(শাহবাগ আন্দোলনকারীদের প্রতি উৎসর্গীকৃত )
ভাষার মাসে নতুন আঙ্গিকে গানটি শুনুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ব্যান্ড 'জোডিয়াক' এর পরিবেশনায়।
https://soundcloud.com/barky-xodiac/ora-amar-by-xodiac-musically
শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ
জয় বাংলা।
লেখাটি আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন, আশিক কাঞ্চন।
ভাই যে দেশের হোম সিনিষ্টা রাজাকার এই দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে?১ ৫ কোটি মানুষ মধ্যে ধরেন ৫ কোটি মানুষ শাহাবাগে অমর একুশে মহাসমাবেশ আসবে আর বাকি ১০ কোটি মানুষ জায়গা থেকে লরবেনা কারন এটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না দলের প্রতি হিংসা।আর বাংলদেশে সব মানুষ এটাও জানে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে অমর একুশে মহাসমাবেশ হলো আওয়ামি লিগের গৃহপালিত আন্দলন।
https://www.facebook.com/video/video.php?v=539249922772491
আমরা কি আমাদের শহীদের রক্তের শুধু বিচার চাই ???
না ... শুধু বিচার না , বিচার কে নিজ চোখে কার্যকর হতে দেখতে চাই এবং চাই আমাদের সোনার বাংলার বুক থেকে ঐ নর পশুদের চিরতরে বিদায় করতে ...
আমরা করি না ভয়,
মুক্তিযোদ্ধারা সদা জাগ্রত রয় ।
জয় বাংলা ...
আজ ডেইলী স্টারের প্রচ্ছদে শাহবাগ আন্দোলনের সংবাদের নিচেই ইসলামী ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপণ প্রকাশিত হয়েছে, ডেইলী স্টার কর্তৃপক্ষসহ বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিক সমিতি (নোয়াব) সহ পুরো মিডিয়াকে আমরা অনুরোধ জানাই তারা যেন আমাদের আবেগের কথা চিন্তা করে হলেও জামায়াত সংশ্লিষ্ট খবর ও বিজ্ঞাপণ প্রচার না করে তরুণদের অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। জয় বাংলা।
আজ সেই আফসোস কিছুটা হলেও কম কারণ যে কাজ আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা অসমাপ্ত রেখে গিয়েছেন তা সুচারু রূপে সমাপ্ত করার সুযোগ টা পেয়েছি ... জয় বাংলা ...
দৈনিক আমারদেশের ইসলাম অবমাননা। কাবা শরিফ ও খতিক কে নিয়ে মিথ্যাচার
শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক বা ব্যাক্তি স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা আমাদের দেশে নতুন কিছু না। এদেশের একটি রাজনৈতিক গোষ্টি সবসময় ইসলামকে ব্যবহার করে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সচেষ্ট থাকে। তারা যখনই রাজনৈতিক ভাবে জনগন থেকে প্রত্যাখ্যত হয়ে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয় তখনই তারা মানুষের ধর্মানুভুতিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ধর্মের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, মানুষ হত্যা করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও এরা এদেশের মুক্তিকামী মানুষদের নাস্তিক ও ইসলামের শত্রু হিসাবে প্রচার করে তাদের উপর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। তখন কি আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা সত্যিই নাস্তিক বা ইসলামের শত্রু ছিল? তারা আমাদের এই পবিত্র ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষ হত্যাকে বৈধতা দিতে চেষ্টা করেছিল।আমরা হযরত মুহাম্মদ (স:) এর জীবনীতে দেখতে পায় তিনিও বিধর্মীদের উপর কথনও অন্যায়, অত্যাচার বা হত্যাযজ্ঞতে মেতে উঠেননি বরং আমরা দেখেছি ভালোবাসা দিয়ে তাদের হৃদয় জয় করেছেন। কিন্তু আমাদের এই ধর্মব্যবসায়ীরা কি কখনও আমাদের প্রিয় নবীর জীবনী অনুসরন করেছে?
আমরা গত ১/২ বছরে দেখেছি বাংলাদেশে যখন চরম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে ঠিক তখনই সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, রামু সহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।কারন আর কিছু নয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া মুলত যুদ্ধাপরাধীদের বাচানো।এখন শাহবাগ চত্তরে চরছে গনজাগরন। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই গনজাগরন চত্তরে সমবেত হয়ে সমস্বরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি দাবী করছে। শুধু শাহাবাগ নয় এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।সারা বিশ্বের সমস্ত মিডিয়াতে ফলাও করে এই গনজাগরনের মুল বক্তব্য প্রচার করছে। আর তখনই এই ধর্মব্যবসায়ীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কারন এতদিন তারা প্রচার করেছে বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।কিন্তু এই গনজাগরনের ফলে তাদের সেই অপপ্রচার মিথ্যা প্রমান হয়েছে। সারা বিশ্ব অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করেছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবীতে দেশের মানুষ কতটা স্বৈচ্চার! এদেশের মানুষ রাজাকারদের কিভাবে ঘৃনা করে ! সরকারও এই গনজাগরনের চাহিদা মাথায় রেখে আন্তরিকতার সাথে অইন সংশোধন করেছে যাতে যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক বিচার হয়। এই গন জাগরনের ফলে এই ধর্মব্যবসায়ীদের আরো অনেক ক্ষতি হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে সাক্ষীদের ভয় ভীতি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানে প্রভাব ফেলার কাজ করেছে কিন্তু এই গনজাগরনের ফলে তাদের আর সেই ভয়ভীতি কাজে দেবে না, কারন মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষের চেতনা যেভাবে জাগ্রত হয়েছে এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ছোট ছোট শিশুরা যেভাবে রাজাকারদের প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করেছে তাতে তারা বুঝে গেছে এদেশের আগামী প্রজন্ম হবে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক প্রজন্ম, তাদেরকে আর তারা ভুল পথে পরিচালিত করতে পারবে না। আর তাই এখন তারা এই গনজাগরন কে শত্রু হিসাবে ধরে নিয়ে প্রতিশোধের খেলায় মেতে উঠেছে। এবারও তারা তাদের অস্ত্র হিসাবে ধর্মকে ব্যবহার করার চেষ্টায় আছে। তারা এটাকে নাস্তিকদের সমাবেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে, তারা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে এই গনজাগরন থেকে আমাদের প্রিয় মহানবী ও ইসলামের নামে কটুক্তি ছড়াচ্ছে। এখানে বাংলাদেশের সমস্ত মিডিয়া ২৪ ঘন্টা এই গনজাগরন সরাসরি সম্প্রচার করছে। দেশের জনগন সবসময় এই গনজাগরনের বক্তব্য সরাসরি শুনতে পাচ্ছে। কোন জনগনতো অভিযোগ করেনি যে এখানে ইসলামের নামে কটুক্তি করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তারাই করছে যারা বরাবর এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধীতা করে আসছে।এরা ইসলামকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে ইসলামের অবমাননা করতেও পিছপা হয় না। এরা আমাদের পবিত্র কাবা শরিফ ও কাবা শরিফের ঈমামকে নিয়েও মিথ্যাচার করেছে।
গত ৬ জানুয়ারী দৈনিক আমারদেশ পত্রিকায় একটি সংবাদ ছাপা হয় যার শিরোনাম ছিল "আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন"। এখানে আলেম বরতে তারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বুঝিয়েছেন। আমারদেশে যে সংবাদটা ছাপা হয়েছিল তা হবহু তুলে ধরা হলো-
"বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনালের নামে বাংলাদেশের আলেমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তার প্রতিবাদে গতকালবাদ জুমা কাবার খতিব বিখ্যাত ক্বারী শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইসির নেতৃত্বে মানববন্ধন করেছে ইমাম পরিষদ। মানববন্ধনে শাইখ সুদাইসি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সঙ্গে পরিচিত। সারা দুনিয়ার যত সম্মানিত মানুষ কাবা শরীফের ভেতরে প্রবেশের সৌভাগ্য লাভ করেছেন তিনি তার মধ্য অন্যতম। তাছাড়া মাওলানা নিজামীসহ যেসব আলেমকে কারাগারে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নির্যাতন করা হচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের মানুষ জানে, এই আলেমদের দোষ একটাই, তা হলো কোরআনের খেদমত করা। আর যারা ইসলাম ও কোরআনের খেদমত করে তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন নতুন কিছু নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের ধোয়া তুলে আলেমদের প্রতিহত করা কোনো সচেতন মানুষ মেনে নেবে না। যে আদালতে স্বচ্ছতা নেই সেখানে কোনো আলেম তো দূরে থাক সাধারণ মানুষেরও বিচার হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আল্লামা সাঈদী শুধু বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব নন, তিনি সারা দুনিয়ার মানুষের প্রিয় মানুষ। যার নমুনা আমি লন্ডনের জাতীয় মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেখেছি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কুবা মসজিদের খতিব শাইখ আহমদ ইবনে আলী আল হুজায়ফিসহ বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশের আলেমদের ওপর সরকারের নির্যাতনে ক্ষুব্ধ হয়ে নানা ধরনের বাণী নিয়ে প্রতিবাদ করেন।"
সংবাদে বলা হয়েছে 'গতকাল বাদ জুম্মা' অর্থাৎ ৫ জানুয়ারী এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সংবাদে কাবার ঈমাম সহ কয়েকজন আলেমের ছবি ছাপা হয়েছে। কিন্তু আমারদেশের ঐ ছবি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখা যায় আসলে ঐ ছবিটি কোন মানববন্ধনের না। ছবিটি কাবার গিলাফ পরিবর্তনের ছবি। এবং ছবিটি অরবি একটি সাইটে ১৭ অক্টোবর ২০১২ সালে আপলোড করা হয়। তার মানে ঐ ছবিটি ৫ জানুয়ারী ২০১৩ এর ছবিও না। আরবি সেই সাইটের লিংক হলো
http://www.okaz.com.sa/24x7/articles/article769.html
আপনারা ইচ্ছা করলে গুগল ট্রান্সলেটর এর মাধ্যমে ঐ সাইটের আরবি কে ইংরেজীতে অনুবাদ করে দেখতে পারেন সেখানে কি লেখা আছে। সেখানে আদৌও বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে কোন লেখা নেই। পবিত্র কাবা শরিফ ও তার খতিবকে জড়িয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ কি ইসলামের অবমাননা নয়? এটা কি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত নয়? যে আমারদেশ আজ গনজাগরন কে কেন্দ্র করে ধর্মীয় উস্কানী ছড়াচ্ছে সেই আমারদেশ কি ধর্ম আবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ক নয়? বিষয়ট সবাইকে ভেবে দেখার আহবান করছি।
যুগে যুগে ইসলাম ও বিশ্বনবীকে অবমাননা করেছে ফরাসী-গ্রীকরা
ReplyDeleteফ্রান্সে বিশ্বনবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলামকে অপমান-ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা নিয়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর মাঝে। ইসলাম ও বিশ্বনবীকে অবমাননা দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে আসছেন। তবে তার কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে চরম ইসলামবিদ্বেষ। ফ্রান্সে কেবল গত এক বছরেই ১,০৪৩ টি ইসলামোফোবিক ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ২২ টিরও অধিক মসজিদে হামলার ঘটনাও আছে।
ইতিহাস বলছে- ফ্রান্স যুগে যুগে আঘাত হেনেছে ইসলামের অনুভূতি ও নীতির ওপর। ফ্রান্সে নারীদের পর্দার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অপচেষ্টা সেই ১৯৮১ সাল থেকেই চলছে। এখানেই ফ্রান্সের ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের ইতিহাস শুরু নয়। মুসলিম বিশ্বে ফরাসি উপনিবেশ স্থাপনের কাল থেকেই মুসলমানদের নিম্ন সারির মানুষ হিসেবে তুলে ধরার মনোভাব খোলাসা হয়।
তারা জোরপূর্বক ৯৯ শতাংশ মুসলমানের দেশ আলজেরিয়াকে ১৩২ বছর দখল করে রেখেছিলো। সেই সময়ে জামা কাংশোয়াসহ প্রধান প্রধান প্রায় সবগুলো মসজিদগুলোকে গীর্জায় পরিণত করেছে।
মুসলমানদের ফসলি বাগানগুলোকে ফলের মৌসুমে তারা আগুনে পুড়িয়ে দিতো। ১৫ লাখেরও অধিক লোককে তারা শহীদ করেছে। মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছিলো। কোরআন শিক্ষা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তখন।
শুধু আলজেরিয়া নয়, মরক্কো, তিউনিসিয়া, সুদান, মালি, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, লেবানন, ইয়ামানে যেই মুসলিম ভূমিতেই ফ্রান্স প্রবেশ করেছে সেখানেই মসজিদ, মাদ্রাসা আর ইসলামের উপর আঘাত করেছে।