শর্মিষ্ঠা রায় ও সোমনাথ মাইতি
২০০৮ সালের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলেও আগামী দিনের জন্য সতর্কবার্তাও দিয়ে রাখল পূর্ব মেদিনীপুর৷ জেলায় শাসকদলকে বড়সড় ধাক্কা দিল খাস নন্দীগ্রাম৷ সেখানে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দু'টি ছিনিয়ে নিয়েছে নির্দলরা৷ একটি ত্রিশঙ্কু৷ একই সঙ্গে হলদিয়া বন্দর থেকে এইচবিটি সংস্থার চলে যাওয়ার ধাক্কায় হাতছাড়া হয়েছে সুতাহাটা৷ হলদিয়া সংলগ্ন এই পঞ্চায়েত সমিতির ১৬টির মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছে বামফ্রন্ট৷ মাত্র চারটি আসন পেয়েছে তৃণমূল৷ গত পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়যাত্রার শুরু৷পাঁচ বছর ধরে জেলা পরিষদ দখলে রাখার পর এই প্রথমবার কোনও কোনও এলাকায় কিছুটা বেসুর শুনতে হয়েছে শাসকদলকে৷
জেলার মোট ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফলে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা এ বারও বজায় রাখতে পেরেছে৷ কিন্ত্ত চিন্তা বেড়েছে অন্যত্র৷ ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পর জেলার সর্বত্র সিপিএমের সংগঠনে যে ধস নেমেছিল তা এখনও মেরামত করতে পারেনি তারা৷ এ বার ভোটে বহু এলাকায় প্রার্থী খুঁজে পায়নি লক্ষ্মণ শেঠের দল৷ প্রচারেও কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি বামেরা৷ প্রচার পর্বে গোটা জেলায় তৃণমূলের দাপটে টিকিও দেখা যায়নি বামেদের৷ তা সত্ত্বেও জেলার ফলাফলে কিছুটা আশার আলো দেখছেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক গুড়িয়া৷ তিনি বলেন, 'মানুষের ক্ষোভ জমছে৷ তৃণমূলের সন্ত্রাস না থাকলে আমরা আরও অনেক জায়গায় প্রার্থী দিতে পারতাম৷ আর সন্ত্রাস না হলে নন্দীগ্রাম, খেজুরি, ভগবানপুর ও পটাশপুরে আরও বেশ কিছু আসন হারাত তৃণমূল৷' আগামী লোকসভা ভোটে এর ফল পড়বে বলেও আশাবাদী বামেরা৷
তবে বামেদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী৷ জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েও তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে নির্দলদের জয় বড় কোনও বিষয় নয়৷ মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ তোথাকেইপারে৷'সুতাহাটায়তৃণমূলেরহারকেওগুরুত্বদিতেচাননিতিনি৷
তৃণমূলের নেতৃত্বে জেলায় যথেষ্ট উন্নয়ন হলেও শাসকদলের এক শ্রেণির নেতৃত্বের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ ভালো চোখে দেখেনি মানুষ৷ নন্দীগ্রাম-বাজকুল রেললাইনের কাজ অসমাপ্ত থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে৷ রেলেরপ্রকল্পে জমিদিয়েওচাকরিনামেলায়কংগ্রেসেরপাশাপাশিতৃণমূলেরবিরুদ্ধেওবিরক্তিগোপনকরছেননামানুষ৷ তবে জেলায়তৃণমূলেরসবচেয়েদুশ্চিন্তা হয়েউঠেছেদলেরইবিক্ষুব্ধঅংশ৷
২০০৮ সালের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলেও আগামী দিনের জন্য সতর্কবার্তাও দিয়ে রাখল পূর্ব মেদিনীপুর৷ জেলায় শাসকদলকে বড়সড় ধাক্কা দিল খাস নন্দীগ্রাম৷ সেখানে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দু'টি ছিনিয়ে নিয়েছে নির্দলরা৷ একটি ত্রিশঙ্কু৷ একই সঙ্গে হলদিয়া বন্দর থেকে এইচবিটি সংস্থার চলে যাওয়ার ধাক্কায় হাতছাড়া হয়েছে সুতাহাটা৷ হলদিয়া সংলগ্ন এই পঞ্চায়েত সমিতির ১৬টির মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছে বামফ্রন্ট৷ মাত্র চারটি আসন পেয়েছে তৃণমূল৷ গত পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়যাত্রার শুরু৷পাঁচ বছর ধরে জেলা পরিষদ দখলে রাখার পর এই প্রথমবার কোনও কোনও এলাকায় কিছুটা বেসুর শুনতে হয়েছে শাসকদলকে৷
জেলার মোট ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফলে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা এ বারও বজায় রাখতে পেরেছে৷ কিন্ত্ত চিন্তা বেড়েছে অন্যত্র৷ ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পর জেলার সর্বত্র সিপিএমের সংগঠনে যে ধস নেমেছিল তা এখনও মেরামত করতে পারেনি তারা৷ এ বার ভোটে বহু এলাকায় প্রার্থী খুঁজে পায়নি লক্ষ্মণ শেঠের দল৷ প্রচারেও কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি বামেরা৷ প্রচার পর্বে গোটা জেলায় তৃণমূলের দাপটে টিকিও দেখা যায়নি বামেদের৷ তা সত্ত্বেও জেলার ফলাফলে কিছুটা আশার আলো দেখছেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক গুড়িয়া৷ তিনি বলেন, 'মানুষের ক্ষোভ জমছে৷ তৃণমূলের সন্ত্রাস না থাকলে আমরা আরও অনেক জায়গায় প্রার্থী দিতে পারতাম৷ আর সন্ত্রাস না হলে নন্দীগ্রাম, খেজুরি, ভগবানপুর ও পটাশপুরে আরও বেশ কিছু আসন হারাত তৃণমূল৷' আগামী লোকসভা ভোটে এর ফল পড়বে বলেও আশাবাদী বামেরা৷
তবে বামেদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী৷ জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েও তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে নির্দলদের জয় বড় কোনও বিষয় নয়৷ মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ তোথাকেইপারে৷'সুতাহাটায়তৃণমূলেরহারকেওগুরুত্বদিতেচাননিতিনি৷
তৃণমূলের নেতৃত্বে জেলায় যথেষ্ট উন্নয়ন হলেও শাসকদলের এক শ্রেণির নেতৃত্বের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ ভালো চোখে দেখেনি মানুষ৷ নন্দীগ্রাম-বাজকুল রেললাইনের কাজ অসমাপ্ত থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে৷ রেলেরপ্রকল্পে জমিদিয়েওচাকরিনামেলায়কংগ্রেসেরপাশাপাশিতৃণমূলেরবিরুদ্ধেওবিরক্তিগোপনকরছেননামানুষ৷ তবে জেলায়তৃণমূলেরসবচেয়েদুশ্চিন্তা হয়েউঠেছেদলেরইবিক্ষুব্ধঅংশ৷
No comments:
Post a Comment