यवस्था की लाश की नींव पर रची गयी है? किसका विकास है यह? सेनसेक्स, शेयर बाजार और कारपोरेट इंडिया​ ​ के विश्वविजय अभियान, आतंकवाद के विरुद्ध इजराइल और अमेरिकी अगुवाई में अमेरिकी युध्दक अर्थव्यवस्था से नत्थी इस अर्थ​​ व्यवस्था का आधार क्या है, जिसकी उछाल आम जनता के लोकतंत्र और विकास प्रक्रिया से बहिष्कार पर निर्भर है?राष्ट्रपति प्रणव मुखर्जी ने शुक्रवार को कहा कि राजधानी में चलती बस में पैरामेडिकल की छात्रा से बलात्कार और जघन्य कृत्य की घटना से सबक लेते हुए देश को अपनी नैतिक दिशा को फिर से निर्धारित करनी होगी और युवाओं को अपने सपनों को साकार करने का अवसर देना होगा। गणतंत्र दिवस की पूर्व संध्या पर राष्ट्र के नाम अपने पहले संदेश में मुखर्जी ने महिलाओं के सम्मान की रक्षा और युवाओं को रोजगार के अवसर मुहैया कराने की आवश्यकता पर बल दिया। उन्होंने भरोसा जताया कि अगले एक दशक में भारत की अर्थव्यवस्था में तेजी से सुधार आएगा। उन्होंने सीमा पार आतंकवाद पर भी चिंता व्यक्त की।युवाओं को अवसर यानि युवराज राहुल गांधी और उनकी वाहिनी को अवसर, क्या राष्ट्रपति यही बताना चाहते हैं?

कर्मचारी भविष्य निधि संगठन ने सभी संस्थानों के सदस्यों व पेंशनधारकों से आधार कार्ड मांगे हैं। अधिकारियों के अनुसार संगठन की ओर से प्रदान की जाने वाली सेवाओं की गुणवत्ता में और सुधार लाने के लिए आधार कार्ड अनिवार्य कर दिया गया है।अगर आप नौकरी करते हैं तो आपके लिए आधार कार्ड बनवाना जरूरी हो गया है क्योंकि ईपीएफओ यानि एंप्लॉइज प्रॉविडेंट फंड ऑर्गेनाइजेशन ने कहा है कि ईपीएफ स्कीम का फायदा उठाने के लिए आधार नंबर देना जरूरी होगा।देश के करीब 5 करोड़ नौकरीपेशा लोगों का ईपीएफओ में अकाउंट है। और संस्था का कहना है कि इन सभी सदस्यों को 30 जून तक अपना आधार नंबर देना होगा। 1 मार्च या उसके बाद नौकरी शुरू करने वालों के लिए भी केवाईसी के लिए आधार नंबर देना जरूरी होगा। हालांकि, जिन लोगों के पास आधार नंबर नहीं होगा उन्हें एंप्लॉयर की तरफ से एक एनरोलमेंट आईडी जारी की जा सकती है जिसे बाद में आधार नंबर में बदल दिया जाएगा।पेंशनभोगी अपने बैंक की ब्रांच या ईपीएफओ के ऑफिस में अपना आधार नंबर जमा कर सकते हैं। ईपीएफओ ने अपनी सर्विस सुधारने के लिए आधार नंबर को जरूरी कर दिया है। ईपीएफओ एक सेंट्रल डेटाबेस पर भी काम कर रहा है जिसमें ये कोशिश की जा रही है कि सभी सदस्यों को एक यूनिक अकाउंट नंबर दिया जाए ताकि नौकरी बदलने पर पीएफ अकाउंट ट्रांसफर कराने के झंझट से मुक्ति मिल सके।

भारतीय संविधान हो या अंतरराष्ट्रीय कानून किसी भी हाल में गणतंत्र में नागरिक अधिकार व मानवाधिकार निलंबित नहीं किये जा सकते। विशेष सैन्य अधिकार कानून के बहाने समूचे पूर्वोत्तर और कश्मीर में ऐसा ही हो रहा है। दंडकारण्य और देश के जदूसरे आदिवासी इलाकों में सलवा जुड़ुम और रंग बिरंगे अभियानों के तहत सैन्य शासन ही चल रहा है। जल जंगल जमीन और आजीविका से बहुसंख्य जनता को बेदखल करने के मकसद से सर्वदलीय सहमति से जनसंहार की नीतियों को लागू करने के लिए संविदान की हत्या करते हुए एक के बाद एक नये कानून बन रहे हैं।​​अबाध विदेशी पूंजी प्रवाह और कालेधन की अर्थव्यवस्था के तहत अंध धर्मराष्ट्रवाद का आवाहन करके बहुसंख्य जनगण की हत्या का​ ​ इंतजाम है। संसदीय लोकतंत्र की प्रासंगिकता ही खत्म हो रही है। नेटो के जिस बायोमेट्रिक नागरिकता प्रकल्प को नागरिकों की गोपनीयता​ ​ और संप्रभुता के उल्लंघन के कारण समूचे पश्चिम में खारिज कर दिया गया है, उसे लागू करने के लिए कारपोरेट निगरानी में आपातकाल के नसबंदी अभियान से ज्यादा निर्ममता के साथ नागरिक अधिकारों व मानवाधिकार से वंचित कर रही है सरकार। किस कानून के तहत सरकार आधार कार्ड न होने के कारण वेतन भुगतान रोक सकती है? किस कानून के तहत भविष्य निधि और नकद सब्सिडी को आधार कार्ड से जोड़कर नागरिक अधिकार, रोजगार कमाने, देश में कहीं भी चलने फिरने की स्वतंत्रता और जरुरी सेवाएं अर्जित करने से रोका जा सकता है? किस गणतंत्र में नागरिकता, पहचान , उंगलियों की छाप और आंखों की पुतलियों के अपहरण के प्रावधान हैं? क्या हमारे संविधान में इसकी इजाजत है? क्या सबके लिए समान कानून के तहत इस कारपोरेट वर्चस्व की इजाजत है? क्या य़ुवा आक्रोश इन प्रश्नों के मुखातिब है? क्या सुशील नागरिक समाज ने कारपोरेट बिल्डर प्रोमोटर राज के इस सबसे बड़े हथियार डिजिटल बायोमेट्रिक नागरिकता के खिलाफ कभी सवाल खड़े किये है? जब राष्ट्रीय जनसंखया रजिस्टर बन रहा है तब कारपोरेट हित में आधार कार्ड को अनिवार्य बना देने की आवश्यकता क्यों है? क्या बलात्कार और कालाधन पर हो रहे विमर्श के बरअक्श नागरिक मानव अधिकारों के हनन पर भी राष्ट्रीय विमर्श चल रहा है? अगर सचमुच ऐसा होता तो सशस्त्र बल विशेषाधिकार कानून और सलवा जुड़ुम से जुड़ी वीभत्स खबरें नहीं होतीं। क्या राष्ट्रपति को इसकी चिंता है?

बहरहाल श्रमिक संगठनों ने कर्मचारी भविष्य निधि कोष संगठन (ईपीएफओ) के आधार कार्ड को अनिवार्य बनाने के फैसले का विरोध किया है। ईपीएफओ ने उससे जुड़े करीब पांच करोड़ सदस्यों के लिए 'आधार' कार्ड जमा कराना अनिवार्य बनाने का स्वत: स्फूर्त निर्णय लिया है। श्रमिक संगठनों ने इस फैसले के खिलाफ लाल झंडा लहराकर विरोध किया है।ईपीएफओ के फैसले पर सवाल खड़ा करते हुए ट्रेड यूनियन नेताओं ने कहा कि सदस्यों के लिए आधार संख्या को उपलब्ध कराना असंभव होगा क्योंकि देश के कई हिस्सों में यह योजना परिचालन में नहीं है। इसके अलावा जिन राज्यों में यह योजना परिचालन में है वहां आधार नंबर प्राप्त करना जटिल है।भारतीय मजदूर संघ के महासचिव बैजनाथ राय ने बताया, `उन्हें अपने आप यह फैसला नहीं लेना चाहिए था। इसपर ईपीएफओ के अग्रणी निर्णय लेने वाली इकाई, केन्द्रीय न्यासी बोर्ड (सीबीटी) में विचार विमर्श किया जाना चाहिए था।` राय ईपीएफओ के न्यासी मंडल में भी हैं। उन्होंने आगे कहा, `इसे एकदम से नहीं किया जाना चाहिए था क्योंकि देश के कई भागों में आधार संख्या को बनवाने में कई सारी दिक्कतें हैं।`

राष्ट्र के नाम संबोधन है यह! 64वें गणतंत्र दिवस की पूर्व संध्या पर मैं भारत में और विदेशों में बसे आप सभी को हार्दिक शुभकामनाएं देता हूं। मैं अपनी सशस्त्र सेनाओं, अर्ध सैनिक बलों और आंतरिक सुरक्षा बलों को विशेष बधाई देता हूं। भारत में पिछले छह दशकों के दौरान, पिछली छह सदियों से अधिक बदलाव आया है। यह न तो अचानक हुआ है और न ही दैवयोग से, इतिहास की गति में बदलाव तब आता है जब उसे स्वप्न का स्पर्श मिलता है। उपनिवेशवाद की राख से एक नए भारत के सृजन का महान सपना 1947 में ऐतिहासिक उत्कर्ष पर पहुंचा, और इससे अधिक महत्त्वपूर्ण बात यह हुई कि स्वतंत्रता से राष्ट्र-निर्माण की नाटकीय कथा की शुरुआत हुई।हमें तत्काल काम में लगना होगा अन्यथा वर्तमान में जिन अशांत इलाकों का प्राय नक्सलवादी हिंसा के रूप में उल्लेख किया जाता है, उनमें और अधिक खतरनाक ढंग से विस्तार हो सकता है। राष्ट्रपति ने कहा कि शिक्षा ऎसी सीढी है जो सबसे निचले पायदान पर मौजूद व्यक्तियों को व्यावसायिक और सामाजिक प्रतिष्ठा के शिखर पर पहुंचा सकती है। शिक्षा हमारे आर्थिक भाग्य को बदल सकती है और समाज में असमानता मिटा सकती हैं। उन्होंने कहा कि हमारे चौंसठवें गणतंत्र दिवस के अवसर पर यद्यपि चिंता का कोई कारण हो सकता है परंतु हताशा का कोई नहीं। राष्ट्रपति प्रणब मुखर्जी ने शुक्रवार को राष्ट्र के नाम अपने संबोधन में सवाल उठाया कि क्या समर्थवान लालच में पड़कर अपना धर्म भूल चुके हैं? क्या सार्वजनिक जीवन में नैतिकता पर भ्रष्टाचार हावी हो गया है? क्या हमारी विधायिका उदीयमान भारत का प्रतिनिधित्व करती है या फिर इसमें आमूल-चूल सुधारों की जरूरत है? राष्ट्रपति ने कहा, "हम दूसरे पीढ़ीगत बदलाव के मुहाने पर हैं। गांवों और कस्बों में फैले हुए युवा इस बदलाव के अग्रेता हैं। आने वाला समय उनका है। वे आज अस्तित्व संबंधी बहुत सी शंकाओं से ग्रस्त हैं। क्या तंत्र योग्यता को समुचित सम्मान देता है?  

आधार कार्ड होल्डर की सिफारिश पर यूआईडी

- आधार कार्ड बनवाने के लिए एड्रेस प्रूफ या दूसरे जरूरी डॉक्यूमेंट न होने पर किसी ऐसे शख्स की सिफारिश कारगर है, जिसके पास आधार कार्ड हो।
- सिफारिश करने वाले शख्स का कार्ड नंबर नए एप्लिकेंट के फॉर्म के साथ अटैच कर दिया जाएगा।
- इससे आधार कार्ड बनवाने वालों को सहूलियत होगी।

रेट कट की उम्मीद पर चढ़ा बाजार, सेंसेक्स 180 अंक चढ़ा

रेट कट की उम्मीद और कंपनियों के अच्छे नतीजों के बीच भारतीय शेयर बाजारों में जबरदस्त उछाल आया है। बॉम्बे स्टॉक एक्सचेंज का सूचकांक सेंसेक्स 179.75 अंकों की बढ़त के बाद 20103.53 पर बंद हुआ।

सेंसेक्स 0.90 फीसदी और नैशनल स्टॉक एक्सचेंज का सूचकांक निफ्टी 0.92 फीसदी चढ़े। बीएसई मिड-कैप 1.83 फीसदी और स्मॉल-कैप 1.03 फीसदी चढ़े।

मारुति का नेट प्रॉफिट दोगुना बढ़ा है, जिसकी वजह से सेंसेक्स में मारुति के शेयरों में 4.15 फीसदी की बढ़ोतरी दर्ज की गई। मारुति के बाद सबसे ज्यादा बढ़त बजाज ऑटो और जिंदल स्टील में दर्ज की गई। http://basantipurtimes.blogspot.in/2013/01/blog-post_3072.html


গেরুয়া সন্ত্রাস বিতর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের পাশেই দাঁড়াল কংগ্রেস। সুশীলকমার শিন্ডের মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলেই কংগ্রেসের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বিজেপিকে পাল্টা দুষে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, দলীয় কোন্দল থেকে মানুষের নজর সরাতেই অযথা বিতর্ক তৈরি করছে দেশের প্রধান বিরোধী দল।   

গতকালই গেরুয়া সন্ত্রাস নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সংসদ অচল করার হুমকি দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের আক্রমণের মুখেও নিজেদের অবস্থানে অনড় সুষমা স্বরাজরা। সুশীল কুমার শিন্ডের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে বিজেপি। ক্ষমা না চাইলে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিরোধিতার সুর চড়ানোর হুশিয়ারিও দিয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল। 


দলে মোদীর 'বৃহত্তর' ভূমিকার ইঙ্গিত দিলেন রাজনাথ
নয়াদিল্লি: এনডিএ-র ঐক্য বাজি রেখে তা হলে কি শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর নামেই সিলমোহর দিতে চলেছে বিজেপি? দলের নব-নির্বাচিত সভাপতি রাথনাথ সিংয়ের কথায় জোরলো ইঙ্গিত, কংগ্রেসের 'টিম রাহুল'-এর মোকাবিলায় নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীকে সামনে রেখেই লোকসভা নির্বাচনে লড়তে পারেন তাঁরা। আর তা-ই যদি শেষ পর্যন্ত হয়, তা হলে এনডিএ জোটে সংযুক্ত জনতা দল কতটা থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। মোদীকে 'সেনাপতি' হিসেবে মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে তীব্র আপত্তি রয়েছে নীতীশ কুমারের। তিনি জানিয়েই রেখেছেন, মোদী থাকলে, তিনি নেই। শুধু নীতীশই নন, মোদীকে সামনে দেখে আরও কে কে বেঁকে বসবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিজেপি-র অন্দরে। 

রাহুল গান্ধী এবং রাজনাথ সিং। যুযুধান দু'পক্ষই নেতা বেছে নেওয়ার কাজটা সমাধা করেছে। তবে সেই অর্থে বিজেপি খানিকটা পিছিয়ে। কেননা, কংগ্রেস যেখানে রাহুলের নেতৃত্বে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে, সেখানে বিজেপি এখনও 'সেনাপতি'র নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি। ঘটনা হল, এই নেতা বাছাইয়ের ঠিক আগে করা একটি সমীক্ষা বলছে, এখনই ভোট হলে এনডিএ-র জয় অবধারিত। অর্থাত্‍ , এই সমীক্ষা সামনে রেখে বলা যায়, হিসেব কষে এগোলে বিজেপি-র হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের 'মুখ' বাছার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বুঝেশুনেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আডবানি, রাজনাথ, সুষমা স্বরাজদের। 

এমন একটি পরিস্থিতিতে রাজনাথ সিংয়ের গলায় কংগ্রেসি নেতাদের সুর! ঠিক যে ভাবে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতারা সদ্য রাহুলের হাতে আরও 'বড়' দায়িত্ব সঁপে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছিলেন, ঠিক সে ভাবেই মোদীকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখতে চাইলেন বিজেপি সভাপতি। একটি সর্বভারতীয় বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে রাজনাথ বলেছেন, 'গুজরাটকে একটি আদর্শ রাজ্যে পরিণত করেছেন নরেন্দ্র মোদী। ওখানকার প্রশাসন হল শ্রেষ্ঠ। দেশে মোদী একজন জনপ্রিয় নেতা। এ নিয়ে (মোদীর ভূমিকা) আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা করব। আমি ওঁর সঙ্গেও একদফা কথা বলেছি।' 

'সেনাপতি' নির্বাচনে শেষ কথা বলবে বিজেপি-র সংসদীয় বোর্ড। কিন্তু মাপকাঠি কী হবে? তিনটি শর্ত দিচ্ছেন রাজনাথ, 'পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা।' মোদীর এই ত্রিমাত্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন কি না, তা সময়ই বলবে। তার আগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের অভিযোগ খারিজ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন রাজনাথ। কেননা, একবার নির্বাচনের নেতার নাম ঘোষিত হয়ে গেলে, যাবতীয় হিসেবনিকেশ যে ২০১৪ ঘিরেই আবর্তিত হবে, তা বিলক্ষণ জানেন প্রবীণ নেতা। 

গড়করির পদত্যাগ ও তাঁর নির্বাচন ঘিরে যে বিড়ম্বনার তত্ত্ব ভেসে উঠেছে, তা খারিজ করেছেন রাজনাথ। বলেছেন, 'আয়কর তল্লাশি নিয়ে সংবাদমাধ্যম তিলকে তাল করছিল। তাই গড়করি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে মিথ্যা এবং অবমাননাকর অভিযোগ আনা হয়েছে, তার জন্যই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।'


 
সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামী মাসে
মোদীকেই মুখ করার প্রস্তুতি শুরু বিজেপিতে
লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি দখলের জন্য নরেন্দ্র মোদীকেই প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চান সঙ্ঘ নেতৃত্ব। জাতীয় রাজনীতিতে মোদীর এই নতুন ভূমিকার ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত হবে। সদ্য নির্বাচিত বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ নিজেও আজ এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। 
বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সমঝোতা করে নিতিন গডকড়ীকে সরিয়ে রাজনাথকে সভাপতি করেছে সঙ্ঘ। কিন্তু লোকসভা ভোটের বৈতরণী পেরোতে রাজনাথকে দিয়ে যে খুব বেশি কাজ হবে না, তা ভালই জানেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজনাথের নেতৃত্বেই লড়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই ভোটে ভরাডুবি হয়েছিল দলের। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে একটি অনুঘটকেরপ্রয়োজন, যাতে ভর দিয়ে দল ভোট বৈতরণী পেরোতে পারে। আপাতত নরেন্দ্র মোদীই সেই তুরুপের তাস। দলের নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশও তেমনটাই মনে করছেন। বিজেপি সূত্রের মতে, আগামী মাসে জাতীয় পরিষদের বৈঠকের পরেই নরেন্দ্র মোদীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। সভাপতি নির্বাচনের পর সেটিই হবে দলের প্রথম বড় সিদ্ধান্ত। 
রাজনাথ আজ বলেন, "বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী এমন এক জনের হওয়া উচিত, যাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। রাজ্যের প্রশাসনও ভাল। গোটা দেশের কাছেই জনপ্রিয় নেতা মোদী। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমি শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। মোদীর সঙ্গেও কথা বলব।" এবিপি নিউজ-এসি নিয়েলসেনের গত কালই প্রকাশিত এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রাহুল গাঁধীকে অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন মোদী। এখনই ভোট হলে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মোদীকে পছন্দ ৪৮ শতাংশ ভোটারের। তুলনায় রাহুলকে পছন্দ ১৮ শতাংশের। আর মনমোহন সিংহকে সমর্থন করছেন ৭ শতাংশ ভোটার।
জয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন-বৈঠকের আগেই করা হয়েছিল এই জনমত সমীক্ষা। কংগ্রেসের নেতাদের দাবি, জয়পুরের বৈঠকে রাহুলকে সহ-সভাপতি করার পর সমীক্ষা হলে অন্য ফল হত। দাবি যা-ই হোক, বিজেপি ও সঙ্ঘ নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন, মোদী ছাড়া গতি নেই। দলের এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, "এর আগে বিজেপি যত বার লোকসভা নির্বাচন জিতেছে, তার পিছনে একটি প্রেক্ষাপট ছিল। এক বার রাম জন্মভূমি আন্দোলন অনুঘটকের কাজ করেছে। পরে কারগিল যুদ্ধের হাওয়া বিজেপিকে ফায়দা দিয়েছে। সামনের নির্বাচনেও এমন কোনও অনুঘটকের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে মোদীই সেই অনুঘটক হতে পারেন।" 
কংগ্রেসে রাহুল গাঁধীর উত্থানের পর এখন থেকেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে 'রাহুল বনাম মোদী' প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির অনেকে মনে করেন, রাজনাথ আসার পর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মোদীর নাম ঘোষণার সম্ভাবনা বেড়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সঙ্ঘ ও বিজেপিরই অনেকের আপত্তি রয়েছে। বিজেপির এক নেতার কথায়, "দুর্নীতি প্রশ্নে নিতিন গডকড়ীকে অপসারণ করা হয়েছে। মোদীকে এনে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মাথাচাড়া দিক, সেটি নিশ্চয়ই কাম্য নয়।" তা ছাড়া, মোদীর ব্যাপারে নিজেদের আপত্তি স্পষ্ট করে দিয়েছে এনডিএ জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক জেডি (ইউ)-ও। এই অবস্থায় কিছুটা দেখে এগোনোর পক্ষপাতী দলেরই একটা বড় অংশ।
কিন্তু বিজেপির অন্য একটি অংশের বক্তব্য, মোদীকে তুলে ধরলে যদি রাজনীতির মেরুকরণ হয়, তো হোক। সংখ্যালঘু ভোট এমনিতেই বিজেপি তেমন পায় না। তাঁদের বক্তব্য, কংগ্রেসও যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দের 'গেরুয়া-সন্ত্রাস' সংক্রান্ত মন্তব্য তারই প্রমাণ। বিজেপি নেতাদের এই অংশের বক্তব্য, মোদী জাতীয় রাজনীতিতে এলে উন্নয়নের তাসকে সামনে রেখেই এগোবেন। আর সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে বিজেপি এখন থেকেই মাঠে নেমেছে। উন্নয়ন আর জাতীয়তাবাদ এই দুইয়ের মিশেলে নরেন্দ্র মোদীই হয়ে উঠতে পারেন বিজেপির মুখ।
http://www.anandabazar.com/26desh3.html


মুখ্যমন্ত্রীময় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। দফতরকে ছাপিয়ে প্রায় সব ট্যাবলোতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট। উঠল প্রজাতন্ত্রদিবসের মঞ্চকেও রাজনৈতিক প্রচারের কাজে ব্যবহারের অভিযোগ। 

প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ প্রশাসনিক অনুষ্ঠান। রাজ্য সরকারের পুলিসবাহিনী এবং কেন্দ্রীয়  সরকারের  সামরিক বাহিনী নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। যার অন্যতম অঙ্গ কুচকাওয়াজ ও ট্যাবলো প্রদর্শন। ট্যাবলো আসলে প্রতীকি একটি উপস্থাপনা। যা কুচকাওয়াজ দেখতে আসা মানুষকে কোনও একটি দফতর বা সংস্থার বিষয় একটা সুস্পষ্ট তথ্য দেয়। ৬৪ তম প্রজাতন্ত্র দিসবে কলকাতার ইন্দিরা গান্ধী সরনী দেখল এক অন্য ছবি। রাজ্য সরকারের প্রদর্শিত ৮টি ট্যাবলোর মধ্যে ৬টিতেই বিরাজমান মুখ্যমন্ত্রী। 

কলকাতা পুলিস। রাজ্য পুলিস। দমকল দফতরের অধীনে থাকা বিপর্যয় মোকাবিলা। শিল্প ও বাণিজ্য। বিদ্যুৎ এবং অচিরাচরিত শক্তি। এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দফতরের ট্যাবলোর আগে পিছে, দু-পাশে মুখ্যমন্ত্রীর পূর্নাবয়ব বা প্রমাণ সাইজের ছবিতে যতটা প্রচার ছিল, ততটা তথ্য বা বার্তা ছিল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষত রাজ্য সরকার যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি, সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চকে এভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ বলেও মনে করছেন অনেকে। 

মূলত ২৬শে জানুয়ারির কুচকাওয়াজে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে অভিবাদন নিতে পারেন না বলেই, গত বছর থেকে ১৫ই অগাস্ট রেড রোডে শুরু হয়েছে কুচকাওয়াজ। প্রটোকল অনুযায়ী ২৬শে জানুয়ারির কুচকাওয়াজে অভিবাদন নেন  রাজ্যপাল। সেই মঞ্চকে তাহলে কি এবার অন্য কৌশলে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই। 


সুদের হার কমাতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আশায় উঠল শেয়ারসূচক
এই সময়: আগামী মঙ্গলবার আর্থিক নীতি পর্যালোচনার সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমাবে, এই বিশ্বাসেই চড় চড় করে উঠল শেয়ার সূচক৷ এ দিন সেনসেক্স সূচক দু'সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ০.৯০ শতাংশ (১৭৯.৭৫ পয়েন্ট) উঠে ফের কুড়ি হাজারের গণ্ডি ছাড়িছে৷ দিনের শেষে সূচক ছিল ২০,১০৩.৫৩ পয়েন্ট৷ ক্ষেত্র বিশেষের তেরোটি সূচকই এ দিন ঊর্ধ্বমুখী ছিল৷ উঠেছে নিফটিও, ০.৯২ শতাংশ (৫৫.৩০ পয়েন্ট) উঠে দিনের শেষে হয় ৬,০৭৪.৬৫ পয়েন্ট৷ ক্ষেত্রবিশেষের আঠেরোটি সূচকের প্রতিটিই এ দিন উঠেছে৷ 

প্রথমত গতমাসে শেষ বার আর্থিক নীতি পর্যালোচনার সময় ব্যাঙ্কের ইঙ্গিত, দ্বিতীয়ত পাইকারি পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকা, তৃতীয়ত সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করে বাজেট ঘাটতি ৫.৩ শতাংশে বেঁধে রাখা ও বিনিয়োগ টানার চেষ্টা৷ একই সঙ্গে সংস্কারমুখী বাজেটের ইঙ্গিতও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিজে৷ এই সব পরিস্থিতি বিচার করে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন এবার ঋণনীতি সহজ করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)৷ 

সুইত্‍জারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বৈঠকের ফাঁকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দা কোছার বলেন, 'মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, আমার মনে হয় আগামী দিনে 'রেট কাট' দেখতে পাব৷' এপ্রিল মাসের পর থেকেই আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (অন্য ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্প সময়ের জন্য নেওয়া অর্থ বা রেপো ৮ শতাংশ ও ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও ৪.২৫ শতাংশ) যদিও শেষ বার (১৮ ডিসেম্বর ২০১২) আর্থিক নীতি পর্যালোচনার সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইঙ্গিত দিয়েছিল যে পরবর্তী আর্থিক পর্যালোচনার সময় আর্থিক নীতি সহজ হতে পারে৷ খুচরো পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি চড়া হলেও পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতি তিন বছরে সবচেয়ে কম (৭ শতাংশ)৷ তা ছাড়া সরকারও সংস্কারের পথে চলেছে৷ এই অবস্থায় ব্যাঙ্কগুলি মনে করছে আগামী মঙ্গলবারই (২৯ জানুয়ারি) ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় সুদের হার কমাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ 

মুম্বইয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের প্রধান গবেষক সমীরণ চক্রবর্তী বলেন, 'তিন-চার মাস আগে যে প্রতিশ্রীতি দিয়েছিল সরকার সেই পথেই হাঁটছে৷ বাজেট ঘাটতি বেঁধে রাখতেও যথেষ্ঠ পদক্ষেপ করেছে৷ আমার ধারনা এই পরিস্থিতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে স্বস্তিতে রেখেছে৷' যদিও গত সপ্তাহেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর দুব্বুরি সুব্বারাও জানান, তিনি মনে করেন এখনও মুদ্রাস্ফীতির হার যথেষ্টই চড়া৷ 

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্রেডিং রেটিং সংস্থা জানয়িছে বছরের শেষে ভারতের বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ হবে৷ বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লক ইন পিরিয়ড রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তুলে দেওয়ায় বিনিয়োগকারীরা উত্সাহী হয়েছেন৷ সুইস সংস্থা আইকিয়াকে ছাড়পত্র দিয়ে অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছে সরকারও৷ বিদেশ সফরে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দেখা করে সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কথাও বলছেন অর্থমন্ত্রী৷ 

কোছার বলেন, 'বাজারে টাকার জোগান বজায় রাখতে পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কয়েকমাসে ব্যাঙ্কগুলোর এককালীন জমার খরচ কিছুটা সহজ হয়েছে৷' যদিও তিনি মনে করেন যে এখনও 'ডিম্যান্ড ডিপোজিট' নিয়ে চাপ রয়েছে৷ শুক্রবার কোছার জানিয়েছেন, 'যদিও আমরা চাইছি ঋণে সুদের হার কমুক তবে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর এটি নির্ভর করে৷ এর মধ্যে রয়েছে সার্বিক বৃদ্ধির হার ও পরিমাণ, ঋণ দিকে ব্যাঙ্কের খরচ ও ঋণের চাহিদা৷' 

মুম্বইয়ে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ সৌগত ভাচার্য মনে করেন, 'রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আগের ঘোষণা ও সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ দেখে মনে হচ্ছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমবে৷' রয়টারের একটি সমীক্ষাও মনে করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেট কমাবে৷ ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমার অর্থ হল রেপো ও ক্যাস রিজার্ভ রেশিও ০.২৫ শতাংশ হ্রাস, যার ফলে ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির সমপরিমাণ সুদ কমানোর সম্ভাবনা থাকবে৷ তাতে ঋণ নেওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে৷ বাজেট ঘাটতি ৫.৩ শতাংশে বেঁধে রাখার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী পালানিয়াপ্পান চিদম্বরম চান বাণিজ্যঘাটতি যথাসম্ভব কমাতে৷ এপ্রিল-নভেম্বরে দেশের আর্থিক ঘাটতি ছিল ৪.১৩ লক্ষ কোটি টাকা, যা বাজেট লক্ষ্যের ৮০.৪ শতাংশ৷ 

ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রণের পথে এগনো সহ সরকারের পর পর সংস্কারমূলক পদক্ষেপ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইঙ্গিত, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকা- সব মিলিয়ে শুধু সেনসেক্স ও নিফটি নয়, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) মাঝারি ও ছোটো সংস্থাগুলির শেয়ার সূচকও বেড়েছে৷ বিএসইতে মিডক্যাপে সূচক বেড়েছে ১.৮৩ শতাংশ (১২৫.৫৫ পয়েন্ট) ও স্মলক্যাপে ১.০৩ শতাংশ (৭২.৮৭ পয়েন্ট)৷ এনএসইর মিডক্যাপ বেড়েছে ৩.০৫ শতাংশ (৬৯.৬০ পয়েন্ট)৷ 


নয়াদিল্লিঃ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রথম সেনাবাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ আজকের, কুচকাওয়াজে দেশ দেখল নিজেদের শক্তি৷ প্রদর্শিত হল ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি পাঁচ ক্ষেপণাস্ত্র, ৪৫ দিন সমুদ্রে ভেসে থাকতে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য৷ 
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজধানীর রাজপথ উত্সবময়৷ আর পাঁচটা বাঙালির কাছে এবার প্রজাতন্ত্র দিবস একেবারে অন্যরকম৷ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এটাই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস৷ 
ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন দিয়ে শুরু হয় ৬৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান৷ ততক্ষণে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, একে অ্যান্টনি, পি চিদম্বরম সহ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীরা৷  প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই এবারের প্রধান অতিথি ভুটানের রাজা জিগমে কেশর নামগেয়াল ওয়াংচুককে নিয়ে পৌঁছন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷
তারপর রাজপথে রাষ্ট্রপতিকে সেনাবাহিনীর অভিবাদন দিয়ে শুরু হয় কুচকাওয়াজ৷ 
দেশ দেখল সামরিক শক্তি৷ এবারের কুচকাওয়াজের অন্যতম আকর্ষণ ৫৫০০-৫৮০০ কিমি দূরে আঘাত করতে সক্ষম অগ্নি-৫৷  কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত ৪৫ দিন সমুদ্রে ভেসে থাকতে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য৷
১৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পাঁচটি মন্ত্রকের ট্যাবলো এদিনের কুচকাওয়াজে অংশ নেয়৷ রাজধানীর পাশাপাশি সারা দেশেও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবস৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/32940-2013-01-26-08-50-37


নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণেও উঠে এল দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড৷ দিল্লিকাণ্ডের নিন্দা করে কার্যত প্রতিবাদী যুব সমাজের পাশেই দাঁড়ালেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, যেভাবে নারকীয় অত্যাচারের শিকার হলেন ওই ছাত্রী, যেভাবে একটা জীবন শেষ হয়ে গেল, একটা স্বপ্ন হারিয়ে গেল, এরপর যদি প্রতিবাদে সামিল হয় যুব সমাজ, সেজন্য কি তাদের দায়ী করা যায়? নতুন যে ভারত উঠে আসছে, দেশের পরিষদীয় ব্যবস্থা তার চাহিদা, আকাঙ্খা পূরণে সত্যিই সক্ষম কিনা, না কি তার আমূল সংস্কার প্রয়োজন, সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি৷
দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে ১৩ দিনের লড়াই শেষে নিগৃহীতার মৃত্যু হয়৷ দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, স্লোগানে অন্য রূপ দেখা যায় রাজধানীর। প্রতিবাদী কন্ঠরোধে উদ্ধত প্রশাসনকে চোখ রাঙিয়ে রাইসিনা হিলসের সামনে ব্যারিকেড ভাঙেন প্রতিবাদীরা৷ সেদিন মুখ না খুললেও শুক্রবার প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই ছিল দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড প্রসঙ্গ৷ সেদিন যাঁরা নিগৃহীতার পাশে দাঁড়িয়ে রাজধানীর রাজপথে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন, এদিন কার্যত সেই প্রতিবাদী যুব সমাজের পাশেই দাঁড়ালেন তিনি৷রাষ্ট্রপতি বলেন, নারী মানে মা৷ যে মা বিপদ থেকে সন্তানকে রক্ষা করেন৷ যে মা আমাদের জীবনে এক বড় ভরসা, আশ্রয়৷ মা মানেই তো নারী৷ অথচ সেই নারীকে নিগৃহীতা হতে হয়, যা সভ্যতার বুকে আঘাত৷  

দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের পর রাজধানীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল কেন্দ্র৷ এমনকী দিল্লিকাণ্ডের প্রতিবাদকে কটাক্ষও করেন প্রণবপুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায়৷ কিন্তু এবার খোদ দেশের সাংবিধানিক প্রধানই কার্যত সমর্থন জানালেন দিল্লিকাণ্ডের প্রতিবাদকে৷ দেশে দুর্নীতি নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি পাশাপাশি সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়েও নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/32920-2013-01-25-16-30-54

এবছরের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ নাগরিকের সম্মান পদ্মবিভূষণ পেতে চলেছেন প্রকৃতিবিজ্ঞানী যশ পাল ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী রদ্দাম নরসিমা। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার মরণোত্তর পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হল রাজেশ খান্নাকে। পদ্মভূষণ সম্মান পাচ্ছেন শর্মিলা ঠাকুর। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পদ্মভূষণ সম্মান পাচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড় ও মেরি কম। পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শুটার বিজয় কুমার এবং যোগেশ্বর দত্ত।

সঙ্গীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে রাজ্য থেকে পদ্মভূষণ পাচ্ছেন রশিদ খান। পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হচ্ছে পূর্ণদাস বাউলকে। শুক্রবার সরকারের তরফে ১০৮ জন পদ্ম পুরস্কার প্রাপকের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী রঘুনাথ মহাপাত্র এবং চিত্রকর এস হায়দর রাজাকে পদ্মবিভূষণ সম্মানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এবারের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন, শ্রীদেবী, অভিনেতা নানা পাটেকর, মালায়ালাম তারকা মধু। অলিম্পিক তারকাদের মধ্যে রয়েছেন মেরি কম, যোগেশ্বর দত্ত, বিজয় কুমার। 

এবার চার জনকে পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হয়েছে। পদ্মভূষণ পেয়েছেন ২৪ জন এবং ৮০ জনকে পদ্মশ্রী সম্মান জানানো হয়েছে। ১০৮ জন প্রাপকদের মধ্যে ২৪ জন মহিলা। তবে এবারেও কাউকে ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে প্রয়াত ভিমসেন যোশী শেষ ভারতরত্ন পান। 

গত বছর এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কৌতুক অভিনেতা যশপাল ভাট্টি। তাঁকেও পদ্মভূষণে সম্মানিত করা হয়েছে।






Post Your Comment

Total Comments:0
blog-imgবছর শেষে একেবারে রগরগে উত্তেজনা। এরমধ্যেই বাংলায় নব্যযুগের নবনায়কের আর্বিভাব। একেবারে আজ কি অর্জুন। একতিরিশে ডিসেম্বরের শরীর হিট করা রাত। দোঘোটের কেরামতিতে মঞ্চে আমরা সবাই রাজা। তিনি মঞ্চে এলেন। পাশে এলি বেলি-দোলানো চেড়ি ড্যান্স। দাদা নাচছেন। ভাই নাচছেন। খইয়ের মতো উড়ছে টাকা। হেব্বি লাগছে তো? দাদার প্রশ্ন। প্রতিষ্ঠাতা দিবস বলে কথা। বীরের এ রক্ত স্রোত মাতার এ অশ্রুধারা তাতে কী চোনা দেওয়া যায়। কত স্বপ্নের বিনিময়ে এই ইজ্জতের পরিবর্তন। বছর শেষে তাঁর স্মরণে যদি একটু ট্যাঙ্গো ড্যান্স না হয় তাইলে চলে। ফুলটুস মস্তি চাই। শহীদ দিবসে পাগলু ড্যান্স দিয়ে বীর সেনানিদের শ্রদ্ধার্ঘ। পথ দেখিয়েছেন দিদি। সেই পথেই তো চলেছে ভাইয়েরা। আপনারা না বড় ইয়ে আছেন। কথায় কথায় সিল্প, সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মানে আমাদের সংস্কিতির জেঠুরা। আরে সংস্কিতি কী শুধু তোমরাই বোঝ? আসলে হিংসা। মনে শখ ষোল আনা, বুকে শুধু লাজ। এস ভাই ময়দানে নাম। দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে। এতো কবিগুরুই বলে গেছেন। তবে আর লজ্জা কী। তার সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো। তাই আমরা চলি সমুখ পানে। কে আমাদের রুখবে ভাই। হেব্বি লাগছে...
blog-imgমোদ্দা কথা, আমরা গেমটা হেরে গেছি দাদা। সবংশে হেরে গেছি। ফেসবুকে ঘুরছে মৃত্যুমুখী সুন্দরীর মুখ। এ ঘুমোনো মেয়ে পৃথিবীর। এরে লয় শুষে- দেবতা, গন্ধর্ব, নাগ, পশু ও মানুষে। ততোধিক সুন্দর তার কোটরে বসে যাওয়া রক্তচোখ, পচে যাওয়া নাড়িভুঁড়ি, লোহার রডের আদরে বিকল হতে থাকা শরীরযন্ত্র। সারা দেশ জুড়ে এই অনাম্নী অঙ্গনার জন্য প্রতিবাদে সোচ্চার, বিদ্রোহে উত্তাল জনগণ। মোমবাতির নৈঃশব্দে সরব তারকারা। ধর্ষকের শাস্তি চাই। প্রকাশ্য রাস্তায় ফাঁসি চাই। ন্যাংটো করে প্যারেড করাতে চাই, ইঁট ছুড়ে ছুড়ে মারতে চাই, চাই চাই... পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। এমন শাস্তি চাই যেন নিদর্শন হয়ে থাকে। ওই তো শুয়োরের বাচ্চারা... ওরাই তো রেপ করেছিল না? ধরে আন ব্যাটাদের। আইন আইনে থাকুক। আমরা ওদের জবাই করি। ওদের মধ্যে নাকি একটা নেহাত গোঁফ-ওঠা ছোকরা? তাতে কী... পুরুষ পুরুষ। ওদের অত শ্রেণিবিভাগ হয় না। নরম ছিদ্রে গাড়ির পার্টস ঢুকিয়ে মজা মারতে সবাই সমান। ভাবনা, রাগ, দুঃখ আর ঘেন্না মনের মধ্যে এমন কিলবিল করছে যে উগরে না দেওয়া অবধি স্বস্তি নেই। বড় দেরি হয়ে গেল কলম তুলতে। সিঙ্গাপুরের হাসপাতালেই জীবনযুদ্ধ শেষ। থার্টিফার্স্ট নাইট পেরিয়ে নিউ ইয়ার এসে গিয়েছে। কাঁদো দেশ কাঁদো। কেঁদে তোমাদের আবেগের নদীতে প্রতিবাদের প্ল্যাকার্ডগুলো ফেলে দাও। ধর্ষণ আর হেডলাইন নেই। সাইডলাইনে চলে এসেছে। এক কলমে সেরে দেওয়া হয়েছে। ইস্যু বদলে গেছে। নেতায়-নেতায় ইয়ে হচ্ছে, জীবন বয়ে যাচ্ছে। ধর্ষিতারা পুলিসে কমপ্লেন করতে গিয়ে ফের হেনস্থা হচ্ছে। মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের কিচ্ছুটি প্রমাণ মিলছে না। গায়ে একটি আঁচড়ও দেখা যাচ্ছে না আতশকাঁচে। 'প্রেক্ষিত' পাল্টে যাচ্ছে, কিছুই ঠাহর করা যাচ্ছে না। এমনই শোকেসে সাজানো ঘটনা হয়ে যাচ্ছে... বাড়ির বাচ্চা প্লাস্টিকের ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে ধোনি-ধোনি খেলতে খেলতে মাকে শুধোচ্ছে, মা, মা ধর্ষণ কী করে খায়?


শুরু হয়ে গেল ৩৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে বইমেলার উদ্বোধন করলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানিয়ে দিলেন আগামী বছর বই মেলার থিম দেশ পেরু। 

এই প্রথম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে ছাড়া হতে চলেছে কলকাতা বইমেলা। প্রয়াত সাহিত্যিকের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গিল্ড কর্তৃপক্ষ। এবারের কলকাতা বইমেলার থিম বাংলাদেশ। সাধারণের জন্য মেলার দরজা খুলে দেওয়া হবে কাল থেকে। এই প্রথম ১২দিনের বদলে বই মেলা চলবে ১৬ দিন ধরে।
দেখুন ভিডিও


কৃষকদের থেকে জোর করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নবদ্বীপ পুরসভার বিরুদ্ধে। নবদ্বীপের কালিয়াদহ গ্রামের কৃষকদের অভিযোগ, জমির দলিল,পাট্টা থাকা সত্বেও জোর করে, হুমকি দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নবদ্বীপ পুরসভা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

নদীয়ার মায়াপুরের কালিয়াদহ গ্রাম। কয়েকশো কৃষক পরিবারের বাস এখানে। কৃষকদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে যে জমি চাষ করে আসছেন তাঁরা সেই জমিই দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নবদ্বীপ পুরসভা।
 
জমির দলিল আছে।  ক্ষেতমজুরদের দাবি বাম আমলে যে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছিল সেই জমিতেই গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় চাষ করছেন তাঁরা। জমি গেলে অর্থাভাবে আত্মহত্যার পথই বেছে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের জমির লড়াইয়ে শরিক হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। জমির লড়াইয়ে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষকেরা।


দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের হোটেলে ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃত দুই অভিযুক্তের নাম খোকন ও সাদ্দাম। গত ২৪ তারিখ ডায়মন্ড হারবার থানার উল্টোদিকে একটি হোটেলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এর পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালায় দুষ্কৃতীরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির তিন ছাত্রী গত ২৪ তারিখ ডায়মন্ড হারবারে বেড়াতে যায়। সন্ধেয় ডায়মন্ড হারবার থানার ঠিক উল্টোদিকে একটি হোটেলে খাচ্ছিল তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তখনই একজন ছাত্রীর পরিচিত দুই যুবক তাঁকে হোটেলের দোতলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে আটকে রাখা হয় ছাত্রীর দুই সঙ্গীকে। তারপর, নিগৃহীতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা।


প্রায় চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এল বাসন্তী কলোনির আগুন। আগুন ছড়িয়ে পরার আর আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন দমকল। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন কুলিংয়ের কাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ  আগুন লাগে ভিআইপি ব্রিজ লাগোয়া এই বস্তিতে। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বস্তির শতাধিক ঘর। দমকলের ২২টি ইঞ্জিন এসে আগুন আয়ত্তে আনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,  বারবার জানানো সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছোয় দমকলবাহিনী। অবশেষে ভোর পৌনে ৭টা নাগাদ কাজ শুরু করে দমকলের ২২টি ইঞ্জিন। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। 

উল্টোডাঙা স্টেশন লাগোয়া বস্তিতে আগুন লাগায় প্রভাবিত হয়েছে শিয়ালদহ-মেন লাইনের ট্রেন চলাচল। লোকাল ট্রেনগুলি খানিকটা বিলম্বে চলছে বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় আড়াই বছর আগেও বাসন্তী কলোনিতে আগুন লেগেছিল। সেবারের ভয়াবহ আগুনে মারা যান এক জন। 


তেলে জলে মিশ খায় না। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে রাজাবাজারে যা ঘটল তা এককথায় নজিরবিহীন। অভিযোগ, রাজাবাজারে একটি পাম্প থেকে ডিজেলের বদলে ভরে দেওয়া হয় জল। পাম্প কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করলেও আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গাড়ির মালিক।  

শনিবার সকালে রাজাবাজারের এই পাম্প থেকে গাড়িতে ডিজেল ভরিয়ে রওনা দেন আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা অসীমা দত্ত।  কিছুদূর গিয়েই আমহার্স্ট স্ট্রিটের কাছে দাঁড়িয়ে যায় গাড়িটি। 

আমহার্স্ট স্ট্রিট পাম্পের কাছে এক মেকানিককে দিয়ে পরীক্ষা করাতেই জানা যায় ডিজেলের মধ্যে মেশানো আছে জল। 

অসীমা দেবী জামাইকে সঙ্গে নিয়ে যান রাজাবাজারের সেই পাম্পে যান। নম্বর জোগাড় করে পাম্পের মালিক সুলগ্না চক্রবর্তীকে ফোন করেন অসীমা দেবীর স্বামী। 

কিন্তু পাম্পমালিক উল্টে যাতা ভাষায় অপমান করেন অসীমা দেবীর স্বামিকে। 

মহানগরীর বুকে পাম্পের এই নজিরবিহীন কীর্তির কথা জানিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অসীমা দেবীর জামাই। পুলিস তেলের নমুনাও পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছে।


তিনি গানওয়ালা বটে, কিন্তু আসলে তিনি গণ আন্দোলনের কর্মী। একদা গণ আন্দোলনে যোগ দিয়ে হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের সামিল হবেন গণ আন্দোলনে। নিজের গানের সংকলনের অষ্টম খণ্ড প্রকাশের আগে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন কবীর সুমন। এবছর বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে সুমনের গানের নতুন সংকলন।

সিঙ্গুর থেকে নোনাডাঙা, সবকিছুই উঠে এসেছে তাঁর গানে। কখনও লালমোহন টুডু, কখনও জাগরী বাস্কেকে নিয়ে গান বেঁধেছেন কবীর সুমন। এবার বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে কবীর সুমনের গানের সংকলনের অষ্টম খন্ড।

কবীর সুমনের কোনও গানের স্বরলিপি নেই। পরবর্তী সময়ে স্বরলিপির ওপর বই তৈরির ইচ্ছা রয়েছে গানওয়ালার। এই বছর বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা সপ্তর্ষি থেকে পাওয়া যাবে কবীর সুমনের এই বই।


রাজ্যের ওপর ঋণের বোঝা ইস্যুতে সবসময়ই বামেদের কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর অসীম দাশগুপ্তের পর এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এবিপিটিএর সমাবেশে বিমান বসু বলেন ঋণ এবং বেতন দেওয়ার পরও রাজ্য সরকারের হাতে উন্নয়নের জন্য ৩৪ হাজার কোটি টাকা থাকে। সেই টাকা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ না করে বিভিন্ন ক্লাবকে অবাধে বিলি করছে রাজ্য সরকার। 

প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গেছে পূর্বতন বাম সরকার। আর সেই কারণেই তাঁর সরকারের পক্ষে উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার গড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের এক সমাবেশে পাল্টা অভিযোগ করেন বিমান বসু। তাঁর বক্তব্য ঋণ ও বেতন দেওয়ার পরও রাজ্যের হাতে ৩৪ হাজার কোটি টাকা উন্নয়নের জন্য থাকে। তাঁর বক্তব্য, সেই টাকা কোন খাতে খরচ হচ্ছে তার হিসেব দিক রাজ্য সরকার। 
 
বামেদের অভিযোগ, আরাবুল ইসলামদের মতন দলীয় নেতাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথায় বসানো হচ্ছে। তার জেরে ভেঙে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থাই।


পশ্চিমবঙ্গেও মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল ৬৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস৷ সকালে রেডরোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন৷ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ নিয়ম মেনে জেলাগুলিতেও প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়৷ 
 শনিবার রেড রোডে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল ৬৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস৷ এদিন সকাল দশটা নাগাদ জাতীয় পতাকা উত্তোজন করেন রাষ্ট্রপতি এম কে নারায়ণন৷
গতবারের মতো এবারও পায়ে হেঁটে গিয়ে আসন গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপরই শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান৷ সুদৃশ্য ট্যাবলো নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর৷ ছিল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের ১৬টি ট্যাবলো৷ হেলিকপ্টারে আকাশ থেকে শুরু হয় পুষ্পবৃষ্টি৷ 
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শহরে কড়া নিরাপত্তার মোতায়েন করা হয়েছে৷ জলপথেও চলছে কড়া নজরদারি৷  
এদিন মর্যাদার সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল৷ এদিন সকালে গার্ডেনরিচের সদর দফতরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেনারেল ম্যানেজার এ কে ভার্মা৷ মার্শাল আর্ট প্রদর্শন করেন এনএসজি জওয়ানরা৷ পূর্ব রেলওয়ে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জি সি অগ্রবাল৷ 
পাশাপাশি জেলাগুলিতেও পতাকা উত্তোলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ৬৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়৷ বর্ধমান পুলিশ লাইনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা৷  
জেলাপ্রশাসনের তরফে সিউড়ি পুলিশ গ্রাউন্ডে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়৷ ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার জগদীশ প্রসাদ মিনা৷ পতাকা উত্তোলনের পর পুলিশের সঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নেন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা৷
পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি সহ অন্যন্য জেলাতেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মর্যাদার সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়৷ 

http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59/32943


পরমাণু পরীক্ষার জন্য কালামকে তৈরি থাকতে বলেছিলেন রাও



পরমাণু পরীক্ষার জন্য কালামকে তৈরি থাকতে বলেছিলেন রাও
নয়াদিল্লি: ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক দু'দিন আগে তাঁকে পরমাণু পরীক্ষার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও৷ এমনটাই জানিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম৷ সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি৷ তবে নির্বাচনে পতন হয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের৷ ক্ষমতায় আসে বিজেপি৷ তার পরও কিন্ত্ত পরমাণু পরীক্ষায় কোনও আপস করেননি রাও৷ উত্তরসূরি অটলবিহারী বাজপেয়ীকে অনুরোধ করেছিলেন,পরীক্ষা যেন চলে৷ সেই ঘটনারও সাক্ষী ছিলেন কালাম৷ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং আয়োজিত সন্তম আর এন কাও স্মারক বক্তৃতায় ভারতের মিসাইল ম্যান তুলে ধরেছেন সেই প্রসঙ্গটা৷ একই সঙ্গে জানাতে ভোলেননি ১৯৯৮ সালের ১১ মে মাসে পোখরানে পরমাণু পরীক্ষার অতীত৷ এবং এই পরীক্ষার নেপথ্যে নরসিমা রাওয়ের ভূমিকা কতখানি৷ 

১৯৯৬-এর নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্ষমতায় আসে বিজেপি৷ সেই সরকার টিকেছিল ১৩ দিন৷ ফলে পরমাণু পরীক্ষা ধাক্কা খায়৷ তবে পরের বার ক্ষমতায় ফিরেই ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী কালামকে নির্দেশ দেন পরমাণু পরীক্ষা করার৷ তার ফলশ্রীতি পোখরান পরমাণু পরীক্ষা৷ তবে সেই পরীক্ষার ভিত্তিটা নরসিমা রাও তৈরি করে দিয়েছিলেন বলেই মন্তব্য কালামের৷ তাঁর কথায়, পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার রাওয়ের আশ্বাসটা আদতে একজন দেশপ্রেমী রাষ্ট্রনায়কের পরিণত মানসিকতা এবং পেশাগত দক্ষতার পরিচয়৷ তিনি মনে করতেন দেশ রাজনৈতিক ব্যবস্থার চেয়ে অনেক বড়৷ 

সেই সময় ভারতের পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে অত্যুত্সাহীদের নজর ঘোরাতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল৷ স্মারক বক্তৃতায় সে প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন কালাম৷ জানিয়েছেন, পোখরান পরমাণু পরীক্ষার আগে চাঁদিপুরের উত্ক্ষেপণ করা হয়েছিল ১২টি ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্র৷ বিমান বাহিনীও একাধিক পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল৷-পিটিআই 

রক্ষীদের দুষ্কৃতী-যোগের অভিযোগ
পাচারে মদত বিএসএফেরই, রিপোর্ট ডিজি-র
সীমান্তে নজরদারির দায়িত্ব যাদের, তাদের মদতেই চলছে পাচার! অন্তত রাজ্য পুলিশ-প্রধানের তেমনই অভিযোগ। 
মুর্শিদাবাদ সীমান্ত থেকে আসা নথিপত্র-সহ রিপোর্ট পাঠিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় সরকারকে বলেছেন, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগসাজশে এ দেশে অনুপ্রবেশে প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র একাংশ। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো ডিজি'র রিপোর্টের সুপারিশ, সরকার এখনই বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুক। নচেৎ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত-এলাকা ক্রমেই মানুষ-মাদক-গরু পাচারের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠবে বলে ডিজি তাঁর রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 
ডিজি-র 'বিস্ফোরক' রিপোর্টটি পেয়ে মহাকরণের কর্তারা বিএসএফ-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যে হেতু পুলিশের রিপোর্টে সরাসরি বিএসএফের বেশ কয়েক জন অফিসারের নাম করে অনুপ্রবেশে মদতদানের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাই স্বরাষ্ট্র দফতর এ ব্যাপারে কড়া মনোভাব নিচ্ছে বলেই দফতর-সূত্রের খবর। "গুরুতর অভিযোগ। বিএসএফ-কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, মুর্শিদাবাদ সীমান্তে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠেছে।" মন্তব্য এক স্বরাষ্ট্র-কর্তার। 
স্বরাষ্ট্র দফতরের খবর: গত ৭ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর সেখানকার সীমান্ত-এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ডিজি-কে একটি রিপোর্ট দেন। তাতে বলা হয়েছে, সীমান্তে এখন বিএসএফের একাংশই মানুষ পাচারে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে, যে জন্য বিএসএফের কেউ কেউ বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংশ্রব রাখতেও কসুর করছেন না। এসপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার সমাজবিরোধী মহম্মদ সইদুল ইসলামের সঙ্গে বিএসএফের কিছু অফিসারের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। এসপি'র বক্তব্য: বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ' (বিজিবি)-এর গোদাবাড়ি আউটপোস্ট এলাকায় সক্রিয় সইদুল চর-আসারিয়াদহ, সাহেবনগর প্রভৃতি পয়েন্ট হয়ে রাজশাহি করিডর দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে লোক ঢোকায়। বিএসএফের বেশ কিছু অফিসারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে সইদুল এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করে এসপি'র রিপোর্টে অভিযোগ, এ ভাবে দু'পক্ষের যোগাযোগের মাধ্যমেই লাগাতার অনুপ্রবেশ চলছে। নিজের দাবির সমর্থনে তথ্যও পেশ করেছেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার। কী রকম?
এসপি জানিয়েছেন, গত ১৮ নভেম্বর রানিনগর থানা-এলাকায় বেশ কয়েক জন বাংলাদেশিকে পুলিশ পাকড়াও করে। তাঁরা এ দেশে ঢুকেছিলেন বিএসএফের ১৩০ নম্বর ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কিছু এলাকা দিয়ে, মূলত কাহাড়পাড়া আয়রন ব্রিজ ধরে। এসপি'র দাবি: জেরার মুখে ধৃতেরা বলেন, বিএসএফের ইন্সপেক্টর শিবরাম শিবাজিরাও ভোঁসলে ও মুর্শিদাবাদ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফের ডিআইজি-সদর তাঁদের অনুপ্রবেশের কথা জানেন। পাশাপাশি সইদুলের সঙ্গে ওই সব অফিসারের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা জানিয়ে ধৃতেরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, 'বোঝাপড়ার' মারফতই তাঁরা এ দেশে ঢুকেছেন। এসপি জানান, পুলিশ অনুপ্রবেশকারী ওই দলটিকে গ্রেফতার করে তাঁদের থেকে আরও তথ্য পেয়েছে। পুলিশ সব খতিয়ে দেখছে। 
মুর্শিদাবাদের পুলিশ-কর্তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এখন অনুপ্রবেশের খোলা ময়দান হয়ে গিয়েছে। বিশেষত ভগবানগোলা, যেখানে বিএসএফের ১৫১ নম্বর ব্যাটালিয়ন মোতায়েন। এসপি'র রিপোর্ট মোতাবেক, ভগবানগোলা, লালগোলা, চর-লবণগোলার ৭ থেকে ১০ নম্বর পয়েন্ট দিয়ে মানুষ-মাদক-গরু অবাধে পাচার হচ্ছে, এমনকী আইরমারিতে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতে কাঁটাতারের বেড়া খোলা রাখা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ: বিএসএফ সব জেনেশুনেও চুপ, কারণ তাদের একাংশই এই কাজের মদতদাতা। মুর্শিদাবাদের ১৫১ এবং ১৩০ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ এলাকা দিয়েই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ মহাকরণকে জানিয়েছে। 
৭ ডিসেম্বর এসপি'র ওই রিপোর্ট পেয়ে তা ১০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠিয়েছেন ডিজি। স্বরাষ্ট্র-সচিবকে তিনি লিখেছেন, বিএসএফের বিরুদ্ধে ওঠা এ হেন মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট স্তরে আলোচনা করুক, প্রয়োজনে তদন্ত হোক। ডিজি-র রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র দফতরও বিএসএফ-কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা চেয়েছে বলে মহাকরণের খবর। বিএসএফের কী বক্তব্য?
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের এডিজি বংশীধর শর্মা বলেন, "মহাকরণ থেকে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এক আইজি পদমর্যাদার অফিসারকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। কাজ চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তবে বাহিনীর এক মুখপাত্রের দাবি, "বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বিএসএফ সীমান্তে মাদক ও গরু পাচার রুখতে কড়া মনোভাব নিলেই পুলিশ অসুবিধায় পড়ে যায়। যে সব অফিসার কড়া মনোভাব দেখান, তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের একটা অংশ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দেখা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছে কি না।"
http://www.anandabazar.com/26desh1.html

No comments:

Post a Comment