সিদ্ধার্থ দত্ত (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি জিনিসের সঙ্গে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং জড়িয়ে আছে৷ সকালে উঠে আমারা যে দাঁত ব্রাশ করি, সেই ব্রাশ তৈরিতেও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়৷ কারণ, ব্রাশ পলিমারের তৈরি৷ আমরা যে চশমা পড়ি সেটা তৈরিতেও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান আছে৷ এমনকী, জুতো তৈরির পিছনে থাকে লেদার টেকনোলজি৷ আর লেদার টেকনোলজির একটি বড় অংশ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং৷ সুতরাং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া সভ্যতা এক পাও এগোবে না৷ তবে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হল, পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থাগুলি৷ তবে আমাদের দেশে পলিমার কলসাপশন খুবই কম৷ উন্নত দেশের তুলনায় খুবই নগন্য৷
কাজের সুযোগ: ফার্মাসিটিক্যাল, স্টিল ইন্ড্রাস্ট্রি, পেট্রো ক্যামিক্যাল সংস্থাগুলিতে চাকরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে৷ এই স্ট্রিম থেকে আইটি সেক্টরে যাওয়ার প্রবণতা কম ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে৷
অমিতাভ রায় (আর্কিটেকচার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেসু এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গুটিকয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্নাতক স্তরে আর্কিটেকচার পড়ানো হয়৷ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়৷ তবে পাশাপাশি 'নাটা' পরীক্ষাতেও বসতে হবে৷ স্নাতক স্তরে আর্কিটেকচার পাঁচ বছরের কোর্স৷ এর মধ্যে চার বছর থিওরিটিক্যাল পড়াশুনা৷ আর শেষ এক বছর ট্রেনিং৷ ইদানীং আর্কিটেকচার আগের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে৷ ভবিষ্যতে এই বিষয়ের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে আমার ধারণা৷ কারণ পৃথিবী জুড়েই রিয়েল এস্টেটেটের ব্যবসা বাড়ছে৷ আর্কিটেকচার নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ যেমন আছে, তেমনই আছে নিজের উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ৷ অথাত্র্, আর্কিটেকচার পাশ করার পর রেজিস্ট্রেশন নম্বর হাতে চলে এলে ছোটোখাটো কনসালটেন্সি খোলা খুব একটা কঠিন নয়৷
কাজের সুযোগ: বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কম্পানিতে কাজের সুযোগ রয়েছে৷ অনেক ছাত্র-ছাত্রীই পাশ করার পর কনসালটেন্সি খুলে বসেন৷ অনেকে আবার কয়েক বছর চাকরি করার পর কনসালটেন্সি খোলার কথা ভাবেন৷ অন্য কোনও শাখায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে কিন্ত্ত এই সুযোগ খুবই কম৷ নিজে কনসালটেন্সি খোলার জন্য খুব বেশি পুঁজিরও দরকার হয় না৷ আমরা যখন আর্কিটেকচার নিয়ে পড়েছি, তখন এত সুযোগ ছিল না৷ কারণ, তখন রিয়েল এস্টেটেটের ব্যবসার এত রমরমা ছিল না৷ কিন্ত্ত ২৩ বছরে ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে৷
সংখ্যায়ন চৌধুরি (কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ)
কম্পিউটার সায়েন্স একটি বড় বিষয়ে৷ একই সঙ্গে অত্যন্ত গভীর৷ কম্পিউটার সায়েন্সের মূলত দুটি বিষয়৷ হার্ডওয়ার এবং সফটওয়ার৷ ২০০০ সাল থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে জোয়ার এসেছে৷ রাজ্যের অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই বিষয়টি পড়ানো হয়৷ চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা তো আছেই, পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে ভবিষ্যতে গবেষণা করার বিস্তর সুযোগ রয়েছে৷ সাধারণত, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের ভিতর থেকে গবেষণা করার লোক খঁুজে পাওয়া যায় না৷ কিন্ত্ত কম্পিউটার সায়েন্সের ক্ষেত্রে ছবিটা পুরোপুরি ভিন্ন৷ কিন্ত্ত কম্পিউটার সায়েন্সের অনেক ছাত্র-ছাত্রীই ভবিষ্যতে গবেষণার পথে হাঁটেন৷ তার একটা বড় কারণ, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ বেশি৷ তা ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া পৃথিবী এক মুহূর্ত চলতে পারবে না৷ তাই আমাদের দেশেও যে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিশেষ কদর থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক৷ রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে অবশ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কোনও সুযোগ নেই৷ এখানে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক ডিগ্রি দেওয়া হয়৷ তবে সিলেবাসের বিশেষ কোনও হেরফের নেই৷
কাজের সুযোগ: ভালো কলেজ থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর চাকরি পেতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷ যাদবপুর কিংবা বেসুর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সমস্ত পড়ুয়াই ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে চাকরি পেয়ে যায়৷ একটা ধারণা তৈরি হয়েছে, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ইদানীং চাকরির সুযোগ কিছুটা কমেছে৷ তবে আমার কিন্ত্ত সে রকম কিছু মনে হয় না৷ কারণ, বছর খানেক আগেও বড় বড় সফটওয়ার কোম্পানিগুলি সিভিল, কেমিক্যাল, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রদেরও চাকরিতে নিয়োগ করত সফটওয়ার ডেভোলপার হিসেবে৷ কোম্পানিগুলির যুক্তি ছিল, যেহেতু যে কোনও শাখার ইঞ্জিনিয়রদেরই নুন্যতম মেধা থাকে তাই কিছুটা ব্রাশ করে নিলেই তারা তৈরি হয়ে যায়৷ কিন্ত্ত এখন সেই ছবিটার পরিবর্তন হয়েছে৷ অধিকাংশ আই টি সংস্থাই এখন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়রদেরই বেছে নেয় সফটওয়ার ডেভলপার হিসেবে৷
সত্যজিত্-মৃণাল-ঋত্বিক হওয়া তাঁর স্বপনে নয়৷ ছবি চালানোটাই স্বপ্ন৷ দেড় বছরে চারটে ছবি করে ফেলেছেন৷ আগামীতে আরও ছ'টা৷ 'আ পলিটিক্যাল মার্ডার'-এর মুক্তির আগে পলিটিক্যালি সম্পূর্ণ ইনকারেক্ট অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়৷ 'ভূতের ভবিষ্যত্' স্বতঃস্ফর্ত সপ্তাহ হঠাত্
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি জিনিসের সঙ্গে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং জড়িয়ে আছে৷ সকালে উঠে আমারা যে দাঁত ব্রাশ করি, সেই ব্রাশ তৈরিতেও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়৷ কারণ, ব্রাশ পলিমারের তৈরি৷ আমরা যে চশমা পড়ি সেটা তৈরিতেও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান আছে৷ এমনকী, জুতো তৈরির পিছনে থাকে লেদার টেকনোলজি৷ আর লেদার টেকনোলজির একটি বড় অংশ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং৷ সুতরাং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া সভ্যতা এক পাও এগোবে না৷ তবে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হল, পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থাগুলি৷ তবে আমাদের দেশে পলিমার কলসাপশন খুবই কম৷ উন্নত দেশের তুলনায় খুবই নগন্য৷
কাজের সুযোগ: ফার্মাসিটিক্যাল, স্টিল ইন্ড্রাস্ট্রি, পেট্রো ক্যামিক্যাল সংস্থাগুলিতে চাকরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে৷ এই স্ট্রিম থেকে আইটি সেক্টরে যাওয়ার প্রবণতা কম ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে৷
অমিতাভ রায় (আর্কিটেকচার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেসু এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গুটিকয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্নাতক স্তরে আর্কিটেকচার পড়ানো হয়৷ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়৷ তবে পাশাপাশি 'নাটা' পরীক্ষাতেও বসতে হবে৷ স্নাতক স্তরে আর্কিটেকচার পাঁচ বছরের কোর্স৷ এর মধ্যে চার বছর থিওরিটিক্যাল পড়াশুনা৷ আর শেষ এক বছর ট্রেনিং৷ ইদানীং আর্কিটেকচার আগের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে৷ ভবিষ্যতে এই বিষয়ের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে আমার ধারণা৷ কারণ পৃথিবী জুড়েই রিয়েল এস্টেটেটের ব্যবসা বাড়ছে৷ আর্কিটেকচার নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ যেমন আছে, তেমনই আছে নিজের উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ৷ অথাত্র্, আর্কিটেকচার পাশ করার পর রেজিস্ট্রেশন নম্বর হাতে চলে এলে ছোটোখাটো কনসালটেন্সি খোলা খুব একটা কঠিন নয়৷
কাজের সুযোগ: বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কম্পানিতে কাজের সুযোগ রয়েছে৷ অনেক ছাত্র-ছাত্রীই পাশ করার পর কনসালটেন্সি খুলে বসেন৷ অনেকে আবার কয়েক বছর চাকরি করার পর কনসালটেন্সি খোলার কথা ভাবেন৷ অন্য কোনও শাখায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে কিন্ত্ত এই সুযোগ খুবই কম৷ নিজে কনসালটেন্সি খোলার জন্য খুব বেশি পুঁজিরও দরকার হয় না৷ আমরা যখন আর্কিটেকচার নিয়ে পড়েছি, তখন এত সুযোগ ছিল না৷ কারণ, তখন রিয়েল এস্টেটেটের ব্যবসার এত রমরমা ছিল না৷ কিন্ত্ত ২৩ বছরে ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে৷
সংখ্যায়ন চৌধুরি (কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ)
কম্পিউটার সায়েন্স একটি বড় বিষয়ে৷ একই সঙ্গে অত্যন্ত গভীর৷ কম্পিউটার সায়েন্সের মূলত দুটি বিষয়৷ হার্ডওয়ার এবং সফটওয়ার৷ ২০০০ সাল থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে জোয়ার এসেছে৷ রাজ্যের অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই বিষয়টি পড়ানো হয়৷ চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা তো আছেই, পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে ভবিষ্যতে গবেষণা করার বিস্তর সুযোগ রয়েছে৷ সাধারণত, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের ভিতর থেকে গবেষণা করার লোক খঁুজে পাওয়া যায় না৷ কিন্ত্ত কম্পিউটার সায়েন্সের ক্ষেত্রে ছবিটা পুরোপুরি ভিন্ন৷ কিন্ত্ত কম্পিউটার সায়েন্সের অনেক ছাত্র-ছাত্রীই ভবিষ্যতে গবেষণার পথে হাঁটেন৷ তার একটা বড় কারণ, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ বেশি৷ তা ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া পৃথিবী এক মুহূর্ত চলতে পারবে না৷ তাই আমাদের দেশেও যে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিশেষ কদর থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক৷ রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে অবশ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কোনও সুযোগ নেই৷ এখানে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক ডিগ্রি দেওয়া হয়৷ তবে সিলেবাসের বিশেষ কোনও হেরফের নেই৷
কাজের সুযোগ: ভালো কলেজ থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর চাকরি পেতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷ যাদবপুর কিংবা বেসুর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সমস্ত পড়ুয়াই ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে চাকরি পেয়ে যায়৷ একটা ধারণা তৈরি হয়েছে, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ইদানীং চাকরির সুযোগ কিছুটা কমেছে৷ তবে আমার কিন্ত্ত সে রকম কিছু মনে হয় না৷ কারণ, বছর খানেক আগেও বড় বড় সফটওয়ার কোম্পানিগুলি সিভিল, কেমিক্যাল, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রদেরও চাকরিতে নিয়োগ করত সফটওয়ার ডেভোলপার হিসেবে৷ কোম্পানিগুলির যুক্তি ছিল, যেহেতু যে কোনও শাখার ইঞ্জিনিয়রদেরই নুন্যতম মেধা থাকে তাই কিছুটা ব্রাশ করে নিলেই তারা তৈরি হয়ে যায়৷ কিন্ত্ত এখন সেই ছবিটার পরিবর্তন হয়েছে৷ অধিকাংশ আই টি সংস্থাই এখন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়রদেরই বেছে নেয় সফটওয়ার ডেভলপার হিসেবে৷
সত্যজিত্-মৃণাল-ঋত্বিক হওয়া তাঁর স্বপনে নয়৷ ছবি চালানোটাই স্বপ্ন৷ দেড় বছরে চারটে ছবি করে ফেলেছেন৷ আগামীতে আরও ছ'টা৷ 'আ পলিটিক্যাল মার্ডার'-এর মুক্তির আগে পলিটিক্যালি সম্পূর্ণ ইনকারেক্ট অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়৷ 'ভূতের ভবিষ্যত্' স্বতঃস্ফর্ত সপ্তাহ হঠাত্
No comments:
Post a Comment