Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Zia clarifies his timing of declaration of independence

What Mujib Said

Jyoti basu is DEAD

Jyoti Basu: The pragmatist

Dr.B.R. Ambedkar

Memories of Another Day

Memories of Another Day
While my Parents Pulin Babu and basanti Devi were living

"The Day India Burned"--A Documentary On Partition Part-1/9

Partition

Partition of India - refugees displaced by the partition

Friday, January 16, 2015

ট্রিবিউট টু সুচিত্রা সেন

ট্রিবিউট টু সুচিত্রা সেন




:: প্রতিমুহূর্ত ডেস্ক ::

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মহাপ্রয়াণের একবছর পূর্ণ হলো। ২০১৪ সালের এই দিনে ২৬ দিন লড়াই করে মৃত্যুর কাছে হেরে যান এই কিংবদন্তি নায়িকা। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউতে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সুচিত্রা সেনের জন্ম বাংলাদেশের পাবনায় ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল। শৈশব কেটেছে তাঁর পাবনায়। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ও মা ইন্দিরা দেবীর পঞ্চম সন্তান ছিলেন সুচিত্রা সেন। তিন মেয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালে কলকাতার বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দীবানাথ সেনকে বিয়ে করেন তিনি।

১৯৫২ সালে তিনি প্রথম চলচ্চিত্রে পা রাখেন। প্রথম ছবি করেন শেষ কোথায়। কিন্তু সেই ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। 

সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি হলো দেবদাস (১৯৫৫)। সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে প্রণয় পাশা ছবি করার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। 

২৫ বছর সেলুলয়েড শাসনের পর ৩৫ বছর সুচিত্রা সেন আড়ালেই কাটান। 

এর মধ্যে বলিউড-টালিউডের বহু বিখ্যাত পরিচালক সুচিত্রা সেনকে নিয়ে ছবি করতে চাইলেও তিনি তাতে সম্মত হননি। এমনকি দেশ–বিদেশের কোনো পরিচালক, অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও দেননি তিনি। নিজের বাসভবনে তিনি শুধু কথা বলেছেন তাঁর একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন এবং দুই নাতনি রিয়া ও রাইমার সঙ্গে।

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী  উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শুক্রবার একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ প্রদর্শনী শুরু হয়ে চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সুচিত্রা সেন অভিনীত দু'টি করে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চলবে। এ ছাড়া সুচিত্রা সেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভারও আয়োজন করা হয়েছে।

একনজরে সুচিত্রা সেন

* ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল সেনহাটির জমিদারবাড়ির মাতুলালয়ে সুচিত্রা সেনের জন্ম। বেড়ে ওঠেন পাবনার দিলালপুরে।

* পিতার দেওয়া নাম রমা দাস গুপ্ত। আদর করে কৃষ্ণা নামেও ডাকতেন বাবা।

* ১৯৪৭ সালে শিল্পপতি আদিনাথের ছেলে দিবানাথের সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হন রমা। বিয়ের পর রমা গুপ্ত হন রমা সেন।

* ১৯৪৮ সালে মেয়ে মুনমুন সেনের জন্ম।

* ১৯৫২ সালে রমার চলচ্চিত্রে অভিনয়ে অভিষেক। ওই বছর কাজ করেন 'শেষ কোথায়' চলচ্চিত্রে। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি।

* ১৯৫৩ সালে প্রথম মুক্তি পায় চলচ্চিত্র 'সাত নম্বর কয়েদী'। ওই বছরই উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটিবদ্ধ 'সাড়ে চুয়াত্তর' চলচ্চিত্রটিও মুক্তি পায়।

* ১৯৬২ সালে উত্তম-সুচিত্রা জুটির পর্দা বিচ্ছেদ। ১০ বছরে ২৫টি ছবিতে অভিনয় করার পর ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত একসঙ্গে আর কাজ করেননি তারা। ৬৭ থেকে ৭৮ সাল পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ছবিতে কাজ করেছিলেন এ জুটি।

* ১৯৬৩ মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে 'সাত পাকে বাঁধা' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর সম্মান লাভ করেন সুচিত্রা সেন।

* ১৯৬৭ সালে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে হিন্দি 'মমতা' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি।

* ১৯৬৯ সালের ২৮ নভেম্বর স্বামী দিবানাথ সেনের মৃত্যু।

* ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী খেতাব প্রাপ্তি।

*১৯৭৬ আবারও ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে 'আধিঁ' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ।

* ১৯৭৮ সালে অভিনয় থেকে অবসর গ্রহণ। এ বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত শেষ ছবি 'প্রণয় পাশা'। সিদ্ধান্ত নেন জনসম্মুখে আর আসবেন না।

* ১৯৮৭ সালে সরকারি পরিচয়পত্রের ছবি তুলতে শেষ সবার সামনে আসা।

* ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান।

*২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মাননা লাভ।

* ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি।

* ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল প্রায় ৯টায় পরলোক গমন।

চেনা-অচেনা সুচিত্রা সেন

১. সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমার বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। জানা যায়, সুচিত্রা প্রযোজককে বলেছিলেন সিনেমার পোস্টারে তার নাম উত্তম কুমারের আগে লিখতে। 

২. অত্যন্ত জনপ্রিয় থাকার পরও হঠাৎ করেই সুচিত্রা অন্তরালে চলে যান এবং প্রায় তিন দশক তাঁকে একেবারেই জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

৩. সুচিত্রা নয়াদিল্লি গিয়ে ভারতের অত্যন্ত সম্মানজনক দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সম্মাননা প্রত্যাখ্যানকারী একমাত্র তারকা তিনি।

৪. সাত পাকে বাঁধা সিনেমায় অভিনয় করে ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম ভারতীয় হিসেবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন সুচিত্রা। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় একটি সিনেমায় অভিনয় করতে অস্বীকৃতি জানান সুচিত্রা সেন।

৫. বাংলা সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি সুচিত্রা সেন কিছু হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেন। সুচিত্রা অভিনীত বলিউডি সিনেমার মধ্যে রয়েছে দেবদাস, আন্ধি ও মমতা। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন। তিনি অভিনেত্রী মুনমুন সেনের মা এবং রিমা সেন ও রাইমা সেনের মাতামহ।

# ০০:৪৪, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

http://protimuhurto.com/index.php/national2/122-national-headline-1/1860-2015-01-16-20-36-52.html

No comments:

Post a Comment