Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti basu is DEAD

Jyoti Basu: The pragmatist

Dr.B.R. Ambedkar

Memories of Another Day

Memories of Another Day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Tuesday, May 19, 2015

মধ্যস্বত্বভোগীদের উত্থান ও সরকার প্রদত্ত সুবিধাগুলো সময়মতো না দেয়ায় চালের বাজারের ন্যায্য দাম কৃষকের কাছে সবসময়ই অধরা

মধ্যস্বত্বভোগীদের উত্থান ও সরকার প্রদত্ত সুবিধাগুলো সময়মতো না দেয়ায় চালের বাজারের ন্যায্য দাম কৃষকের কাছে সবসময়ই অধরা
মতিউর রহমান <journalist163@gmail.com>

মৌসুমের শুরুতেই বোরো ধানের দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা। বর্তমানে উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছে ৪২০-৪৪০ টাকা, যা সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। অথচ সরকারি হিসাবে এক মণ ধান উৎপাদনে খরচ ৮০০ টাকা।
যদিও কৃষকরা বলছে, এ ব্যয় বেশকিছু এলাকায় আরো ৩০-৪০ টাকা বেশি। তারপরও কৃষকরা ধান বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে। 
প্রতি বিঘায় গড়ে ১৮ থেকে ২০ মণ ধান উৎপাদিত হচ্ছে। এ হিসাবে ধান চাষ করে প্রতি বিঘায় কৃষকের লোকসান হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
ধান চাষের আগে কৃষক দাদন বা চড়া সুদে ঋণ নিয়েছে। দাম কম থাকায় এখন কৃষক ধান বিক্রি করেও আগের ঋণ শোধ করতে পারছে না। তার উপর সংসারের খরচ তো আছেই। আবার নতুন করে চাষের সময় চলে এসেছে। এ সময়ে আগের ঋণ শোধ না করতে পারলে নতুন ঋণ পাওয়া যাবে না। ফলে আগামীতে অর্থ সঙ্কটের কারণে জমি চাষ করাও কঠিন হয়ে পড়বে। এসব মিলে কৃষক এখন হতাশাগ্রস্ত। এতে সব দিক থেকেই কৃষকের গলায় ফাঁস লেগেছে।
এছাড়া এ বছরের শুরু থেকে বিরোধী দলের টানা হরতাল-অবরোধের কারণে কৃষক উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেনি। ফলে ওই মৌসুমেও তাদের বড় ধরনের লোকসান হয়েছে। পর পর টানা দুটি ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকের আর্থিক দুরবস্থা আরো প্রকট হয়েছে।
এ অবস্থায় সংসার খরচ দূরের কথা- মহাজনের দাদনের টাকা, ব্যাংক বা এনজিও'র ঋণ কীভাবে শোধ করবে সেই দুশ্চিন্তায় তারা দিশেহারা। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় মাঠের ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে নিতেও অনেকের আগ্রহ কম। কেননা ধান কাটতে দিনমজুরপ্রতি দিনে খরচ হচ্ছে ৪শ/৫শ টাকা। এক বিঘা জমির ধান কাটতে ও মাড়াই করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। এসব খরচ মিটিয়ে বাজারে যে দামে ধান বিক্রি করা হচ্ছে তার চেয়ে মাঠের ধান মাঠে থাকাই ভালো বলে মনে করছে কৃষকরা।
এদিকে বাম্পার ফলনের পরও কৃষকরা সর্বস্বান্ত হলেও মোটা অঙ্কের মুনাফা করছে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া ও মিলাররা। তারা কম দামে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে এখন চড়া দামে সরকারের কাছে বিক্রি করছে। ফলে ধানের মুনাফার পুরোটাই চলে যাচ্ছে ফড়িয়া ও মিলারদের পকেটে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে ১ মে থেকে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই কার্যক্রমের আওতায় এবার ৩২ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন চাল ও ২২ টাকা কেজি দরে এক লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকার প্রতি মণ ধানের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ৮৮০ টাকা।
কিন্তু সরকারের ধান-চাল কেনা শুরুর আগেই গত এপ্রিলের শুরু থেকে বাজারে নতুন ধান চলে আসে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নতুন ধানের বেশির ভাগই বাজারে চলে আসে। তখন দাম কমে যায়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ফলে সরকারের ধান-চাল কেনার আগেই কৃষকরা দেনা শোধ করতে বা নিজেদের প্রয়োজনে ধানের একটি অংশ কম দামে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে ধান চলে গেছে ফড়িয়াদের হাতে।
প্রতি বছরই কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বছর পরিস্থিতি আরো খারাপ। কারণ ভারতীয় নিম্নমানের চালে দেশ সয়লাব হয়ে গেছে। সরকারের শুল্কমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিয়ে চাহিদা বিবেচনা না করেই লাখ লাখ টন নিম্নমানের চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। শেষ সময়ে চাল আমদানির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও এর মধ্যে চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আমদানি হয়েছে। আরো চাল আসছে। ফলে এখন শুল্ক আরোপ করেও খুব বেশি লাভবান হওয়া যাবে না।
আর এখন ধানের দাম বাড়লেও এর সুফল কৃষকরা খুব বেশি একটা পাবে না। কেননা কৃষকরা এর মধ্যে নিজেদের প্রয়োজনীয় ধান ছাড়া বাকি প্রায় সবই বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে এখন ধানের দাম বাড়লে এর সুফল পাবে ফড়িয়ারা।
উল্লেখ্য, মধ্যস্বত্বভোগীদের উত্থান ও সরকার প্রদত্ত সুবিধাগুলো সময়মতো না দেয়ায় চালের বাজারের ন্যায্য দাম কৃষকের কাছে সবসময়ই অধরা রয়েছে। বিপণন জটিলতা ও সরকারের শিথিল ভূমিকা পালনের কারণে বেশিরভাগ সময়ই চালের বাজারের সুবিধাপ্রাপ্ত হয় মধ্যস্বত্বভোগী এবং মিল মালিকরা, যা প্রতিহত করার জন্য কৃষকদের অর্থায়ন ও মজুদ সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরী। চালের বিপণন ও কৃষককে উৎপাদন সহায়তায় করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ উপেক্ষিত থাকা শুধু দুঃখজনক নয়, নিন্দনীয়ও বটে। চালের বাজারে বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি ওয়াকিবহাল থাকার পরও সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা অনাকাঙ্খিত এবং রহস্যজনক।
কৃষক ও ভোক্তা দুই পর্যায়ে মূল্য সহায়তা দিয়ে থাইল্যান্ড যদি চালের বাজারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে- তাহলে সেই পন্থা অবলম্বন করতে আমাদের বাধাটা কোথায়? এডিবি'র গবেষণা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পাশের দেশ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিমাত্রায় মুনাফা অর্জন করছে এবং চালের দামের ৪০ শতাংশই যাচ্ছে তাদের পকেটে। সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক, এ চক্রের খুঁটির জোর কোথায়?
মূলত, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই কৃষকেরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। ছোট ও মাঝারি কৃষকেরা বড় কৃষকদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারের পরিকল্পনাহীনতার কারণে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে খরচ হয়, সে অনুযায়ী দাম পায় না কৃষকরা। লাভ তো পরের কথা, অনেক সময় উৎপাদন খরচও উঠে না। তবুও বাধ্য হয়ে কৃষিতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার নিয়ন্ত্রিত ও সমন্বিতভাবে পরিচালিত একটি মূল্য কমিশন গঠন করা দরকার। মুনাফালোভী মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। যথাযথ ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা দরকার।

No comments:

Post a Comment