আর্থিক সাহায্য নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা: প্রত্যাঘাত অনিবার্যই ছিল৷ ঠিক যেমন অনিবার্য ছিল প্রশ্নের উত্থাপন৷ শুক্রবার যুগপত্ দুটোই ঘটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ওডিশা যদি পেতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ নয় কেন? কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্যের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সে প্রশ্ন তো তুলেইছেন, সেই সঙ্গে সুচারু রাজনৈতিক হিসেব কষে বাছাই করা রাজ্যকে অর্থসাহায্য দেওয়ার অভিযোগেও বিঁধেছেন কেন্দ্রকে৷ নিজের ফেসবুক পাতায় শুক্রবার সন্ধেয় তিনি যা লিখেছেন, তাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈমাত্রেয় আচরণের অভিযোগ রয়েছে, রয়েছে কোন কোন যুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গেরও সাহায্য পাওয়া উচিত, সে ব্যাখ্যাও৷
রাজ্যকে তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বার বার বঞ্চিত করা হয়েছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বহুবার তোলা এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'যে সব রাজ্য কেন্দ্রের রাজনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখে, বেছে বেছে তাদেরই আর্থিক সাহায্য দেওয়াটা কি অনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক নয়? চিরকালই আমাদের চিত্ত ভয়শূন্য এবং শির উচ্চ৷ কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কী ভাবে অবিচার এবং রাজনৈতিক বৈষম্য পশ্চিমবঙ্গকে তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে৷'
কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে আর্থিক সাহায্য করবে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি নেই৷ তাঁর আপত্তি সাহায্যের 'পদ্ধতি'তে৷ কেন বাংলাকে একক ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা৷ কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রের সংকীর্ণ রাজনীতিকে৷ অর্থ কমিশন পশ্চিমবঙ্গকে অন্যতম ঋণগ্রস্ত রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সে তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'অন্য কোনও রাজ্য সরকারকে তার পূর্বসূরির চাপিয়ে দেওয়া দু'লক্ষ কোটি টাকার বোঝা বইতে হয় না৷ এফআরবিএম আইনের তোয়াক্কা না করেই কেন্দ্র পূর্বতন সরকারকে ঋণ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে৷'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের বলেছেন, তাঁর সরকার ভিক্ষার পাত্র নিয়ে কেন্দ্রের সামনে দাঁড়াতে চায় না৷ বলেছেন, 'আমরা বিচার চাই৷ আমরা একটি স্বচ্ছ ঋণ-পুনর্গঠন পরিকল্পনা চাই যাতে রাজস্ববাবদ আমাদের আয় আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নে লাগাতে পারি৷ পশ্চিমবঙ্গকে সাহায্য করার পরিবর্তে কেন্দ্র প্রতি বছর ২৫,০০০ কোটি টাকা আমাদের থেকে নিয়ে নিচ্ছে৷ অথচ এই ঋণের দায় আমাদের নয়৷'
http://eisamay.indiatimes.com/articleshow/19636217.cms
বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ওডিশা যদি পেতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ নয় কেন? কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্যের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সে প্রশ্ন তো তুলেইছেন, সেই সঙ্গে সুচারু রাজনৈতিক হিসেব কষে বাছাই করা রাজ্যকে অর্থসাহায্য দেওয়ার অভিযোগেও বিঁধেছেন কেন্দ্রকে৷ নিজের ফেসবুক পাতায় শুক্রবার সন্ধেয় তিনি যা লিখেছেন, তাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈমাত্রেয় আচরণের অভিযোগ রয়েছে, রয়েছে কোন কোন যুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গেরও সাহায্য পাওয়া উচিত, সে ব্যাখ্যাও৷
রাজ্যকে তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বার বার বঞ্চিত করা হয়েছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বহুবার তোলা এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'যে সব রাজ্য কেন্দ্রের রাজনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখে, বেছে বেছে তাদেরই আর্থিক সাহায্য দেওয়াটা কি অনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক নয়? চিরকালই আমাদের চিত্ত ভয়শূন্য এবং শির উচ্চ৷ কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কী ভাবে অবিচার এবং রাজনৈতিক বৈষম্য পশ্চিমবঙ্গকে তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে৷'
কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে আর্থিক সাহায্য করবে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি নেই৷ তাঁর আপত্তি সাহায্যের 'পদ্ধতি'তে৷ কেন বাংলাকে একক ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা৷ কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রের সংকীর্ণ রাজনীতিকে৷ অর্থ কমিশন পশ্চিমবঙ্গকে অন্যতম ঋণগ্রস্ত রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সে তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'অন্য কোনও রাজ্য সরকারকে তার পূর্বসূরির চাপিয়ে দেওয়া দু'লক্ষ কোটি টাকার বোঝা বইতে হয় না৷ এফআরবিএম আইনের তোয়াক্কা না করেই কেন্দ্র পূর্বতন সরকারকে ঋণ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে৷'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের বলেছেন, তাঁর সরকার ভিক্ষার পাত্র নিয়ে কেন্দ্রের সামনে দাঁড়াতে চায় না৷ বলেছেন, 'আমরা বিচার চাই৷ আমরা একটি স্বচ্ছ ঋণ-পুনর্গঠন পরিকল্পনা চাই যাতে রাজস্ববাবদ আমাদের আয় আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নে লাগাতে পারি৷ পশ্চিমবঙ্গকে সাহায্য করার পরিবর্তে কেন্দ্র প্রতি বছর ২৫,০০০ কোটি টাকা আমাদের থেকে নিয়ে নিচ্ছে৷ অথচ এই ঋণের দায় আমাদের নয়৷'
http://eisamay.indiatimes.com/articleshow/19636217.cms
No comments:
Post a Comment