Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti basu is DEAD

Jyoti Basu: The pragmatist

Dr.B.R. Ambedkar

Memories of Another Day

Memories of Another Day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Wednesday, December 10, 2014

মতুয়া লিটন দাস ব্রাহ্মন্যবাদী চক্রান্তের মর্মান্তিক ইতিহাস।

ব্রাহ্মন্যবাদী চক্রান্তের 
মর্মান্তিক ইতিহাস।
--------------->

সুধী পাঠক!!
বল্লাল ও রঘুনন্দনের
বর-পুত্র সরূপ একদল মানুষ দু-একটি সংস্কৃত
শ্লোক সম্বল করে শাস্ত্রের বরাতে অগনিত নমজাতির চোখে ধাঁধা 
লাগিয়ে যাদুকরের ন্যায় সমাজে অন্ধ কুসংস্কারের রাজত্ব বিস্তার করেছিল।
আর একদল পন্ডিত রঘুনন্দনের শূদ্রদলন নীতিকে কার্যকরী করার জন্য কল্পিত শাস্ত্রগ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
রঘুনন্দনের দোঁসরগোষ্ঠি বাংলা ও বাঙ্গালীর আরও যে সমস্ত সর্বনাশ করেছিলেন,তার
দু-একটি কথা এখানে উপস্থাপন করব।
@@

যদিও ইতিপূর্বে ব্রাহ্মন্যবাদী ঐন্দ্রজালিক বহুবিদ তথ্য
পরিবেশিত হয়েছে।
তবে এবার ব্রাহ্মন
জাতির স্বকীয় বৈশীষ্টের কথা তুলে ধরব।
নরঘাতকরা যে বিশ্বাস ঘাতকতায়ও অদ্বিতীয় তার কিছু পরিচয়
এখানে তুলে ধরছি।

বিশ্বাসঘাতক ব্রাহ্মনরা মুসলমানদের সাথে যোগ দিয়ে সিন্দুদেশের হিন্দু রাজা দাহিরের সর্বনাশ সাধন করেছিলেন।
বক্তিয়ার খলজির নিকট থেকে ১৩লক্ষ টাকার লোভে পন্ডিত পশুপতি মিশ্রবাংলার নরপতি লক্ষন সেনের পুত্র কেশব সেনকে শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে
যুদ্ধ করতে নিরস্ত
করে বাংলার
সিংহাসন বৈদেশিক আক্রমনকারীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
ব্রাহ্মনরা গুরুগোবিন্দ সিংহের দুই শিশুপুত্রকে মোঘল সম্রাটের নিকট ধরিয়ে দিয়ে প্রাচীরের
মধ্যে প্রোথিত করেছিলেন।
ব্রাহ্মন আমাত্যগন মিলে ছত্রপতি শিবাজীর
মহারাষ্ট্র সাম্রাজ্যকে 
ধ্বংস করেছিলেন।
কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র,উমিচাঁদ,
নন্দকুমার প্রভৃতি কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক ব্রাহ্মন মীরজাফর ও ক্লাইভের সাথে ষঢ়যন্ত্র করে বাংলার সিংহাসন বিদেশী বেনিয়াদের হাতে অর্পন করেছিলেন।
বিজয়নগরের রাজ-ভ্রাতা
রাজারাম মান্দ্রাজকে ইংরেজ চরনে অঞ্জলি দিয়ে ইংরেজ সখা খেতাপ লাভ করেছিলেন।
@
সুধীপাঠক!ব্রাহ্মন শব্দটি শ্রবন করার সাথে'সাথে
মনপড়ে মহাপুরুষ শঙ্কারাচার্য্য,ভক্তপ্রান রামানুজ,প্রেমাবতার শ্রীচৈতন্য প্রমূখ
বাংলার রত্নমনিদের 
প্রতি অমানুসিক অত্যাচারের কথা।

মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে,
ডঃ.বি,আর,আম্বেদকর,
ধর্মবীর দয়ানন্দ স্বরস্বতীর প্রতি কী জঘন্য অত্যাচার।
ব্যবস্থাদাতা শাস্ত্রকররূপে কোটি,কোটি শূদ্রের উপর
ব্রাহ্মনদের কী অমানবিক
নির্যাতন ও শোষন।
ব্রাহ্মন শব্দটির সাথে কতযুগের কত নিষ্ঠুরতা,
কত বর্বরতা ও 
পাশবিকতার মসীলিপ্ত ইতিহাস বিজড়িতরয়েছে।
ভারত মহাসাগরের জলেও
সে কালিমা কোনদিন ধৌত 
হবার নয়।আমাদের পুর্ব পুরুষদের মহাপাপের প্রায়শ্চিত্যের জন্য কর্মবীর
শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর,
মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে,
সংবিধান প্রনেতা-
ডঃ.বি, আর আম্বেদকর,
দয়ানন্দ স্বরস্বতি মহা-মানবগন যখনি সমাজ সংস্কার কার্যে হাত দিয়েছেন,হাজার,হাজার
ব্রাহ্মন তখনি তাঁদের গতিরোধ করার জন্য আহার,নিদ্রা ত্যাগকরেছেন।

মৃত স্বামীর জ্বলন্ত চিতা থেকে জীবন্ত স্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য রাজা রামমোহন রায় যখন আন্দোলন শুরু 
করেছিলেন,
তখন ব্রাহ্মনরাই
তাকে গুপ্ত হত্যার ষঢ়যন্ত্র করেছিলেন।
বাংলার ব্রাহ্মন পন্ডিতগনই সতীদাহ প্রথাকে বলবত্‍ রাখার জন্য মহামান্য লাটসাহেবের নিকট এক সুদীর্ঘ আবেদন করেছিলেন।

ঈশ্বরচন্দ্র বন্দোপাধ্যয়ের 
'বিধবা'বিবাহ আন্দোলনের সময় ও ব্রাহ্মন পন্ডিতেরা বিধবা বিবাহের বিপক্ষে কোন শাস্ত্রীয় যুক্তি প্রমান 
প্রদর্শনে অসমর্থ হয়ে বিদ্যাসাগরকেও গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

নবযুগের অগ্রনায়ক ধর্মবীর দয়ানন্দ স্বরস্বতী যখন অহিন্দু অপামর জনসাধারনের মধ্যে বেদ প্রচার করতে ছিলেন,
তখন জগন্নাথ নামধারী এক পাচক ব্রাহ্মন বিষ প্রয়োগে তাকে হত্যা করেছিলেন।

ভারত গৌরব স্বামী বিবেকানন্দ বেদান্দ প্রচার করে পাশ্চাত্ত্যদেশ হতে যখন কোলকাতায় ফিরছিলেন,
তখন ব্রাহ্মনরাই বিবেকানন্দকে কলির শূদ্রসন্যাসী বলে উপহাস ও বিদ্রুপ করেছিলেন।
@@
নমঃজাতির জনক 
বিশ্বের নিঃস্ব,নিপীড়িত,
অবহেলিত,ঘৃনিত ও অস্পৃশ্য মানুষের দরদী বন্ধু শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর যখন এই নমঃজাতিকে চন্ডালত্বের নাগপাশ থেকে মুক্তকরার জন্য খৃষ্টান ধর্মযাজক ডঃ.সি,এস
মীডের সহযোগিতায় বৃটিশ সেন্সাস্‌ কর্মকর্তা মহামতি গেটসাহেবের নিকট আবেদন করেছিলেন,
তখন এই বাংলার দ্বার পন্ডিত ব্রাহ্মন সন্তান মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন,
নমজাতির মাতৃজাতির সম্পর্কে মনুসংহিতার অশ্লিলতাকেও হার মানিয়ে কদর্য ভাষা প্রয়োগ করে নমজাতির আচার আচরন ও ক্রিয়কর্ম সম্পর্কে মিথ্যা জঘন্য কথা লিখে নগ্নভাষায় রিপোর্ট দিয়েছিলেন।
এভাবে-
এদেশে নমজাতি বলতে কোন জাতি নেই,
তারা চন্ডাল।
@
শ্রীধাম ওড়াকান্দির অদূরে অবস্থিত ঘৃতকান্দি গ্রাম নিবাসী পরম উদারচিত্ত ভাগ্যবান ধনী কায়স্থ সন্তান শ্রীগিরিশচন্দ্র বসু 
দেশের দরিদ্র ও অশিক্ষিত জনগনের সেবা কল্পে একটি দাতব্য চিকিত্‍সালয় এবং একটি 
উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ঠাকুর গুরুচাঁদের সাথে পরামর্শ করে,যখন ওড়াকান্দি স্থান নির্দ্ধারন করেন,তখন ফুকুরা গ্রামবাসী ব্রাহ্মনরা গিরিশ বাবুকে ডেকে যা বলেছিলেন,
নিম্নে তার কয়েকটি চরন উদ্ধৃত করা হল।

"ব্রাহ্মন কায়স্থ কোথা যেথা তব ঘর।তুমি বাস কর বাপু নমঃর ভিতর।।
নমঃজাতি চেন তুমি বিদ্যাশিক্ষা নাই।
বিদ্যাহীন বলে মোরা তাদেরে চরাই।।
স্কুল যদি পায় তারা বিদ্বান হইবে।আমাদের মান্য বাপু কভু না রহিবে।

প্রীয় পাঠক!ব্রাহ্মনবাদী
চক্রান্তের মর্মান্তিক
কাহিনী দিন-সপ্তাহ-পক্ষ-
মাস-বছর-যুগ-
শত মন্মান্তর ধরে বললেও শেষ করা যাবে না।
আর বুকের মাঝে রি-রি
করে যে আগুন জ্বলছে তাই নিভবে না।
বরং ব্রাহ্মন্যবাদের অত্যাচারের কাহিনী
যতই প্রকাশ করা হবে বুকের আগুন ততই প্রজ্বলিত হবে বলে 
আমি মনে করি।

দুঃখের বিষয় এই যে,
একটা কুকুরে স্পর্শ করলে ব্রাহ্মনের 
ভাত মার যায় না,
কিন্ত একজন শূদ্রে স্পর্শ করলে ব্রাহ্মনের 
ভাত মার যায়।

একটা কুকুরের চেয়েও আমাদেরকে যারা নিকৃষ্ট মনে করে,তাদেরকে আমরা আর কতকাল ধরে দেবতার আসনে বসায়ে ফুল চন্দনের 
দ্বারা চরন পূজা করব?
এই জাতির কাছে
আমার প্রশ্ন রইল।
@@@@@

জয় হরিচাঁদ।জয় গুরুচাঁদ।
জয় হরিবোল।

ব্রাহ্মন্যবাদী চক্রান্তের   মর্মান্তিক ইতিহাস।  --------------->    সুধী পাঠক!!  বল্লাল ও রঘুনন্দনের  বর-পুত্র সরূপ একদল মানুষ দু-একটি সংস্কৃত  শ্লোক সম্বল করে শাস্ত্রের বরাতে অগনিত নমজাতির চোখে ধাঁধা   লাগিয়ে যাদুকরের ন্যায় সমাজে অন্ধ কুসংস্কারের রাজত্ব বিস্তার করেছিল।  আর একদল পন্ডিত রঘুনন্দনের শূদ্রদলন নীতিকে কার্যকরী করার জন্য কল্পিত শাস্ত্রগ্রন্থ রচনা করেছিলেন।  রঘুনন্দনের দোঁসরগোষ্ঠি বাংলা ও বাঙ্গালীর আরও যে সমস্ত সর্বনাশ করেছিলেন,তার  দু-একটি কথা এখানে উপস্থাপন করব।  @@    যদিও ইতিপূর্বে ব্রাহ্মন্যবাদী ঐন্দ্রজালিক বহুবিদ তথ্য  পরিবেশিত হয়েছে।  তবে এবার ব্রাহ্মন  জাতির স্বকীয় বৈশীষ্টের কথা তুলে ধরব।  নরঘাতকরা যে বিশ্বাস ঘাতকতায়ও অদ্বিতীয় তার কিছু পরিচয়  এখানে তুলে ধরছি।    বিশ্বাসঘাতক ব্রাহ্মনরা মুসলমানদের সাথে যোগ দিয়ে সিন্দুদেশের হিন্দু রাজা দাহিরের সর্বনাশ সাধন করেছিলেন।  বক্তিয়ার খলজির নিকট থেকে ১৩লক্ষ টাকার লোভে পন্ডিত পশুপতি মিশ্রবাংলার নরপতি লক্ষন সেনের পুত্র কেশব সেনকে শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে  যুদ্ধ করতে নিরস্ত  করে বাংলার  সিংহাসন বৈদেশিক আক্রমনকারীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।  ব্রাহ্মনরা গুরুগোবিন্দ সিংহের দুই শিশুপুত্রকে মোঘল সম্রাটের নিকট ধরিয়ে দিয়ে প্রাচীরের  মধ্যে প্রোথিত করেছিলেন।  ব্রাহ্মন আমাত্যগন মিলে ছত্রপতি শিবাজীর  মহারাষ্ট্র সাম্রাজ্যকে   ধ্বংস করেছিলেন।  কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র,উমিচাঁদ,  নন্দকুমার প্রভৃতি কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক ব্রাহ্মন মীরজাফর ও ক্লাইভের সাথে ষঢ়যন্ত্র করে বাংলার সিংহাসন বিদেশী বেনিয়াদের হাতে অর্পন করেছিলেন।  বিজয়নগরের রাজ-ভ্রাতা  রাজারাম মান্দ্রাজকে ইংরেজ চরনে অঞ্জলি দিয়ে ইংরেজ সখা খেতাপ লাভ করেছিলেন।  @  সুধীপাঠক!ব্রাহ্মন শব্দটি শ্রবন করার সাথে'সাথে  মনপড়ে মহাপুরুষ শঙ্কারাচার্য্য,ভক্তপ্রান রামানুজ,প্রেমাবতার শ্রীচৈতন্য প্রমূখ  বাংলার রত্নমনিদের   প্রতি অমানুসিক অত্যাচারের কথা।    মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে,  ডঃ.বি,আর,আম্বেদকর,  ধর্মবীর দয়ানন্দ স্বরস্বতীর প্রতি কী জঘন্য অত্যাচার।  ব্যবস্থাদাতা শাস্ত্রকররূপে  কোটি,কোটি শূদ্রের উপর  ব্রাহ্মনদের কী অমানবিক  নির্যাতন ও শোষন।  ব্রাহ্মন শব্দটির সাথে কতযুগের কত নিষ্ঠুরতা,  কত বর্বরতা ও   পাশবিকতার মসীলিপ্ত ইতিহাস বিজড়িতরয়েছে।  ভারত মহাসাগরের জলেও  সে কালিমা কোনদিন ধৌত   হবার নয়।আমাদের পুর্ব পুরুষদের মহাপাপের প্রায়শ্চিত্যের জন্য কর্মবীর  শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর,  মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে,  সংবিধান প্রনেতা-  ডঃ.বি, আর আম্বেদকর,  দয়ানন্দ স্বরস্বতি মহা-মানবগন যখনি সমাজ সংস্কার কার্যে হাত দিয়েছেন,হাজার,হাজার  ব্রাহ্মন তখনি তাঁদের গতিরোধ করার জন্য আহার,নিদ্রা ত্যাগকরেছেন।    মৃত স্বামীর জ্বলন্ত চিতা থেকে জীবন্ত স্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য রাজা রামমোহন রায় যখন আন্দোলন শুরু   করেছিলেন,  তখন ব্রাহ্মনরাই  তাকে গুপ্ত হত্যার ষঢ়যন্ত্র করেছিলেন।  বাংলার ব্রাহ্মন পন্ডিতগনই সতীদাহ প্রথাকে বলবত্‍ রাখার জন্য মহামান্য লাটসাহেবের নিকট এক সুদীর্ঘ আবেদন করেছিলেন।    ঈশ্বরচন্দ্র বন্দোপাধ্যয়ের   'বিধবা'বিবাহ আন্দোলনের সময় ও ব্রাহ্মন পন্ডিতেরা বিধবা বিবাহের বিপক্ষে কোন শাস্ত্রীয় যুক্তি প্রমান   প্রদর্শনে অসমর্থ হয়ে বিদ্যাসাগরকেও গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।    নবযুগের অগ্রনায়ক ধর্মবীর দয়ানন্দ স্বরস্বতী যখন অহিন্দু অপামর জনসাধারনের মধ্যে বেদ প্রচার করতে ছিলেন,  তখন জগন্নাথ নামধারী এক পাচক ব্রাহ্মন বিষ প্রয়োগে তাকে হত্যা করেছিলেন।    ভারত গৌরব স্বামী বিবেকানন্দ বেদান্দ প্রচার করে পাশ্চাত্ত্যদেশ হতে যখন কোলকাতায় ফিরছিলেন,  তখন ব্রাহ্মনরাই বিবেকানন্দকে কলির শূদ্রসন্যাসী বলে উপহাস ও বিদ্রুপ করেছিলেন।  @@  নমঃজাতির জনক   বিশ্বের নিঃস্ব,নিপীড়িত,  অবহেলিত,ঘৃনিত ও অস্পৃশ্য মানুষের দরদী বন্ধু শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর যখন এই নমঃজাতিকে চন্ডালত্বের নাগপাশ থেকে মুক্তকরার জন্য খৃষ্টান ধর্মযাজক ডঃ.সি,এস  মীডের সহযোগিতায় বৃটিশ সেন্সাস্‌ কর্মকর্তা মহামতি গেটসাহেবের নিকট আবেদন করেছিলেন,  তখন এই বাংলার দ্বার পন্ডিত ব্রাহ্মন সন্তান মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন,  নমজাতির মাতৃজাতির সম্পর্কে মনুসংহিতার অশ্লিলতাকেও হার মানিয়ে কদর্য ভাষা প্রয়োগ করে নমজাতির আচার আচরন ও ক্রিয়কর্ম সম্পর্কে মিথ্যা জঘন্য কথা লিখে নগ্নভাষায় রিপোর্ট দিয়েছিলেন।  এভাবে-  এদেশে নমজাতি বলতে কোন জাতি নেই,  তারা চন্ডাল।  @  শ্রীধাম ওড়াকান্দির অদূরে অবস্থিত ঘৃতকান্দি গ্রাম নিবাসী পরম উদারচিত্ত ভাগ্যবান ধনী কায়স্থ সন্তান শ্রীগিরিশচন্দ্র বসু   দেশের দরিদ্র ও অশিক্ষিত জনগনের সেবা কল্পে একটি দাতব্য চিকিত্‍সালয় এবং একটি   উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ঠাকুর গুরুচাঁদের সাথে পরামর্শ করে,যখন ওড়াকান্দি স্থান নির্দ্ধারন করেন,তখন ফুকুরা গ্রামবাসী ব্রাহ্মনরা গিরিশ বাবুকে ডেকে যা বলেছিলেন,  নিম্নে তার কয়েকটি চরন উদ্ধৃত করা হল।    "ব্রাহ্মন কায়স্থ কোথা যেথা তব ঘর।তুমি বাস কর বাপু নমঃর ভিতর।।  নমঃজাতি চেন তুমি বিদ্যাশিক্ষা নাই।  বিদ্যাহীন বলে মোরা তাদেরে চরাই।।  স্কুল যদি পায় তারা বিদ্বান হইবে।আমাদের মান্য বাপু কভু না রহিবে।    প্রীয় পাঠক!ব্রাহ্মনবাদী  চক্রান্তের মর্মান্তিক  কাহিনী দিন-সপ্তাহ-পক্ষ-  মাস-বছর-যুগ-  শত মন্মান্তর ধরে বললেও শেষ করা যাবে না।  আর বুকের মাঝে রি-রি  করে যে আগুন জ্বলছে তাই নিভবে না।  বরং ব্রাহ্মন্যবাদের অত্যাচারের কাহিনী  যতই প্রকাশ করা হবে বুকের আগুন ততই প্রজ্বলিত হবে বলে   আমি মনে করি।    দুঃখের বিষয় এই যে,  একটা কুকুরে স্পর্শ করলে ব্রাহ্মনের   ভাত মার যায় না,  কিন্ত একজন শূদ্রে স্পর্শ করলে ব্রাহ্মনের   ভাত মার যায়।    একটা কুকুরের চেয়েও আমাদেরকে যারা নিকৃষ্ট মনে করে,তাদেরকে আমরা আর কতকাল ধরে দেবতার আসনে বসায়ে ফুল চন্দনের   দ্বারা চরন পূজা করব?  এই জাতির কাছে  আমার প্রশ্ন রইল।  @@@@@    জয় হরিচাঁদ।জয় গুরুচাঁদ।  জয় হরিবোল।
Like ·  · Share

No comments:

Post a Comment